প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বীমা আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ১৩ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য বিধানাবলী

হিসাব, নিরীক্ষা, একচ্যুয়ারী প্রতিবেদন ও বিবরণী

হিসাব স্থিতিপত্র, ইত্যাদি
২৭৷ (১) এই আইনের অধীন প্রত্যেক বীমাকারী বাংলাদেশে উহার লেনদেনকৃত সকল শ্রেণীর বীমা ব্যবসার বিষয়ে প্রতি পঞ্জিকা বৎসর সমাপ্ত হইবার পর উক্ত বৎসরের জন্য নিম্নবর্ণিত বিবরণাদি প্রস্তুত করিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ছকে স্থিতিপত্র (balance sheet);
 
 
(খ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ছক অনুযায়ী লাভ-ক্ষতির হিসাব;
 
 
(গ) যে বীমাকারীকে এই আইন অনুযায়ী বীমা ব্যবসার ধরন অনুযায়ী আয় ও ব্যয়ের পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করিতে হয়, সেই বীমাকারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর বা উপ-শ্রেণীর বীমা ব্যবসার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রাজস্ব হিসাব; এবং
 
 
(ঘ) উক্ত সময়ে বীমা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের নাম ও পরিচিতি সম্বলিত বিবরণ এবং উক্ত ব্যক্তিবর্গের ব্যবসায়িক কার্যাবলী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি উল্লেখক্রমে একটি প্রতিবেদন৷
 
 
(২) বীমাকারী কোম্পানী আইন এর অধীন কোন কোম্পানী হইলে কোম্পানীর চেয়ারম্যান, দুইজন পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক, বা বীমাকারী সমবায় সমিতি আইন এর অধীন সমবায় সমিতি হইলে উহার দুইজন সদস্য কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থিতিপত্র, লাভ-ক্ষতির হিসাব, রাজস্ব হিসাব ও প্রতিবেদন স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷
 
 
(৩) প্রত্যেক বীমাকারী তাহার শেয়ার গ্রহীতা ও বীমা পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংক্রান্ত পৃথক হিসাব প্রবিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করিবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs