বীমা জরিপকারীদের লাইসেন্স প্রদান৷
১২৭৷ (১) এই ধারার অধীন লাইসেন্সধারী বীমা জরিপকারী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা সম্পর্কিত কোন ক্ষয়ক্ষতির জরিপ, নিরূপণ কিংবা সমন্বয় করিতে পারিবে না এবং কোন বীমাকারী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাহার লেনদেনকৃত নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়ের সংশ্লিষ্ট কোন দাবী এই ধারার অধীনে লাইসেন্সধারী কোন বীমা জরিপকারী কর্তৃক ক্ষয়ক্ষতি জরিপকৃত, নিরূপিত বা সমন্বয়কৃত যাহা হয়, না হইলে পরিশোধ করিতে পারিবে না ৷
(২) এই ধারার অধীন লাইসেন্স এর জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি সহ, কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(৩) বীমা জরিপকারীদেরকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত, বিভিন্ন উপ-শ্রেণীতে ভাগ করা যাইবে এবং এইরূপ শ্রেণী ভাগ হইলে অনুরূপ প্রত্যেক উপ-শ্রেণীর জন্য পৃথক আবেদন করিতে হইবে এবং পৃথক লাইসেন্স ইস্যু করা হইবে ৷
(৪) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর যেইরূপ উপযুক্ত মনে করে তদ্রূপ তথ্য ও ব্যাখ্যা প্রদান করিতে অথবা তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে কর্তৃপক্ষ সমীপে উপস্থিত হইতে আবেদনকারীকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং আবেদনকারী নির্দেশিত অনুরূপ শর্তাবলী পূরণ করিয়াছে এবং আবেদনকৃত লাইসেন্স পাওয়ার উপযুক্ত এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এর বিধান সাপেক্ষে অনুরূপ লাইসেন্স মঞ্জুর করিবে৷
(৫) কোন আবেদনকারী এই ধারার অধীন কোন উপ-শ্রেণীর লাইসেন্সের জন্য প্রত্যাখ্যাত হইলে তিনি ঐরূপ প্রত্যাখ্যানের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর সময় উত্তীর্ণ না হওয়ার পূর্বে একই উপ-শ্রেণীর লাইসেন্সের জন্য নূতন আবেদন করার অধিকারী হইবেন না৷
(৬) ব্যক্তি আবেদনকারীর ক্ষেত্রে, তিনি নিজে এবং কোম্পানী বা ফার্ম আবেদনকারীর ক্ষেত্রে, উহার কোন পরিচালক বা অংশীদার নিম্নবর্ণিত কোন অযোগ্যতা সম্পন্ন হইবেন না :
(ক) ব্যক্তি নাবালক হন ;
(খ) যোগ্য অধিক্ষেত্র সম্পন্ন আদালত কর্তৃক ঘোষিত অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি হন;
(গ) যোগ্য অধিক্ষেত্র সম্পন্ন আদালত কর্তৃক আত্মসাত্ বা বিশ্বাসভঙ্গ বা প্রতারণা বা জালিয়াতি মূলক অপরাধ করা বা অনুরূপ অপরাধে সহযোগিতা করিবার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি হনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি এইরূপ কোন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হইলে সাজা প্রাপ্তির তারিখ হইতে কিংবা যেই ক্ষেত্রে অর্থদণ্ড সহ বা অর্থদণ্ড ছাড়া কারাদণ্ড হইয়াছে সেইক্ষেত্রে মুক্তি লাভের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পূর্ণ হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তির সাজাপ্রাপ্তি তাহার ঐরূপ আবেদন করিবার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করিবে না মর্মে ঘোষণা করিতে পারিবে৷
(ঘ) কোন বীমা পলিসি বিষয়ে বা কোন বীমা কোম্পানীর অবসায়ন বিষয়ে কোন আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে বা বীমা কোম্পানীর বিষয়াবলী সংক্রান্ত কোন তদন্ত চলাকালে যদি এইরূপ পরিদৃষ্ট হয় যে, উক্ত ব্যক্তি কোন বীমাকারী বা বীমা গ্রহীতার সাথে কোন জালিয়াতি, অসততা বা নিজেকে অন্য ব্যক্তি বলিয়া পরিচয় প্রদানের জন্য বা অনুরূপ কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ গ্রহণ বা সহযোগী হওয়ার জন্য অভিযুক্ত হন৷
(৭) এই ধারার অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স ইস্যুর তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের জন্য বলবৎ থাকিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে, উক্ত লাইসেন্স নবায়ন করা যাইবে।
(৮) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীনে লাইসেন্স প্রদান বা উহার নবায়ন প্রত্যাখ্যান করিলে তাহার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে প্রত্যাখানের কারণসহ আবেদনকারীকে আবেদনের তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে অবহিত করিবে৷
(৯) প্রত্যেক জরিপকারী এবং ক্ষতি নির্ধারক তাহাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব এবং অন্যান্য পেশাগত অন্যান্য বিষয়ে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অনুরূপ আচরণবিধি পরিপালন করিবে৷
(১০) যেইক্ষেত্রে পরিদৃষ্ট হয় যে, কোন বীমা জরিপকারী, ব্যক্তি হইলে তাহার কিংবা কোম্পানী বা ফার্ম হইলে উহার কোন পরিচালক বা অংশীদারের উপ-ধারা (৬) এর অধীনে নির্ধারিত অযোগ্যতাসমূহের কোনটি আছে তবে অন্য কোন শাস্তি বিধানের অধিকার ক্ষুন্ন না করিয়া এবং যদি কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টিসহ প্রমাণিত হয় যে, বীমা জরিপকারী -
(ক) মিথ্যা প্রতিবেদন প্রদান করিয়াছে; বা
(খ) কোন ক্ষতি সামগ্রিকভাবে অত্যধিক মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করিয়াছে; বা
(গ) কোন ক্ষতি অত্যধিক অযৌক্তিকভাবে সমন্বয় করিয়াছে;
তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত জরিপকারীর ধারণকৃত লাইসেন্স বা লাইসেন্সেসমূহ বাতিল করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষের ঐচ্ছিক ক্ষমতাবলে এই ধারার অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল করা হইলে এবং সরকারের নিকট এই বিষয়ে আবেদন করিলে অনুরূপ আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন চাহিতে পারে এবং উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনা করিয়া ও আবেদনকারীর শুনানী গ্রহণ করিয়া কৃর্তপক্ষকে যথোপযুক্ত নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে৷
(১১) কর্তৃপক্ষ এই ধারার অধীনে তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত হারানো, ক্ষতিগ্রস্ত ও ছেঁড়া লাইসেন্সের পরিবর্তে নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে উহার প্রতিলিপি লাইসেন্স ইস্যু করিতে পারিবে৷
(১২) কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধান লংঘনপূর্বক কার্য করিলে তিনি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; এবং লংঘনকারী কোম্পানী হইলে তাহাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন কার্যধারায় গ্রহণীয় ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখিয়া উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা কোম্পানীর অন্য কোন কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ঐরূপ লংঘনের জন্য দায়ী তিনি অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।