প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৪৩ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল, আপীল ট্রাইব্যুনাল, ইত্যাদি

ট্রাইব্যুনালের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা
৪৯। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যধারার ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) এ বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে।
 
 
(২) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) এর অধীন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুরূপ ক্ষমতার অধিকারী হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়েরের প্রশ্নে উক্ত ট্রাইব্যুনাল উক্ত কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালতের সমমর্যাদাসম্পন্ন গণ্য হইবে।
 
 
(৩) শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে, এবং দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর অধীন দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ ক্ষমতাসহ উহার নিম্নোক্ত ক্ষমতাবলী থাকিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) কোন ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হইতে বাধ্য করা এবং শপথ পাঠ করানোপূর্বক তাহার সাক্ষ¨ গ্রহণ করা;
 
 
(খ) দলিলপত্র ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করিতে বাধ্য করা;
 
 
(গ) সাক্ষী ও দলিলপত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কমিশন নিয়োগ করা; এবং
 
 
(ঘ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতিতে একতরফা সিদ্ধান্ত প্রদান করা।
 
 
(৪) কোন মামলা দায়ের, দলিলপত্র প্রদর্শন বা রেকর্ড করিবার জন্য কিংবা ট্রাইব্যুনাল হইতে কোন দলিল সংগ্রহের জন্য কোনরূপ কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs