প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৬৩ নং আইন )

অষ্টম অধ্যায়

অপরাধ

শত্রু সম্পর্কিত গুরূতর অপরাধ
২৫। অধিভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি-
 
 
(ক) কোন চৌকি, স্থান অথবা প্রহরাস্থল শত্রুর নিকট পরিত্যাগ বা অর্পণ করেন বা উক্ত কার্য করিতে অন্যকে বাধ্য করেন;
 
 
(খ) শত্রুর উপস্থিতিতে তাহার অস্ত্র, গোলাবারূদ, যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম পরিত্যাগ করেন;
 
 
(গ) প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে শত্রুকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, দ্রব্যসামগ্রী বা অর্থ দ্বারা সাহায্য করেন;
 
 
(ঘ) বন্দী না হওয়া সত্ত্বেও শত্রুকে স্বেচ্ছায় আশ্রয় প্রদান বা রক্ষা করেন;
 
 
(ঙ) যুদ্ধকালে বা কোন অভিযানের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে চৌকি, শিবির, সামরিক বা বর্ডার গার্ড ছাউনিতে মিথ্যা বিপদ সংকেত করেন অথবা ত্রাস বা নৈরাশ্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার করেন;
 
 
(চ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি ব্যতীত অথবা কাপুরুষতাবশতঃ শত্রুর নিকট শান্তি পতাকা বা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রেরণ করেন;
 
 
(ছ) ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বক্তব্য রাখেন বা তাহার অন্য কোন আচরণের মাধ্যমে অধিভুক্ত অন্য কোন ব্যক্তি অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য শত্রুর বিরূদ্ধে সক্রিয় হইতে বিরত থাকিতে বাধ্য হন বা বিরত থাকিতে প্ররোচিত হন অথবা শত্রুর বিরূদ্ধে সক্রিয় হইতে নিরৎসাহিত বোধ করেন;
 
 
(জ) প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া শত্রু পক্ষের সহিত পত্রযোগাযোগ অথবা গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করেন অথবা এইরূপ যোগাযোগ বা আদান-প্রদান সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া উহা অধিনায়ক অথবা অন্য কোন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর নিকট প্রকাশ না করেন;
 
 
(ঝ) যুদ্ধ বা অভিযান চলাকালীন সময়ে তাহার অধিনায়ককে অথবা চৌকি, প্রহরাস্থল, টহল হইতে যথাযথভাবে মুক্ত না হইয়া বা অনুমতি ব্যতীত পরিত্যাগ করেন;
 
 
(ঞ) যুদ্ধবন্দী থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় শত্রুকে সেবা অথবা সাহায্য করেন; অথবা
 
 
(ট) যুদ্ধাবস্থা বিরাজকালীন সময়ে বাংলাদেশ শৃঙ্খলা বাহিনীর অথবা উক্তরূপ বাহিনীর কোন অংশের সফলতাকে জ্ঞাতসারে বিপদাপন্ন করিয়া তোলেন;
 
 
তাহা হইলে তিনি বর্ডার গার্ড আদালত কর্তৃক সর্বোচ্চ ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এই আইনের অধীন যে কোন লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs