স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এখতিয়ার
৬। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিবেশ আইনে বর্ণিত সকল অপরাধের বিচারের জন্য মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরাসরি মামলা দায়ের করিতে পারিবেন অথবা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে থানায় এজাহার দায়ের করিতে পারিবেন।
(২) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন অপরাধসহ পরিবেশ আইনে বর্ণিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ড আরোপ, উক্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উহার অংশবিশেষ, যানবাহন বা অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী বা বস্তু বাজেয়াপ্ত বা বিলিবন্দেজ করার আদেশ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য আদেশ বা ডিক্রি প্রদান করিতে পারিবে; এবং এতদ্ব্যতীত উক্ত আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে একই রায়ে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ--
(ক) যে কাজ করা বা না করার কারণে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে, উহার পুনরাবৃত্তি না করা বা অব্যাহত না রাখার জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;
(খ) উক্ত অপরাধ বা ঘটনার কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হইয়াছে বা হইতে পারে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি অনুসারে আদালতের বিবেচনামত উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক বা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত ব্যক্তিকে বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;
(গ) দফা (খ) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ এবং মহা-পরিচালক বা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদানঃ
তবে শর্ত থাকে যে, দফা (খ) বা (গ) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পুনঃবিবেচনার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি রায় প্রদানের তারিখের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আবেদন করিতে পারিবেন এবং মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া এইরূপ আবেদন আদালত পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে।
(৩) পরিদর্শকের লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের ভিত্তিতে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি উহার ভিত্তিতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন নাই অথবা উক্ত অভিযোগ গ্রহণের যৌক্তিকতা আছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকেই সরাসরি উক্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে বা যথাযথ মনে করিলে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের জন্য উক্ত পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।