প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯

( ২০০৯ সনের ১৬ নং আইন )

সপ্তম অধ্যায়

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কতৃক বিচার

বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পদ্ধতি
২৯। (১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোন পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
 
 
(২) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন অপরাধের বিচারকালে দায়রা আদালতে বিচারের জন্য, ফৌজদারী কার্যবিধির অধ্যায় ২৩ এ বর্ণিত পদ্ধতি, এই আইনের বিশেষ বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, অনুসরণ করিবে।
 
 
(৩) কোন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় না হইলে, এবং কারণ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ না করিয়া, কোন মামলার বিচারকার্য স্থগিত করিতে পারিবে না।
 
 
(৪) যেক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রহিয়াছেন বা আত্নগোপন করিয়াছেন যে কারণে তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া বিচারের জন্য উপস্থিত করা সম্ভব নহে এবং তাহাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের অবকাশ নাই, সেক্ষেত্রে উক্ত ট্রাইব্যুনাল, আদেশ দ্বারা, বহুল প্রচারিত অন্যূন দুইটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে, অনুরূপ ব্যক্তিকে আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে হাজির হইবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উক্ত ব্যক্তি অনুরূপ নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হইলে তাহার অনুপস্থিতিতেই বিচার করা হইবে ।
 
 
(৫) বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সামনে অভিযুক্ত ব্যক্তি উপস্থিত হইবার বা জামিনে মুক্তি পাইবার পর পলাতক হইলে অথবা উহার সম্মুখে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে, উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে না, এবং উক্ত ট্রাইব্যুনাল উহার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিয়া অনুরূপ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেই বিচার করিবে ।
 
 
(৬) কোন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, উহার নিকট পেশকৃত আবেদনের ভিত্তিতে, বা উহার নিজ উদ্যোগে, কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট যে কোন মামলা 1[অধিকতর তদন্ত] , এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

  • 1
    ‘অধিকতর তদন্ত’ শব্দগুলি ‘পুনঃতদন্তের’ শব্দটির পরিবর্তে সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৬ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs