সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ
[৭। (১) যদি কোন ব্যক্তি বা সত্তা স্বেচ্ছায়, বৈধ বা অবৈধ উৎস হইতে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যে কোনভাবে এই অভিপ্রায়ে অর্থ, সেবা বা অন্য যে কোন সম্পত্তি সরবরাহ, গ্রহণ, সংগ্রহ বা উহার এইরূপ ব্যবস্থা করে যে, উহার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ-
(ক) সন্ত্রাসী কার্য পরিচালনায় ব্যবহৃত হইবে; বা
(খ) সন্ত্রাসী ব্যক্তি বা সন্ত্রাসী সত্তা কর্তৃক যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে, অথবা ব্যবহৃত হইতে পারে মর্মে জ্ঞাত থাকে;
তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নের অপরাধ সংঘটন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্তকরণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অর্থ, সেবা বা অন্য যে কোন সম্পত্তি প্রকৃতই কোন সন্ত্রাসী কার্য সম্পাদনের বা পরিচালনার ক্ষেত্রে বা সন্ত্রাসী কার্য সম্পাদনের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা বা কোন সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী কার্যের সহিত সম্পর্কযুক্ত ছিল কিনা, উহার উপর নির্ভর করিবে না।
(৩) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ২০ (বিশ) বৎসর ও অন্যূন ৪ (চার) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, এবং উহার অতিরিক্ত উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ বা ১০ (দশ) লক্ষ টাকা, যাহা অধিক, অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।
(৪) যদি কোন সত্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহা হইলে-
(ক) উক্ত সত্তার বিরুদ্ধে ধারা ১৮ অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাইবে এবং উহার অতিরিক্ত উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের তিনগুণ পরিমাণ অর্থ বা ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা, যাহা অধিক, অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে; এবং
(খ) উক্ত সত্তার প্রধান, তিনি চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা অন্য যে কোন নামে অভিহিত হউক না কেন, অনূর্ধ্ব ২০ (বিশ) বৎসর ও অন্যূন ৪ (চার) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত উক্ত অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত সম্পত্তির মূল্যের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ বা ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা, যাহা অধিক, অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সমর্থ হন যে, উক্তরূপ অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছিল বা উহার সংঘটন নিবৃত্ত করিবার জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করিয়াছিলেন।]