প্রিন্ট ভিউ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৬৩ নং আইন )

দশম অধ্যায়

গ্রেফতার এবং বিচার-পূর্ব কার্যপদ্ধতি

অপরাধীর গ্রেফতার
৬৩। (১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তির বিরদ্ধে কোন অভিযোগ আনয়ন করা হইলে তাহাকে গ্রেফতার করিয়া বাহিনীর হাজতে আটক রাখা যাইবে।
 
 
(২) বাহিনীর যে কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুরূপ অধিভুক্ত ব্যক্তিকে বাহিনীর হাজতে আটক রাখিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং কর্মকর্তা ব্যতীত অধিভুক্ত অন্যান্য উক্তরূপ বর্ডার গার্ড সদস্যদের ক্ষেত্রে গার্ড পুলিশ সদস্য তদ্ররূপ আটকাদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কোন কর্মকর্তা অন্য কোন কর্মকর্তাকে, ঊর্ধ্বতন পদবীর কর্মকর্তা হউক বা না হউক, যদি তিনি কলহ, প্রকাশ্যে মারামারি অথবা বিশৃংখলায় লিপ্ত হন, তাহা হইলে তাহাকে গ্রেফতার করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অধিনায়কের কর্তব্য
৬৪। প্রত্যেক অধিনায়ক এই মর্মে সতর্ক থাকিবেন যেন, তাহার কমান্ডের আওতাধীন কোন ব্যক্তি, কোন অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়া তাহার নিকট আনীত হইলে, অভিযোগের তদন্ত শুরু করা ব্যতীত গ্রেফতার হইবার সময় হইতে ৪৮ ঘন্টার অধিক আটক না থাকে, যদি না উক্ত সময়ের মধ্যে জনস্বার্থে বা চাকুরীর স্বার্থে উক্ত তদন্ত অনুষ্ঠান অসম্ভব হয় এবং ৪৮ ঘন্টার অধিক সময় বর্ডার গার্ড হাজতে আটক প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আটকের বিদ্যমান কারণসমূহ উল্লেখ করিয়া অধিনায়ক অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচারের নিমিত্ত স্পেশাল সামারী বর্ডার গার্ড আদালত গঠনকারী কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ৪৮ ঘন্টা গণনার ক্ষেত্রে সকল সরকারি ছুটির দিন ও যাত্রার সময় বাদ দিতে হইবে।
 
 
গ্রেফতার এবং বিচার অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তী সময়
৬৫। ধারা ৬৪এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত এবং যুদ্ধাবস্থায় অথবা সক্রিয় কর্তব্যরত অবস্থায় নাই এইরূপ যে কোন ব্যক্তির বিচারের জন্য বাহিনীর আদালত গঠন করা ব্যতীত, তাহাকে ৮ (আট) দিনের অধিক সময় অন্তরীণ রাখা হইলে, তাহার অধিনায়ক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষর নিকট উক্ত বিলম্বের কারণ উল্লেখ করিয়া একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন এবং বিচার অনুষ্ঠান না হওয়া অথবা উক্ত ব্যক্তিকে আটক অবস্থা হইতে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি ৮ (আট) দিন অন্তর অনুরূপ প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে থাকিবেন।
অসামরিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রেফতার
৬৬।(১) এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি, যখন কোন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কর্মকর্তার এখতিয়ারাধীন থাকেন, তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির অধিনায়কের স্বাক্ষর সম্বলিত পত্র বা আবেদন প্রাপ্তির পর অনুরূপ ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং বাহিনীর হাজতে হস্তান্তর করিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গ্রেফতারকারী কর্তৃপক্ষ বাহিনীর কোন সদস্যকে গ্রেফতার করিবার পর নিকটস্থ কোন ব্যাটালিয়ন, ইউনিট বা স্থাপনার অধিনায়ক বা গার্ড পুলিশকে অবহিত করিয়া উপযুক্ত কর্মকর্তার হেফাজতে হস্তান্তর করিবেন।
পলাতকের গ্রেফতার
৬৭।(১) যখন অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি চাকুরী হইতে পলায়ন করেন, তখন তাহার অধিনায়ক উক্ত পলাতককে গ্রেফতারের জন্য সহায়তা প্রদান করিতে সক্ষম এইরূপ অসামরিক কর্তৃপক্ষকে উক্ত পলায়নের সংবাদটি লিখিতভাবে অবহিত করিবেন এবং অতঃপর অনুরূপ অসামরিক কর্তৃপক্ষ উক্ত পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিবার নিমিত্ত এমনভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন যেন, তাহার বিরূদ্ধে এখতিয়ার সম্পন্ন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হইয়াছে এবং উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিয়া বাহিনীর হেফাজতে হস্তান্তর করিবেন।
 
