প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বীমা আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ১৩ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য বিধানাবলী

মূলধন এবং জমা

জামানত (Deposit)৷
২৩৷ (১) কোন বীমাকারী এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে বা, এই আইনের অধীন নিবন্ধনের আবেদন করার সময়ে তফসিল-১ এ বিধৃত অংকের অর্থ নগদে বা জমার তারিখে বাজার দর অনুযায়ী প্রাক্কলিতমূল্যে, অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ প্রাক্কলিত অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানত হিসাবে জমা করিবে এবং রাখিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জামানতের অর্থ বীমাকারীর অনুকূলে জমা রাখা হইবে এবং বীমাকারী বরাবরে উক্ত অর্থ ফেরত্‍ প্রদানযোগ্য হইলে নগদ অর্থের যে পরিমাণ অংশ বীমাকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হইয়াছে উক্ত অংশ ব্যতীত বাকী অংশ বীমাকারী প্রাপ্য হইবে এবং জমাকৃত সিকিউরিটিজের উপর অর্জিত সুদও বীমাকারী প্রাপ্য হইবেঃ
 
 
      তবে শর্ত থাকে যে, সিকিউরিটিজের উপর সুদ সংগ্রহ করিবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, ধার্যকৃত কমিশন কর্তনযোগ্য হইবে৷
 
 
 
(৩) বীমাকারী যে কোন সময় এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত সিকিউরিটিজ নগদে বা অন্য অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে ও আংশিক অন্য অনুমোদিত সিকিউরিটিজে প্রতিস্থাপন করিতে পারিবে এই শর্তে যে, অনুরূপ নগদ অর্থ বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের মূল্য বিদ্যমান বাজার দরে, বা অনুরূপ নগদ অর্থ এবং সিকিউরিটিজের পত্রের মূল্য, যাহা প্রযোজ্য, জমা প্রদান করিবার তারিখে প্রাক্কলিত সিকিউরিটিজ পত্রের মূল্য অপেক্ষা কম না হয়৷
 
 
 
(৪) বীমাকারী আবেদন করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক-
 
 
 
(ক) এই ধারার অধীন বীমাকারী কর্তৃক জমাকৃত সিকিউরিটিজ বিক্রয় করিতে এবং উক্তরূপ বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিজের কাছে জামানত হিসাবে রাখিতে পারিবে, বা
 
 
 
 
(খ) বীমাকারী কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত জমাকৃত অর্থ বা সিকিউরিটিজের বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ, বা জমাকৃত সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য সরকারী সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে এবং ঐরূপ বিক্রয় ও বিনিয়োগের জন্য তদকর্তৃক ধার্যকৃত কমিশন আদায় করিতে পারিবে৷
 
 
 
(৫) যেই ক্ষেত্রে উপ-ধারা (৪) এর বিধান প্রযোজ্য হয়, সেই ক্ষেত্রে -
 
 
(ক) যদি সিকিউরিটিজ এর বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা অর্জিত সুদ ব্যতীত, সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য জমাকৃত সিকিউরিটিজের জমা দেওয়ার তারিখে বিদ্যমান বাজারমূল্যের কম হয়, তাহা হইলে বীমাকারী উক্ত ঘাটতি সিকিউরিটিজের পরিপক্ক হওয়া বা বিক্রীত হওয়ার ২ (দুই) মাসের মধ্যে নগদে বা জমা প্রদান করিবার তারিখে বাজার দরে প্রাক্কলিত মূল্যে সরকারী সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বা আংশিক নগদ ও আংশিক সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পূরণ করিবে, অন্যথায় বীমাকারী এই ধারার অধীন জামানত সম্পর্কিত বিধান লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(খ) যদি সিকিউরিটিজের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা অর্জিত সুদ ব্যতীত সিকিউরিটিজের পরিপক্ক মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানতকৃত সিকিউরিটিজের জমা দেওয়ার তারিখে বিদ্যমান বাজার মূল্য অতিক্রম করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অতিরিক্ত অর্থ বীমাকারীকে ফেরত্‍দানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে; এবং
 
 
 
(গ) যদি এই ধারার অধীনে জামানতকৃত অর্থ হইতে কোন অংশ বীমাকারীর কোন দায় নিষ্পন্নে ব্যবহৃত হইয়া থাকে, তাহা হইলে বীমাকারী উক্ত ব্যবহূত অর্থ পূরণে নগদে বা জমা দেওয়ার তারিখে বাজার মূল্যে প্রাক্কলিত সরকারী সিকিউরিটিজে বা আংশিক নগদে এবং আংশিক অনুরূপ মূল্যায়িত সরকারী সিকিউরিটিজে অতিরিক্ত অর্থ জমাদান করিবে এবং দায় নিষ্পন্নে ব্যবহূত জামানত বা উহার কোন অংশ বিশেষ ব্যবহারের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে ঘাটতি পূরণ না হইলে বীমাকারী উপ-ধারা (১) এর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হইয়াছে এবং জামানত সম্পর্কিত বিধান লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs