প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

চার্টার্ড সেক্রেটারীজ আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ২৫ নং আইন )

তৃতীয় অধ্যায়

সদস্যপদ, যোগ্যতা ও অযোগ্যতা এবং রেজিস্টার, ইত্যাদি

পেশাগত অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
২১। (১) কোন তথ্য বা অভিযোগের ভিত্তিতে বা কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন সদস্য পেশাগত বা অন্য কোনভাবে ধারা ২০ এর অধীন কোন অসদারচরণে লিপ্ত বা অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত, তাহা হইলে কাউন্সিল বিষয়টি তদন্ত করিবার জন্য শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং শৃঙ্খলা কমিটি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তদন্তপূর্বক উহার তদন্তের প্রতিবেদন কাউন্সিলের নিকট পেশ করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল যদি এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, সংশ্লিষ্ট সদস্য কোন পেশাগত অসদাচণের দায়ে দোষী নহেন, তাহা হইলে অভিযোগটি খারিজ করিয়া দিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর যদি কাউন্সিল মনে করে যে, সংশ্লিষ্ট সদস্য কোন পেশাগত অসদাচরণের দায়ে দোষী, তাহা হইলে কাউন্সিল তাহাকে যুক্তিসঙ্গত শুনানীর সুযোগ প্রদানপূর্বক নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা :-
 
 
(ক) তিরস্কার;
 
(খ) রেজিস্টার হইতে সাময়িকভাবে নাম অপসারণ; বা
 
 
(গ) রেজিস্টার হইতে স্থায়ীভাবে নাম অপসারণ।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ সদস্য সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবে এবং সরকার উক্ত আপীল দায়েরের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিবে এবং এই ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
 
 
(৫) সরকার উপ-ধারা (৪) এর উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে উহা মঞ্জুর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs