ক্রামিত্মকালীন ও অস্থায়ী বিধান
৮১। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারায় অন্তর্ভুক্ত ক্রামিত্মকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী কার্যকর হইবে।
(২) ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত কোন এলাকায় কোন শিল্প ইউনিটে ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ থাকিবে।
(৩) ধারা ৪৫ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পর হইতে শুরু করিয়া এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়কাল, পক্ষগণের জন্য সালিস বাধ্যতামূলক হইবে।
(৪) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সালিসকারীগণের মধ্য হইতে পক্ষগণ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সালিসকারী নিয়োগ করিবেন। পক্ষগণ সালিসকারী নির্বাচন করিতে সম্মত হইতে ব্যর্থ হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান তৎকর্তৃক অনুমোদিত তালিকা হইতে একজন সালিসকারীকে দায়িত্ব অর্পণ করিবেন। সালিসের জন্য অনুরোধ করিবার তারিখ হইতে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সালিসকারীর নির্বাচন বা নিয়োগ সম্পন্ন করিতে হইবে এবং সালিসের শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করিতে হইবে। প্রথম শুনানীর তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ দিবসের মধ্যে সালিসের শুনানী পরিসমাপ্ত হইবে এবং রোয়েদাদ প্রদত্ত হইবে।
(৫) সালিসকারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উহা বলবৎযোগ্য হইবে। নির্বাহী চেয়ারম্যান সালিসকারীর সিদ্ধান্তের শর্তসমূহ কার্যকর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৬) সালিশকারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত হইতে সীমিত পরিসরে কেবল ঐ সকল ক্ষেত্রে আপীল চলিবে যে সকল ক্ষেত্রে সালিসকারীর সিদ্ধান্তের প্রতারণা, দুর্নীতি অথবা অন্যান্য গুরুতর ত্রুটির যুত্তিসংগত সন্দেহ বা প্রমাণ বিদ্যমান রহিয়াছে।
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আপীল শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে দায়ের করিতে হইবে এবং দায়ের হইবার ৩০ দিনের মধ্যে আপীল ট্রাইব্যুনাল উক্ত আপীল নিষ্পত্তি করিবে; এবং আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষগণের মধ্যে উহা বাধ্যকর হইবে।