প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৫৬ নং আইন )

আপোস মীমাংসা
১৮। (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন) এর কতিপয় অপরাধ মহা-পরিচালকের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে, নিম্নরূপ পদ্ধতিতে আপোস মীমাংসা করা যাইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) উক্ত আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) বা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অমান্যকরণের ফলে সংঘটিত প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্দেশ তামিল করিয়া তামিল প্রতিবেদন দাখিল এবং ন্যুনতম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করিলে;
 
 
(খ) উক্ত আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত এলাকায় নিষিদ্ধ কর্ম বা প্রক্রিয়া চালু রাখা বা শুরুর মাধ্যমে উপ-ধারা (৪) এর লংঘনের ফলে সংঘটিত প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ কর্ম বা প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করিয়া তাহা পুনরায় চালু করা হইবে না মর্মে অংগীকারনামা দাখিল এবং ন্যুনতম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করিলে;
 
 
(গ) মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্ষেত্রমত দফা (ক) বা (খ) এ উল্লিখিত তামিল প্রতিবেদন বা অংগীকারনামা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হইয়া সংশ্লিষ্ট মামলা আপোসে নিষ্পত্তি হইয়াছে বলিয়া ক্ষেত্রমত তামিল প্রতিবেদন বা অংগীকারনামা দাখিল ও জরিমানা পরিশোধের তারিখ, যেইটি পরে হয়, হইতে ০৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করিলে।
 
 
(২) মামলা রুজু হওয়ার পর তদন্তকালে, অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুতিকালে, বিচার চলাকালে এবং আপীল বা রিভিশন চলাকালেও উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত আপোস মীমাংসা করা যাইবে।
 
 
(৩) মহা-পরিচালক কর্তৃক কোন মামলায় আপোস মীমাংসা প্রতিবেদন আদালতে, ক্ষেত্রমত আপীল আদালতে দাখিল করিলে আদালত কর্তৃক উক্ত প্রতিবেদন গৃহীত হইলে সংশ্লিষ্ট মামলা যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় উহার সমাপ্তি ঘোষণা করিবে এবং আসামী আটক থাকিলে তাহাকে মুক্তি দিবে, জামিনে থাকা আসামীকে জামিনের দায় হইতে অব্যাহতি দিবে এবং পরোয়ানাধীন আসামীর পরোয়ানা বাতিল ঘোষণা করিয়া ফেরৎ তলব করিবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs