ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ
১৬৷ (১) পৌরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসকালে যতদূর সম্ভব ভৌগলিক সম্পৃক্ততা সংরক্ষণ করিতে হইবে [***] ৷
(২) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ রেকর্ডপত্র পরীক্ষা, তদন্ত, এবং এই বিষয়ে উপস্থাপিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনা করিতে পারিবেন এবং তিনি প্রস্তাবিত কোন্ এলাকা কোন ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হইবে তাহা উল্লেখ করিয়া ওয়ার্ডসমূহের একটি প্রাথমিক তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পনের দিনের মধ্যে আপত্তি অথবা পরামর্শের আহবান জানাইয়া বিজ্ঞপ্তিটি তাহার কার্যালয়ে ও পৌরসভার কার্যালয়ে এবং তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্য কোন স্থান অথবা স্থানসমূহে প্রকাশ করিবেন।
(৪) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত কোন আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনা করিবেন এবং প্রয়োজনবোধে ব্যক্তিগত শুনানি করিবেন এবং এই বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্ত অনধিক পনের দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে জানাইয়া তাহার কপি সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার এবং সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৫) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পনের দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনারের বরাবরে আপিল করা যাইবে এবং ডেপুটি কমিশনারকে পনের দিনের মধ্যে উক্ত আপিল নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর প্রেক্ষিতে সংশোধন, পরিবর্তন অথবা রূপান্তর, যদি থাকে, তাহা সম্পন্ন করিয়া সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা প্রত্যেক ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহ উল্লেখ করিয়া স্বীয় দপ্তর, পৌরসভা কার্যালয় এবং স্বীয় বিবেচনায় আবশ্যিক ওয়ার্ডসমূহের চূড়ান্ত তালিকা অন্য যে কোন স্থানে প্রচার করিবেন এবং তালিকার সত্যায়িত অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং সরকার তাহা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
(৭) সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এই ধারার অধীন কোন পৌরসভাকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্তিকরণের সাথে সাথে, এই ধারার বিধানাবলী যথাসম্ভব অনুসরণ করিয়া, ঐ সকল ওয়ার্ডকে এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডরূপে চিহ্নিত করিবেন যেন এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডের সংখ্যা সংরক্ষিত আসন সংখ্যার সমান হয়।