ধর্মঘট এবং লক-আউট
৪৬। (১) মীমাংসা কার্যক্রমের মাধ্যমে কোন মীমাংসায় উপনীত হওয়া সম্ভব না হইলে এবং বিরোধীয় পক্ষগণ ধারা ৪৫ এর অধীন বিরোধটি একজন সালিসকারীর নিকট প্রেরণ করিতে সম্মত না হইলে, ধারা ৪২ এর অধীন নোটিশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর, অথবা বিরোধীয় পক্ষগণের প্রতি মীমাংসাকারী কর্তৃক মীমাংসা কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হইয়াছে মর্মে সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার পর, যাহা পরে হয়, শ্রমিকগণ ধর্মঘটে যাইতে পারিবে অথবা, ক্ষেত্রমত, মালিক লকআউট ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) বিরোধের পক্ষগণ, যে কোন সময়, ধর্মঘট বা লক-আউট আরম্ভ হইবার পূর্বে বা পরে, বিরোধের বিচারের জন্য ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালে যৌথ দরখাস্ত দায়ের করিতে পারিবে।
(৩) ধর্মঘট বা লক-আউট ১৫ দিনের অধিক অব্যাহত থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান, লিখিত আদেশ দ্বারা, ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্তরূপ ধর্মঘট বা লক-আউটের ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হইতেছে অথবা উহা জনস্বার্থে বা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা উক্তরূপ ধর্মঘট বা লক-আউটের মেয়াদ ১৫ (পনের) দিন পূর্তির পূর্বেই যে কোন সময় ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।
(৫) নির্বাহী চেয়ারম্যান কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিলে, তিনি তৎক্ষণাৎ বিরোধটি ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করিবেন।
(৬) ট্রাইব্যুনাল, বিরোধের উভয় পক্ষকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া, যত দ্রুত সম্ভব, যেরূপ সমীচীন মনে করিবে সেইরূপ রোয়েদাদ প্রদান করিবে, কিন্তু রোয়েদাদ প্রদানের সময়সীমা, বিরোধটি ইহার নিকট প্রেরিত হইবার তারিখ হইতে ৪০ দিনের বেশি হইবে না।
(৭) ট্রাইব্যুনাল, বিরোধীয় যে কোন বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রোয়েদাদও প্রদান করিতে পারিবে এবং রোয়েদাদ প্রদানে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিলম্ব হইবার কারণে, তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোন রোয়েদাদের বৈধতা ক্ষুন্ন হইবে না।
(৮) ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ, রোয়েদাদে বর্ণিত মেয়াদের জন্য বৈধ থাকিবে, তবে উহা কোনক্রমেই দুই বৎসরের অধিক সময়ের জন্য বৈধ থাকিবে না।