(ক) সদস্য না হইয়াও সদস্য হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন;
(খ) চার্টার্ড সেক্রেটারী না হইয়াও চার্টার্ড সেক্রেটারী পদবী ব্যবহার করেন;
(গ) এসোসিয়েট বা ফেলো না হইয়াও নামের পরে এসিএস বা এফসিএস পদবী ব্যবহার করেন;
(ঘ) কোন সদস্যের প্রাইভেট প্র্যাকটিস সনদ না থাকা সত্ত্বেও এইভাবে প্রচার করেন যে তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিসে আছেন;
(ঙ) সদস্য না হইয়াও চার্টার্ড সেক্রেটারী হিসাবে প্র্যাকটিস করেন;
তাহা হইলে তিনি প্রথমবার দোষী সাব্যস্ত হইলে অনধিক ছয় মাস কারাদন্ডে বা অনধিক পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে এবং পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হইলে প্রতিবারের জন্য অনধিক এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডিত হইবেন।
ইনস্টিটিউটের নাম ব্যবহার ও চার্টার্ড সেক্রেটারী ডিগ্রী প্রদানের দন্ড
২৮। (১) এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-
(ক) এমন কোন নাম বা সীলমোহর ব্যবহার করিবেন না যাহা ইনস্টিটিউটের নাম বা সাধারণ সীলমোহরের অনুরূপ; এবং
(খ) এমন কোন ডিগ্রী, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট বা পদবী প্রদান করিবেন না যাহা চার্টার্ড সেক্রেটারীর যোগ্যতার অনুরূপ বিবেচিত হয়।
(২) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য প্রথমবার দোষী সাব্যস্ত হইলে অনধিক ছয় মাস কারাদন্ডে বা অনধিক পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে এবং পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হইলে প্রতিবারের জন্য অনধিক এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
লিমিটেড কোম্পানী কর্তৃক চার্টার্ড সেক্রেটারী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ
২৯। (১) কোন লিমিটেড কোম্পানী, বাংলাদেশে নিবন্ধিত হউক বা না হউক, চার্টার্ড সেক্রেটারী হিসাবে প্র্যাকটিস করিতে পারিবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘনকারী কোন কোম্পানী প্র মবার দোষী সাব্যস্ত হইলে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং পরবর্তীতে একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবে।
(৩) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
ব্যাখ্যা : এই ধারায়-
(ক) "কোম্পানী" বলিতে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এ সংজ্ঞায়িত কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে;
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে "পরিচালক" বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
৩০। ইনস্টিটিউট, কাউন্সিলের কোন সদস্য অথবা ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না।
Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর প্রয়োগ, ইত্যাদি
৩১। এই আইনের অধীন কৃত অপরাধের জন্য কোন অভিযোগ দাখিল, তদন্ত, শুনানী, আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তি এবং বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর বিধানাবলী অনুসরণ করা হইবে।
আপীল
৩২। এই আইনের অধীনে কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্দ হইলে তিনি উক্ত রায় বা আদেশ প্রদত্ত হইবার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।