 
(২) পরোয়ানা ব্যতীত কোন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক কোন ব্যক্তি যাহাকে তিনি যুক্তিসংঘত- ভাবে এই আইনের অধিভুক্ত একজন ব্যক্তি এবং পলাতক বা ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিত বলিয়া মনে করেন, তাহাকে গ্রেফতার করিবেন এবং তাহার বিরূদ্ধে এই আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে নিকটস্থ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করিবেন।
 
 
অভিযোগের তদন্ত সম্পর্কিত বিধান
৬৮।(১) অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যথাযথ অনুমতি ব্যতীত তাহার কর্তব্য হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিন অনুপস্থিত থাকিলে, সংশ্লিষ্ট ইউনিট অধিনায়ক যথাশীঘ্র সম্ভব একটি তদন্ত আদালত গঠন করিবেন এবং উক্তরূপ আদালত, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, শপথ বা হলফ গ্রহণের পর উক্ত ব্যক্তির বিরূদ্ধে অনুপস্থিতিজনিত তদন্ত আরম্ভ করিবে।
 
 
(২) উক্তরূপ আদালত অভিযুক্তের দায়িত্বে অর্পিত কোন সরকারি সম্পত্তি বা অস্ত্র, গোলাবারূদ, সাজ-সরঞ্জামাদি, যন্ত্রপাতি, পোশাক-পরিচ্ছদ বা নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর ঘাটতি হইয়া থাকিলে এবং যথাযথ অনুমতি বা অন্য কোন উপযুক্ত কারণ ব্যতীত উক্ত অনুপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হইলে, উক্তরূপ অনুপস্থিতি ও উহার মেয়াদ এবং উক্ত ক্ষতির পরিমাণ, যদি থাকে, ঘোষণা করিবে এবং উক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট ইউনিটের অধিনায়ক ইউনিট বর্ডার গার্ড আদালত বহিতে উক্ত ঘোষণা লিপিবদ্ধ করিবেন।
 
 
(৩) অনুপস্থিত ঘোষিত ব্যক্তি যদি পরবর্তীকালে আত্মসমর্পণ না করেন বা তাহাকে গ্রেফতার করা না যায়, তাহা হইলে তাহাকে পলাতক বলিয়া গণ্য করা হইবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) হইতে (৩) এ উল্লিখিত বিষয় ব্যতীত অন্য যে কোন বিষয়ের তদন্তের জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তদন্ত আদালত গঠন ও তদন্ত অনুষ্ঠান করা যাইবে।
 
 
গার্ড পুলিশ
৬৯। (১) মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত অধিভুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক গার্ড পুলিশ, অতঃপর ‘গার্ড পুলিশ’ নামে অভিহিত, নিয়োগ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত গার্ড পুলিশের কর্তব্য নিম্নরূপ হইবেঃ-
 
 
(ক) বাহিনীতে সু-আচরণ ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা; এবং
 
 
(খ) সু-আচরণ ও শৃঙ্খলার ব্যত্যয় প্রতিরোধ করা।
 
 
(৩) ধারা ৬৩ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন অধিভুক্ত ব্যক্তি যখন কোন অপরাধ সংঘটন করেন বা অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তখন গার্ড পুলিশ তাহাকে যে কোন সময় গ্রেফতার করিতে পারিবেন এবং বর্ডার গার্ড আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দন্ডাদেশ অথবা ধারা ৫৯ এর ক্ষমতাবলে কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত দন্ডাদেশ কার্যকর করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs