প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৪৯ নং আইন )

কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি বিলোপ, ইত্যাদি
৫৯।(১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার তেজগাঁও-এ অবস্থিত কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি, অতঃপর উক্ত কলেজ বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে।
 
 
(২) উক্ত কলেজ বিলুপ্ত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
 
 
(ক) উক্ত কলেজের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং অন্যান্য সকল দাবি, অধিকার, দায়-দেনা ও ঋণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বলিয়া গণ্য হইবেঃ
 
তবে বিলুপ্ত কলেজের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদের পরিসংখ্যানপত্র(Inventory)প্রস্তুত করিতে হইবে;
 
(খ) উক্ত কলেজের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প ও দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প ও দায়িত্ব হইবে;
 
(গ) উক্ত কলেজের সকল তহবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল হইবে;
 
 
(ঘ) উক্ত কলেজ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বা সূচিত কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বা সূচিত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;
 
(ঙ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত উক্ত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল হইবে এবং এই আইনের অধীন উক্ত কলেজের বিষয়-সম্পত্তি, শিক্ষক, কর্মচারী বা শিক্ষার্থীর বিষয়ে এই আইন অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এখতিয়ার থাকিবে না;
 
(চ) উক্ত কলেজে এই আইন প্রবর্তনের পূর্ব হইতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ এই আইনের অধীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হইবেন এবং চলমান কোর্স সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে বিবেচিত হইবেন এবং তাহাদের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষংগিক নিয়মাবলী আর প্রযোজ্য হইবে না ঃ
 
তবে কোন শিক্ষার্থী ইচ্ছা করিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর বহাল রাখিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাইবেন;
 
(ছ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ, ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন;
 
(জ) উক্ত কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরী তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে ন্যস্ত হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ন্যস্ত হইবার পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উক্ত শর্ত পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত একই শর্তে তাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের চাকুরীর সময়কাল গণনাপূর্বক অবসরকালীন পূর্ণ আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হইবেঃ
 
আরো শর্ত থাকে যে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অন্যূন একটিতে প্রথম শ্রেণী না থাকিলে শিক্ষক পদে কেহ আত্মীকরণের যোগ্য হইবেন না, তবে পিএইচডি ডিগ্রী থাকিলে তাঁহার ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য হইবে না;
 
(ঝ) উক্ত কলেজে প্রেষণে কর্মরত (যদি থাকে) সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় হইতে তাহাদের মূল বিভাগে(Parent Department)প্রত্যাহৃত হইবেন;
 
(ঞ) উক্ত কলেজের সমাপ্ত প্রকল্পের পদসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত পদসমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাকুরী বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক নিয়মিত করা হইবে; এবং
 
(ট) দফা (জ) এর অধীন ন্যাস্তকৃত কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে নিয়োজিত না থাকিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া যদি এই আইন কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট লিখিত আবেদন করেন কিংবা নিয়োজিত হইবার অযোগ্য হন, তাহা হইলে তিনি বিলুপ্ত কলেজের চাকুরীর শর্তাধীনে যে সকল আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হইতেন সেই সকল সুবিধাদি গ্রহণ করিয়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিবেন কিংবা, ড়্গেত্রমত, অব্যাহতি পাইবেন।
 
(৩) উক্তরূপ বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও-
 
(ক) উক্ত কলেজ কর্তৃক কৃত যাবতীয় কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বালিয়া গণ্য হইবে;
 
(খ) এই আইন মোতাবেক সিন্ডিকেট গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত কলেজের প্রশাসনিক পরিষদের সদস্যবৃন্দ সিন্ডিকেটের দায়িত্ব পালন করিবেন; এবং
 
(গ) এই আইনের অধীন উক্ত কলেজের প্রশাসনিক পরিষদ ব্যতীত তদ্‌সংক্রান্ত অন্য কোন কমিটি বা কর্তৃপক্ষ, উহার গঠন বা, কার্যপরিধি, এই আইনের বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলে, এইরূপ অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত কমিটি বা কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন গঠিত হইয়াছে।
 
(৪) উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs