প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৫৬ নং আইন )

পরিবেশ আদালতের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা
১৪। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের ও বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং পরিবেশ আদালত একটি ফৌজদারী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং ফৌজদারী কার্যবিধিতে দায়রা আদালত কর্তৃক কোন মামলা নিষ্পত্তির জন্য যে পদ্ধতি নির্ধারিত আছে পরিবেশ আদালত সেই পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া মামলা বিচারার্থ গ্রহণ, বিচার ও নিষ্পত্তি করিবে।
 
 
(২) পরিবেশ আদালত উহার নিকট বিচারাধীন কোন মামলা সংক্রান্ত অপরাধ সম্পর্কে অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বা ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশে তদন্তের প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে।
 
 
(৩) এই আইন বা পরিবেশ আইন দ্বারা ন্যস্ত যে কোন ক্ষমতা পরিবেশ আদালত প্রয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৪) পরিবেশ আদালতে বিচার্য সকল মামলা মহা-পরিচালক কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী পরিচালনা করিবেন এবং উক্তরূপে নিয়োজিত আইনজীবী অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ সরকারী কৌঁশুলী বলিয়া গণ্য হইবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, পরিদর্শক বা মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা মামলা পরিচালনায় উক্ত আইনজীবীকে সহায়তা করিতে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতে তাঁহার বক্তব্য উপস্থাপন করিতে পারিবেন।
 
 
(৫) যদি পরিবেশ আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন তাহা হইলে পরিবেশ আইন বহির্ভূত অপরাধও একই সঙ্গে একই মামলায় পরিবেশ আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।
 
 
(৬) ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলা বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে পরিবেশ আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন কোন ক্ষতিপূরণের মামলা বিচারের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৭) পরিবেশ আদালতের তলব অনুসারে উপস্থিত কোন মামলার সাক্ষীকে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেকে ফেরত বা ছাড়িয়া দেওয়া যাইবে না, তবে আদালতের সাধারণ দৈনিক কর্মসময় শেষ হওয়ার প্রাক্কালে যে মামলার শুনানী বা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়, কর্মসময় শেষ হওয়ার পরও উক্ত মামলার শুনানী বা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান থাকিতে পারিবে।
 
 
(৮) অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে এবং ক্ষতিপূরণ দাবীর মামলায় ইস্যু নির্ধারণের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে পরিবেশ আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।
 
 
(৯) উপ-ধারা (৮) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে পরিবেশ আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিবেশ আপীল আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবেঃ
 
 
তবে, বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কোন মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন না হইলে বর্ধিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলা অন্য পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর করার জন্য মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা আইনজীবী পরিবেশ আপীল আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং এইরূপ দরখাস্তের ভিত্তিতে পরিবেশ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারিবে।
 
 
(১০) উপ-ধারা (৯) অনুসারে কোনো মামলা যে পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর করা হইবে সেই আদালত কর্তৃক উক্ত মামলার বিচার নতুন করিয়া শুরু করিতে হইবে না, বরং পূর্ববর্তী পরিবেশ আদালত যে পর্যন্ত কার্য সম্পাদন করিয়াছেন তাহার পর হইতে অবশিষ্ট কার্য সম্পাদন করিবেন এবং মামলার নথি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।
 
 
(১১) উপ-ধারা (৮), (৯) ও (১০) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচার সম্পন্ন না হইলে সেইজন্য কে বা কাহারা দায়ী তাহা পরিবেশ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্ত করিয়া বা করাইয়া নির্ণয় করিবে এবং তদ্‌ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তির বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমীপে সুপারিশ প্রেরণ করিবে।
 
 
(১২) উপ-ধারা (১১) এ উল্লিখিত সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম ও ফলাফল উক্ত সুপারিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে পরিবেশ আপীল আদালতে দাখিল করিবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs