প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
৭৭। (১) সরকার নিম্নলিখিত কারণে যথাযথ তদন্তপূর্বক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা পরিষদ বাতিল করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাজেট পাশ করিতে ব্যর্থ হইলে; অথবা
(খ) পরিষদের ৭৫% (শতকরা ৭৫ ভাগ) নির্বাচিত সদস্য পদত্যাগ করিলে; অথবা
(গ) পরিষদের ৭৫% (শতকরা ৭৫ ভাগ) নির্বাচিত সদস্য এই আইনের অধীন অযোগ্য হওয়ার কারণে অপসারিত হইলে ; অথবা
(ঘ) পরিষদ ক্ষমতার অপব্যবহার করিলে; অথবা
(ঙ) সরকারের বিবেচনায় কোন পরিষদ এই আইন ও অন্যান্য আইন বা বিধি এবং সরকারের সার্কুলার, পরিপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হইলেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, পরিষদ বাতিল করিবার পূর্বে পরিষদকে যুক্তিসংগতভাবে শুনানীর সুযোগ দিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরিষদ বাতিলের আদেশ প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হইতে কার্যকর হইবে এবং গেজেট প্রজ্ঞাপনের কপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হইতে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সকল সদস্যের আসন শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত আসন শূন্য হইবার অন্যূন ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিষদ পুনর্গঠিত হইবে।
(৪) পুনর্গঠিত পরিষদের সদস্যগণ পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবেন এবং দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৫) পরিষদ বাতিল হইবার এবং পুনর্গঠিত হইবার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সরকার কতৃর্ক নিযুক্ত একটি প্রশাসনিক কমিটি পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।
(৬) পরিষদের সকল সম্পদ ও দায় উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী পুনর্গঠিত পরিষদের উপর দায়িত্ব গ্রহণের পর হইতে পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদকাল পর্যন্ত এবং উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী গঠিত প্রশাসনিক কমিটির উপর দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হইতে পরিষদ পুনর্গঠন হওয়া পর্যন্ত বর্তাইবে।