প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯

( ২০০৯ সনের ৫৩ নং আইন )

তৃতীয় অধ্যায়

কমিশনের কার্যাবলী ও তদন্তের ক্ষমতা

মানবাধিকার লংঘন প্রকাশ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা
১৪। (১) কমিশন কর্তৃক পরিচালিত তদন্তে যদি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা প্রকাশ পায়, তাহা হইলে কমিশন বিষয়টি মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থিত মধ্যস্থতা ও সমঝোতা সফল না হইলে-
 
 
(ক) মানবাধিকার লংঘনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বা অন্য কোন কার্যধারা দায়ের করিবার জন্য কমিশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করিবে;
 
 
(খ) মানবাধিকার লংঘন প্রতিরোধ বা প্রতিকারের উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তির নিকট সুপারিশ করিবে।
 
 
(৩) মানবাধিকার লংঘন করিয়াছেন বা করিতে উদ্যত হইয়াছেন এমন সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানীর সুযোগ না দিয়া কমিশন এই ধারার অধীন কোন সুপারিশ করিবে না।
 
 
(৪) এই ধারার অধীন কমিশন প্রদত্ত সুপারিশের একটি কপি কমিশন অভিযোগকারীর নিকট প্রেরণ করিবে।
 
 
(৫) যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের নিকট এই ধারার অধীন সুপারিশ প্রেরণ করা হয় উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে কমিশন সুপারিশ অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য আহবান করিতে পারিবে এবং যাচিত প্রতিবেদন দাখিল করা উক্তরূপ ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হইবে।
 
 
(৬) এই ধারার অধীন সুপারিশ প্রেরণ করা হইয়াছে এমন কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ যদি প্রার্থিত প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে ব্যর্থ হন বা প্রেরিত প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গৃহীত বা প্রস্তাবিত ব্যবস্থা কমিশনের মতে অপর্যাপ্ত হয়, তাহা হইলে কমিশন যথাযথ বিবেচনা করিলে ঘটনাটির পূর্ণ বিবরণ রাষ্ট্রপতির নিকট দাখিল করিবে এবং রাষ্ট্রপতি উক্ত প্রতিবেদনের কপি সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs