প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯

( ২০০৯ সনের ১৬ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড

1[অপরাধীকে আশ্রয় প্রদানের শাস্তি]
১৪। (১) যদি কোন ব্যক্তি, অন্য কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন জানিয়াও বা উক্ত ব্যক্তি অপরাধী ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকা সত্ত্বেও, শাস্তি হইতে রক্ষা করিবার অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তিকে আশ্রয়দান করেন বা লুকাইয়া রাখেন তাহা হইলে তিনি-
 
 
(ক) উক্ত অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হইলে, অনধিক পাঁচ বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও আরোপ করা যাইবে; অথবা
 
 
(খ) উক্ত অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড হইলে, অনধিক তিন বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও আরোপ করা যাইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আশ্রয়দান বা লুকাইয়া রাখিবার অপরাধ স্বামী, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা বা মাতা কর্তৃক হইলে, এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
 
 
2[(৩) যেক্ষেত্রে কোন সত্তা কর্তৃক আশ্রয় প্রদানের অপরাধ সংঘটিত হয়, সেইক্ষেত্রে উহার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা অন্য কোন নামের পদধারীর প্রতি উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সমর্থ হন যে, উক্তরূপ অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছিল বা উহার সংঘটন নিবৃত্ত করিবার জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করিয়াছিলেন।]

  • 1
    "অপরাধীকে আশ্রয় প্রদানের শাস্তি " শব্দগুলি "অপরাধীকে আশ্রয় প্রদান" শব্দগুলির পরিবর্তে সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২২ নং আইন) এর ১৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৩) সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২২ নং আইন) এর ১৩(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs