প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৪৩ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল, আপীল ট্রাইব্যুনাল, ইত্যাদি

ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল
৪৮। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তদ্বিবেচনায় যত সংখ্যক প্রয়োজন ততসংখ্যক ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকাসমূহের জন্য প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং যে ক্ষেত্রে একাধিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হইবে, সেক্ষেত্রে সরকার উক্ত গেজেটে প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা বা এলাকাসমূহ নির্দিষ্ট করিয়া দিবে।
 
 
(২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং, একজন মালিকদের এবং একজন শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসাবে চেয়ারম্যানকে পরামর্শদানের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত, দুইজন সদস্যের সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে।
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগলাভের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না, যদি না তিনি জেলাজজ বা অতিরিক্ত জেলাজজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা আছেন।
 
 
(৪) ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) এই আইনের অধীন প্রেরিত বা দায়েরকৃত শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তি;
 
 
(খ) মীমাংসার শর্তাবলী কার্যকরণ বা লংঘন সংক্রান্ত কোন বিষয় নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত হইলে উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধান ও বিচার;
 
 
(গ) এই আইন অথবা বিধি বা প্রবিধানের অধীন কৃত অপরাধ, এবং সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট অন্য যে কোন আইনের অধীনে কৃত অপরাধের বিচার; এবং
 
 
(ঘ) এই আইনের দ্বারা বা ইহার অধীন, অথবা অন্য যে কোন আইনের অধীন ইহার উপর ন্যস্ত বা আরোপিত অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করা।
 
 
(৫) বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ট্রাইব্যুনালকে উক্ত আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের বা কার্য সম্পাদনের এখতিয়ার প্রদান করিতে পারিবে এবং, উক্তরূপে এখতিয়ার প্রাপ্ত হইলে, ট্রাইব্যুনাল উক্ত আইনের অধীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উক্তরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
 
 
(৬) ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য ট্রাইব্যুনালের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকিলে অথবা উপস্থিত হইতে অসমর্থ হইলেও, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অব্যাহত থাকিবে এবং উক্ত সদস্যের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে; এবং কেবল একজন সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ অবৈধ হইবে না, কিংবা এই বিষয়ে কোনরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs