প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৫৬ নং আইন )

অপরাধের অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদমত্ম পদ্ধতি
১২। (১) পরিবেশ আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় সাধারণভাবে একজন পরিদর্শক অনুসন্ধান করিবেন, তবে কোন বিশেষ ধরনের অপরাধ বা কোন নির্দিষ্ট অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে মহা-পরিচালক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার অধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তাকেও ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উক্ত পরিদর্শক বা কর্মকর্তা, অতঃপর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বলিয়া উল্লিখিত, কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ বা অন্য যে কোন তথ্যের ভিত্তিতে, মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণক্রমে, এই ধারার অধীন কার্যক্রম শুরু করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) কোন অপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার পূর্বে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উক্ত অপরাধ সম্পর্কে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতঃ একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এতদুদ্দেশ্যে মহা-পরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত তাঁহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন এবং দ্বিতীয়োক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন যে, বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা অথবা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইন বা এই আইন বা সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুসারে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা আদৌ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সমীচীন কি না এবং তদনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) অনুসারে আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি এজাহার সংশ্লিষ্ট থানায় পেশ করিবেন যাহা অপরাধ সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য হিসাবে থানায় লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং অতঃপর উক্ত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রমত, মহা-পরিচালক-এর নিকট হইতে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা তদন্ত করিবেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
(৫) কোন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুসারে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি, এই আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণ করিবেন।
 
 
(৬) আনুষ্ঠানিক তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান পর্যায়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডকৃত জবানবন্দী, আটককৃত বস্তু, সংগৃহীত নমুনা বা অন্যান্য তথ্য আনুষ্ঠানিক তদন্তের প্রয়োজনে বিবেচনা ও ব্যবহার করা যাইবে।
 
 
(৭) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা, মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণক্রমে, তাহার তদন্ত রিপোর্টের মূল কপি এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট মূল কাগজপত্র বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি সরাসরি পরিবেশ আদালত বা ক্ষেত্রমত, স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিল করিবেন এবং একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে এবং আরেকটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা করিবেন এবং এইরূপ রিপোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৭৩ এর অধীন প্রদত্ত পুলিশ রিপোর্ট বলিয়া গণ্য হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দলিলপত্রের মূল কপি আদালতে দাখিল করা সম্ভব না হইলে তাহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রিপোর্টের সহিত আদালতে দাখিল করিতে হইবে।
 
 
(৮) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্বেও, অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে, উক্ত উপ-ধারার অধীন আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পূর্বে অনুসন্ধান বা ক্ষেত্রমত, তদন্তকালে অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, উহা সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে।
 
 
(৯) যদি পরিবেশ আইন এর অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের তদন্ত ও বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন, তাহা হইলে পরিবেশ আইন এর অধীন অপরাধের সহিত জড়িত পরিবেশ আইন বহির্ভূত অপরাধও উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তযোগ্য হইবে।
 
 
(১০) পরিবেশ আইনে বর্ণিত অপরাধ সংক্রান্ত অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সরকার পরিবেশ অধিদপ্তর বহির্ভূত অন্য কোন কর্মকর্তাকে বা কোন শ্রেণীর কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে পরিবে।
 
 
(১১) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্ট অনুষ্ঠানকালে পরিদর্শক বা এতদুদ্দেশ্যে মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এই ধারায় বর্ণিত আনুষ্ঠানিকতা ব্যতিরেকে, পরিবেশ আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে মর্মে অভিযোগ সরাসরি স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট দায়ের করিতে পারিবেন এবং উহার ভিত্তিতে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লইতে ও উহার বিচার করিতে অথবা ক্ষেত্রমত, বিচারার্থ প্রেরণ করিতে পারিবেন।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs