প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বীমা আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ১৩ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য বিধানাবলী

হিসাব, নিরীক্ষা, একচ্যুয়ারী প্রতিবেদন ও বিবরণী

বিবরণী দাখিলকরণ৷
৩২৷ (১) ধারা ২৭ এর অধীন হিসাব, স্থিতিপত্র, ইত্যাদি এবং ধারা ৩০ এর অধীন দায়-মূল্যায়ন প্রতিবেদনের নিরীক্ষিত হিসাব, সার-সংক্ষেপ ও বিবরণী মুদ্রিত হইতে হইবে এবং চার প্রস্থ রিটার্নরূপে কর্তৃপক্ষের নিকট, ধারা ২৭ এবং ধারা ৩০ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীন হিসাব এবং স্থিতিপত্রের ক্ষেত্রে হিসাব বর্ষ শেষ হইবার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এবং ধারা ৩০ এর অধীন দায়-মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সার-সংক্ষেপ ও বিবরণীর ক্ষেত্রে ৯ (নয়) মাসের মধ্যে প্রেরণ করিতে হইবেঃ
 
 
      তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল বীমাকারীর ব্যবসায়ের প্রধান কার্যালয় বা স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশের বাহিরে এবং যে সকল বীমাকারী বাংলাদেশে গঠিত, নিগমিত এবং বাংলাদেশে স্থায়ী নিবাসী কিন্তু বাংলাদেশের বাহিরেও বীমা ব্যবসা পরিচালনা করিয়া থাকে, সেই সকল বীমাকারীর ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত ৬ (ছয়) মাসের মেয়াদ আরও ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইতে পারেঃ
 
 
      আরো শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে, এই উপ-ধারায় প্রদত্ত রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা অনধিক ১ (এক) মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
 
 
(২) এই ধারার অধীন দাখিলকৃত ৪ (চার) প্রস্থ রিটার্ন এর মধ্যে ১ (এক) প্রস্থ কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার চেয়ারম্যান এবং ২ (দুই) জন পরিচালক এবং কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ও যদি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকেন, তাহা হইলে ঐ পরিচালক কর্তৃক, কোন সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে, উহার ২ (দুই) জন সদস্য কর্তৃক, স্বাক্ষরিত হইতে হইবে; এবং ১ (এক) প্রস্থ নিরীক্ষা সম্পাদনকারী নিরীক্ষক কর্তৃক, কিংবা, ক্ষেত্রমত, মূল্যায়ন সম্পাদনকারী একচ্যুয়ারি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে৷
 
 
(৩) বীমাকারীর ব্যবসার প্রধান স্থান বা স্থায়ী নিবাস বাংলাদেশের বাহিরে হইলে উক্ত বীমাকারী ধারা ২৭ এ উল্লিখিত দলিল পত্রাদির সহিত স্থিতিপত্র, লাভ ও ক্ষতির হিসাব এবং রাজস্ব হিসাব এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও বিবরণী, যদি থাকে, কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে যাহা বীমাকারীকে উহার গঠন, নিগমন বা স্থায়ীভাবে নিবাসিত হওয়ায় সরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হয়, অথবা, যেই ক্ষেত্রে ঐরূপ দলিলপত্রাদি পেশ করিবার আবশ্যকতা থাকে না সেই ক্ষেত্রে মেয়াদকাল সমাপ্তিতে ঐ মেয়াদকালীন সময়কার উক্ত দলিল পত্রাদিতে অন্তর্ভুক্ত বীমাকারীর মোট সম্পদ ও দায় এবং মোট আয় এবং ব্যয়ের প্রতিফলন সম্পন্ন একটি প্রত্যায়িত বিবরণী দাখিল করিতে হইবে৷
 
1[(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বীমাকারীর দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে প্রস্ত্ততকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা।
 
 
(৫) উক্ত কর্তৃপক্ষ কোন বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা কোন তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।]

  • 1
    উপ-ধারা (৪) ও (৫) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬৩ ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs