তদন্ত, নির্দেশনা, ইত্যাদি
বীমাকারীর কার্যক্রম তদন্ত ৷
৪৮৷ (১) কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীনে নিবন্ধীকৃত কোন বীমাকারীর পরিচালিত ব্যবসার সম্পূর্ণ বা আংশিক তদন্ত শুরু করিতে পারিবে, যদি এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে -
(ক) বীমাকারী উহার দায় পরিশোধে অক্ষম বা তাহার অক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে ;
(খ) বীমাকারী বীমা তহবিল সংক্রান্ত এই আইনের কোন বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হইয়াছে;
(গ) বীমাকারী ধারা ৪৯ এর অধীন প্রদত্ত নোটিশ প্রাপ্তির ১ (এক) মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সম্পূর্ণরূপে ও সন্তোষজনকভাবে দাখিল না করে ;
(ঘ) বীমাকারী ধারা ২৭, ৩০, ৪১, ৪৩, এবং ৪৪ এর কোন বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হয়;
(ঙ) বীমাকারীর বীমা ব্যবসার ব্যয় বা উহার কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসা আহরণ, রক্ষণ বা পরিচালনার ব্যয় তাহার বীমা প্রিমিয়াম আয়ের তুলনায় অযৌক্তিকভাবে অধিক হয় ;
(চ) বীমাকারী কর্তৃক বীমা তহবিল ও অন্যান্য তহবিলের মধ্যে ব্যয় বা বিশেষ কোন শ্রেণীর ব্যয় বন্টনে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় নাই ; বা
(ছ) কর্তৃপক্ষের নিকট থাকা এমন কোন তথ্যের প্রেক্ষিতে অনুরূপ তদন্ত আবশ্যক হয়৷
(২) এই ধারার অধীন কোন তদন্ত আরম্ভ করিবার পূর্বে কর্তৃপক্ষ বীমাকারীকে এই মর্মে নোটিশ জারী করিবে যে, এই ধারার অধীন তদন্তকার্য শেষ হওয়ার পূর্বে কর্তৃপক্ষের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে বীমাকারী কোন অবস্থাতেই তাহার উপর ন্যস্ত বা উহার প্রাপ্য কোন সম্পদ হস্তান্তর করিবে না৷
ব্যাখ্যা৷- এই ধারার উদ্দেশ্যে সম্পদ বলিতে নিম্নবর্ণিত সম্পদসমূহ অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু ইহাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় -
(ক) স্থাবর সম্পত্তি, যথাঃ যে কোন জমি, দালান ও উহাতে দৃঢ় সংলগ্ন বস্তু ;
(খ) অস্থাবর সম্পত্তি, যথাঃ যে কোন আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, বই, সাময়িকী এবং অন্য যে কোন স্থানান্তরযোগ্য বস্তু, যে কোন মোটর যান, নৌ-যান, জাহাজ, উড়োজাহাজ এবং অন্য যে কোন আকৃতির যান;
(গ) বিনিয়োগ, যথাঃ রাষ্ট্রীয় বা স্থানীয় সরকারের যে কোন সিকিউরিটিজ অথবা সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত অন্য যে কোন সিকিউরিটিজ৷
(ঘ) অন্যান্য বিনিয়োগ, যথাঃ স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য উদ্ধৃত হয় এইরূপ স্টক, শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অথবা মূল্য উদ্ধৃত হয় না এইরূপ বিনিয়োগ;
(ঙ) নগদ, যথাঃ নির্ণয়যোগ্য অংকের নগদ অর্থসহ ব্যাংক বা ঋণ প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানে বা অন্য কোন সংস্থায় বা এজেন্সিতে জমাকৃত অর্থ;
(চ) অন্যান্য সম্পদ, যথা: যে কোন বকেয়া প্রিমিয়াম, কমিশন ও পাওনাকৃত বা পরিশোধযোগ্য ঋণ, অগ্রিম, সিকিউরিটিজ, ডিপোজিট ও জামানত এবং বীমাকারীর অনুকূলে বা তাহার উপর অর্পিত চুক্তিজনিত বা প্রাপ্য স্বত্ত্বসমূহ।
(৩) কর্তৃপক্ষ নিজে অনুরূপ তদন্ত পরিচালনা করিতে পারিবে অথবা তদন্ত করিয়া উহার ফলাফল সাত (৭) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে তাহার নিকট প্রদান করিবার জন্য উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী নিয়োগকৃত তদন্তকারীকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৪) কর্তৃপক্ষ ধারা ২৭ এর অধীন বীমাকারীর হিসাব ও স্থিতিপত্র এবং অন্যান্য বিবরণী প্রস্তুতকারী নিরীক্ষক ব্যতীত একজন নিরীক্ষক, একজন একচ্যুয়ারি বা অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে, তদন্ত করিবার জন্য তদন্তকারী হিসাবে নিযুক্ত করিতে পারিবে এবং অনুরূপ তদন্তের সকল ব্যয় বীমাকারী কর্তৃক পরিশোধ করিতে হইবে৷
(৫) কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী এই ধারার অধীন তদন্তকার্য পরিচালনার জন্য -
(ক) বীমাকারী বা বীমাকারীর পক্ষে উহার দায়িত্বে নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তিকে;
(খ) বীমাকারীর বিদ্যমান কোন পরিচালক বা কোন সময়ে পরিচালক ছিলেন বা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তি, একচ্যুয়ারি, নিরীক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্টকে; বা
(গ) বীমাকারীর অতীত বা বর্তমান কোন অংশগ্রহণকারীকে,
বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে রক্ষিত কোন বই, হিসাব, নথি বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলিলাদি, কোন সম্পদে বীমাকারীর স্বত্ব প্রমাণ সম্বলিত দলিলাদিসহ, উপস্থাপন বা উহা ব্যবহার বা পূর্ণ বা আংশিক অনুলিপি প্রস্তুতকরণ নিশ্চিত করিতে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার বিধানাবলী কেবলমাত্র বীমাকারী কর্তৃক বাংলাদেশে পরিচালিত ব্যবসা সংক্রান্ত বা অনুরূপ ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর স্বত্ব প্রমাণক দলিলাদির জন্য প্রযোজ্য হইবে৷
(৬) কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী এই ধারার অধীন তদন্ত কার্য সম্পাদনের জন্য উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইবার নির্দেশ প্রদান করিতে এবং বীমাকারীর ব্যবসা সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন ও জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে।
(৭) এই ধারার অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর এবং বীমাকারীকে প্রতিবেদন সম্পর্কে আবেদন করার যথেষ্ট সুযোগ প্রদানের পর কর্তৃপক্ষ যথার্থ মনে করিলে -
(ক) প্রতিবেদনে উল্লিখিত কোন বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বীমাকারীকে নির্দেশনা প্রদান করিবে ; বা
(খ) বীমাকারীর নিবন্ধন বাতিল করিবে; বা
(গ) দফা (খ) অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল করা হইয়া থাকুক বা না করা হইয়া থাকুক, কোন ব্যক্তিকে বীমাকারীর অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করিতে নির্দেশ প্রদান করিবে৷
(৮) কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করিলে বীমাকারীকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্তের প্রতিবেদন বা প্রতিবেদনের কোন অংশ প্রকাশ করিতে পারিবে৷
(৯) উপ-ধারা (৭) এর দফা (খ) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ ব্যতীত এই ধারার অধীন প্রদত্ত অন্যান্য আদেশের বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন মামলা বা প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
(১০) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৫) অথবা উপ-ধারা (৬) এর অধীন নির্দেশপ্রাপ্ত হইয়া তাহার জিম্মায় বা ক্ষমতাধীন রক্ষিত কোন দলিল উপস্থাপনে বা কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারীর নিকট উপস্থিত হইতে বা তাহাদের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হইতে অস্বীকার করিলে বা ব্যর্থ হইলে কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী ঐ অস্বীকৃতি লিপিবদ্ধ করিয়া আদালতে প্রত্যায়িত করিতে পারিবে; এবং আদালত অতঃপর বিষয়টি অনুসন্ধান করিতে পারিবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে ও বিপক্ষে হাজির করা সাক্ষীর বক্তব্য শোনার পর এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির সমর্থনে কোন বক্তব্য উপস্থাপন করিলে উহা শোনার পর দোষী ব্যক্তিকে আদালত অবমাননার অনুরূপ শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে৷