অনাস্থা প্রস্তাব
৩৮৷ (১) এই আইনের কোন বিধান লঙ্গন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে বা শারীরিক ও মানসিক অসামর্থ্যের কারণে মেয়র বা কোন কাউন্সিলরকে তাহার পদ হইতে অপসারণের লক্ষ্যে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে।
(২) যে কোন একজন কাউন্সিলর ব্যক্তিগতভাবে উপ-ধারা (১) এর অধীন অনাস্থা প্রস্তাব আনয়নের ক্ষেত্রে পৌরসভার মোট সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের স্বাক্ষরিত নোটিশ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিতে হইবে।
(৩) অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তির পর উক্ত কর্মকর্তা এক মাসের মধ্যে অভিযোগসমূহ তদন্ত করিবেন এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হইলে দশ কার্যদিবসের সময় দিয়ে তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হইলে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা নোটিশ প্রাপ্তির অনধিক পনের কার্যদিবসের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য এতদুদ্দেশ্যে নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের সভা আহবান করিবেন অথবা মেয়রকে সভা আহবানের জন্য অনুরোধ করিবেন এবং সকল নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নিকট সভার নোটিশ প্রেরণ নিশ্চিত করিবেন।
(৫) মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে মেয়রের প্যানেল হইতে অগ্রাধিকারক্রমে একজন কাউন্সিলর এবং কোন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে পৌরসভার মেয়র সভায় সভাপতিত্ব করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, মেয়র অনুপস্থিত থাকিলে বা অন্য কোন কারণে তাহাকে পাওয়া না গেলে উপস্থিত কাউন্সিলরগণের মধ্য হইতে একজন কাউন্সিলরকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত করা যাইবে।
(৬) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগকৃত কর্মকর্তা সভায় একজন পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত থাকিবেন।
(৭) এই ধারার উদ্দেশ্যে আহুত সভাটি নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত কোন কারণ ব্যতীত স্থগিত করা যাইবে না এবং মোট নির্বাচিত সদস্য সংখ্যার অর্ধেক সদস্য সমন্বয়ে সভার কোরাম গঠিত হইবে।
(৮) সভার শুরুতে সভাপতি অনাস্থা প্রস্তাবটি সভায় পাঠ করিয়া শুনাইবেন এবং উন্মুক্ত আলোচনা আহবান করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণ ছাড়া এই ধরনের উন্মুক্ত আলোচনা বা বিতর্ক স্থগিত করা যাইবে না।
(৯) সভা শুরু হইবার তিন ঘন্টার মধ্যে বিতর্ক বা উন্মুক্ত আলোচনা সমাপ্ত না হইলে, অনাস্থা প্রস্তাবটির উপর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করিতে হইবে।
(১০) সভার সভাপতি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রকাশ্য মতামত প্রকাশ করিবেন না এবং তিনি ব্যালটের মাধ্যমে উপ-ধারা (৯) এর অধীন ভোট প্রদান করিতে পরিবেন, তবে সভাপতি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দিতে পারিবেন না।
(১১) নিয়োগকৃত কর্মকর্তা সভা শেষ হওয়ার পর পরই অনাস্থা প্রস্তাবের কপি এবং ভোটের ফলাফলসহ সভার কার্যবিবরণী সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(১২) অনাস্থা প্রস্তাবটি পৌরসভার মোট সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হইলে সংশ্লিষ্ট মেয়র বা কাউন্সিলরের আসনটি সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা শূন্য বলিয়া ঘোষণা করিবে।
(১৩) অনাস্থা প্রস্তাবটি মোট সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অথবা কোরামের অভাবে সভা অনুষ্ঠিত না হইলে উক্ত তারিখের পর ছয় মাস অতিক্রান্ত না হইলে অনুরূপ কোন অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ প্রদান করা যাইবে না।
(১৪) পৌরসভার মেয়র বা কোন কাউন্সিলর দায়িত্বভার গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে তাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা নোটিশ আনয়ন করা যাইবে না।