বাজেয়াপ্তকরণ পদ্ধতি
৩৩৷ (১) এই আইনের অধীন পরিচালিত বিভাগীয় তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, কোন পণ্য ধারা ৩২ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য, তাহা হইলে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক, তদন্তকারী কর্মকর্তা পণ্যটি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
(২) যদি কোন ক্ষেত্রে ধারা ৩২ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু আটক করা হয়, কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, যিনি বস্তু আটককারী কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপ বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াপ্তকরণের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ প্রদানের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারী করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারীর তারিখ হইতে অন্যূন ১৫ (পনের) দিন হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে৷
(৪) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে-
(ক) মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট; এবং
(খ) মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না৷