প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯

( ২০০৯ সনের ১৬ নং আইন )

নবম অধ্যায়

পারস্পরিক আইনগত সহায়তা

পারস্পরিক আইনগত সহায়তা
৩৮। (১) যখন কোন সন্ত্রাসীকার্য এইরূপে সংঘটিত হয় বা উহার সংঘটনে এইরূপে সহায়তা, চেষ্টা, ষড়যন্ত্র বা অর্থায়ন করা হয় যাহাতে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের ভূখন্ড সংশ্লিষ্ট থাকে, অথবা কোন সন্ত্রাসীকার্য বা উহার সংঘটনে সহায়তা, চেষ্টা, ষড়যন্ত্র বা অর্থায়ন কোন বিদেশী সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখন্ড হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অথবা বাংলাদেশের অভ্যন্তর হইতে অন্য কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখন্ডে সংঘটিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত বিদেশী রাষ্ট্র অনুরোধ করিলে বাংলাদেশ সরকার, সন্তুষ্ট হইলে, এই ধারার পরবর্তী বিধানাবলী সাপেক্ষে, ফৌজদারী তদন্ত, বিচারকার্য বা বহিঃসমর্পন সম্পর্কিত 1[চুক্তি মোতাবেক] সকল প্রয়োজনীয় বিষয়ে উক্ত বিদেশী রাষ্ট্রকে আইনগত সহায়তা প্রদান করিবে।
 
 
(২) অনুরোধকারী রাষ্ট্র এবং অনুরোধপ্রাপ্ত রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পাদিত আনুষ্ঠানিক চুক্তি কিংবা পত্র বিনিময়ের ভিত্তিতে আইনগত সহযোগিতার শর্তাদি নির্ধারণ করা হইবে।
 
 
(৩) 2[আন্তঃরাষ্ট্রিক পারষ্পরিক সম্মতি ব্যতিরেকে] কোন অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য বাংলাদেশের কোন নাগরিককে এই ধারার অধীনে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নিকট সমর্পণ করা যাইবে না 3[ঃ
 
 
তবে বাংলাদেশের কোন আদালতে একই অপরাধের অভিযোগে বিচার চলমান থাকিলে বাংলাদেশের কোন নাগরিকের বহিঃসমর্পণ কার্যকর করা হইবে না।]
 
 
(৪) এই ধারার অধীন পারস্পরিক আইনগত সহায়তার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের কোন নাগরিককে, তাহার সম্মতি সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট ফৌজদারী মামলা বা তদন্ত কার্যে সাক্ষী হিসেবে সহায়তা প্রদান করিবার জন্য কোন বিদেশী রাষ্ট্র্রের নিকট সমর্পণ করা যাইবে।
 
 
(৫) যদি সরকারের নিকট বিশ্বাস করিবার মত যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে কোন মামলায় শুধুমাত্র তাহার গোত্র, ধর্ম, জাতীয়তা বা রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বিচার করিবার বা শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে এই ধারার অধীন আইনগত সহায়তার জন্য অনুরোধ করা হইয়াছে, তাহা হইলে অনুরোধপ্রাপ্ত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অনুরূপ কোন নির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে বহিঃসমর্পণ বা পারস্পরিক আইনগত সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে।

  • 1
    ‘চুক্তি মোতাবেক’ শব্দগুলি ‘বহিঃসমর্পন সম্পর্কিত’ শব্দগুলির পর সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৬ নং আইন) এর ২৩ (ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    ‘আন্তঃরাষ্ট্রিক পারষ্পরিক সম্মতি ব্যতিরেকে’ শব্দগুলি ‘এই আইনের অধীন’ শব্দগুলির পরিবর্তে সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৬ নং আইন) এর ২৩ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    কোলন “ঃ” দাঁড়ির “।“ পরিবর্তে সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৬ নং আইন) এর ২৩ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত এবং শর্তাংশ সংযোজিত ।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs