১৯৯১ সনের ২২ নং আইনের ধারা ৪১ এর পর নুতন ধারা ৪১ক, ৪১খ, ৪১গ, ৪১ঘ, ৪১ঙ, ৪১চ, ৪১ছ, ৪১জ, ৪১ঝ, ৪১ঞ এবং ৪১ট এর সন্নিবেশ
৭৬। উক্ত আইনের ধারা ৪১ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৪১ক, ৪১খ, ৪১গ, ৪১ঘ, ৪১ঙ, ৪১চ, ৪১ছ, ৪১জ, ৪১ঝ, ৪১ঞ এবং ৪১ট সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-
‘‘৪১ক। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি।-(১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ বা শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট নিম্পন্নাধীন রহিয়াছে, এইরূপ ন্যায়নির্ণয়ন অথবা ধারা ৪১গ এ বর্ণিত কোন বিরোধের ক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি এই আইন ও বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সহায়তাকারীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) ন্যায়নির্ণয়ন বা আপীল চূড়ান্ত হইবার পূর্বে এই ধারার অধীন বিকল্প বিরোধনিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
৪১খ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার প্রয়োগ ও প্রবর্তন।-বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ যেই কমিশনারেটে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির বিধান কার্যকর করিবার জন্য নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে সেই কমিশনারেটে উহা কার্যকর হইবে।
৪১গ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির আওতা ও পরিধি।-(১) এই আইনের অধীন এমন কোন মামলা বা ন্যায়নির্ণয়নের আওতায় বিচারিক প্রক্রিয়া অথবা আপীল এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টসহ মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত মামলা বিচার করিবার এখতিয়ারসম্প্ন্ন অন্য যে কোন আদালতে মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট, অথবা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কারণে কোন ন্যায়নির্ণয়নকারী বা আপীল কর্তৃপক্ষ বা মূল্য সংযোজন কর সংশ্লিষ্ট মামলা বিচার করিবার এখতিয়ারসম্প্ন্ন উপযুক্ত কোন আদালতের নিকট ন্যায়নির্ণয়ন বা নিষ্পন্নাধীন রহিয়াছে; এবং করযোগ্য পণ্যের মূল্য সংযোজন কর ধার্যের উদ্দেশ্যে মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক মূল্য অনুমোদনের কারণে সংক্ষুব্ধ হইয়া কোন ব্যক্তি কর্তৃক কমিশনারের নিকট লিখিতভাবে আপত্তি দাখিলের বিষয়সমূহও বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির আওতাভুক্ত হইবে।
(২) নিম্নবর্ণিত বিরোধসমূহ বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে, যথা:-
(ক) এই আইনের অধীন করযোগ্য পণ্যের মূল্য অনুমোদন সংক্রান্ত বিরোধসমূহ, যাহা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে উদ্ভূত এবং যথাযথ মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ বা আপীলাত কর্তৃপক্ষ অথবা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টসহ অন্য যে কোন আদালতে নিষ্পন্নাধীন রহিয়াছে; এবং
(খ) এই আইনের অধীন অন্য যে কোন প্রকার কর সংক্রান্ত বিরোধ, যাহা দাবীনামা সংক্রান্ত নোটিশ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ বা এতদ্সংক্রান্ত অন্য কোন নোটিশ জারীর সূত্রে উদূতভ এবং যাহা এই আইনের অধীনে মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ বা আপীলাত কর্তৃপক্ষ বা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টসহ অন্য কোন আদালতের নিকট নিষ্পনড়বাধীন রহিয়াছে:
তবে শর্ত থাকে যে, জালিয়াতি বা ফৌজদারী অপরাধ সংক্রান্ত মামলা, বিরোধ, অসত্য ঘোষণা বা মিথ্যা তথ্য বা দলিলাদি সরবরাহের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা বা বিরোধ এবং জনস্বার্থে সাধারণ বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন, এইরূপ গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিষয় বা তাহার ব্যাখ্যা সম্পর্কিত বিরোধসমূহ এই আইনের অধীন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার আওতা বর্হিভূত হইবে।
৪১ঘ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী (Facilitator) নিয়োগ এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমুহের দায়-দায়িত্ব।-বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার জন্য সহায়তাকারী (Facilitator) নির্বাচন (selection) বা নিয়োগ, সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী ব্যক্তির কর্তব্য ও দায়িত্ব এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সমঝোতার (Negotiation) জন্য মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচন এবং তাহাদের দায়-দায়িত্ব বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৪১ঙ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য আবেদনপত্র দাখিল।-(১) ধারা ৪১গ এ বর্ণিত কোন বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে উদ্ভূত এবং নিষ্পন্নাধীন বিরোধসমূহের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা মূল্য সংযোজন কর কমিশনার, ন্যায়নির্ণয়কারী কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, আপীলাত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন দাখিলের সময় সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী এইমর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করিবেন যে, সংশ্লিষ্ট বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন ন্যায়নির্ণয়ন সম্প্ন্ন বা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হয় নাই।
(৩) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া প্রবর্তনের পর এই আইনের ধারা ৩৭, ৪২ ও ৫৫ এর অধীন সংশ্লিষ্ট ন্যায়নির্ণয়কারী কর্মকর্তা বা আপীলাত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কারণ দর্শানো নোটিশ, দাবীনামা সংক্রান্ত নোটিশ, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ সংক্রান্ত নোটিশ বা ধারা ৫ এর অধীন মূল্য অনুমোদন সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত বা এতদ্সংক্রান্ত অন্য যে কোন নোটিশ হইতে উদ্ভূত কোন বিরোধের ক্ষেত্রে উক্তরূপ নোটিশ জারীর ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করিতে হইবে।
(৪) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তিযোগ্য কোন মামলা, যাহা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের যে কোন বিভাগে নিষ্পনড়বাধীন রহিয়াছে, তাহা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইচ্ছা করিলে হাইকোর্ট বিভাগ বা আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদনপত্র দাখিলের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুমতি সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৫) হাইকোর্ট বিভাগ বা আপীল বিভাগ কতৃর্ক বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার জন্য অনুমতি প্রদানের পর বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্প্ন্ন হওয়ার মেয়াদকাল পর্যন্ত, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটি স্থগিত (Stay) থাকিবে।
(৬) যদি হাইকোর্ট বিভাগ বা আপীল বিভাগ উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আবেদনের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদানসহ আবেদনপত্রটি মঞ্জুর করেন, তাহা হইলে নির্দেশিত কর্তৃপক্ষ, আইন দ্বারা বারিত না হইলে, উক্তরূপ নির্দেশিত পন্থায় মামলাটি নিষ্পত্তি করিবেন।
৪১চ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির জন্য আবেদনসমুহ প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্পত্তি।-এই আইনের অধীন বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনপত্র বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
৪১ছ। সমঝোতা (Negotiation) এবং নিষ্পত্তির সময়সীমা।-(১) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াধীন কোন আবেদনপত্র যেই মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেটে দাখিল করা হইয়াছে, সেই একই কমিশনারেটে উক্ত বিরোধের উদ্ভব হইয়া থাকিলে, তাহা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সকল আনুষ্ঠানিকতা বা সমঝোতা, মতৈক্য বা মতানৈক্য বা নিষ্পত্তি উক্ত আবেদনপত্র দাখিলের সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সম্প্ন্ন করিতে হইবে।
(২) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় দাখিলকৃত আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট কমিশনার (আপীল), আপীলাত ট্রাইব্যুনাল অথবা অন্য কোন আদালত যেখানে উহা নিষ্পন্নাধীন রহিয়াছে, তাহা আবেদনপত্র দাখিলের সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
৪১জ। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত।-(১) যেই ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ বিরোধ সংক্রান্ত কোন ঘটনা বা আইন (Fact or law) সম্পর্কে ঐক্যমত পোষণ করেন, সেই ক্ষেত্রে বিরোধীয় বিষয়ে মতৈক্যের ভিত্তিতে (By agreement) আংশিক অথবা সম্পূর্ণভাবে উহা বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা যাইবে।
(২) যেই ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী ব্যক্তি এবং মূল্য সংযোজন কর কমিশনারের প্রতিনিধির মধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ মতৈক্যের ভিত্তিতে কোন বিরোধ নিষ্পত্তি হইবে, সেই ক্ষেত্রে সহায়তাকারী (Facilitator),পক্ষদ্বয়ের মধ্যে উপনীত মতৈক্যের বিষয়াদি বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উহা সংক্ষুব্ধ আবেদনকারী ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট কমিশনার এবং বোর্ডকে ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে অবহিত করিবেন।
(৩) কর, জরিমানা, অর্থদন্ড ইত্যাদি পরিশোধ, ফেরত প্রদান বা এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতৈক্যের শর্তসমূহ (Terms of Agreement), সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে সহায়তাকারী লিপিবদ্ধ করিবেন যেন উহা সুষ্ঠুরূপে বাসত্মবায়ন করা সম্ভবপর হয়।
(৪) মতৈক্যের (Agreement) বিষয়টি আবেদনকারী, মূল্য সংযোজন কর কমিশনারের প্রতিনিধি এবং সহায়তাকারী কর্তৃক সীলমোহরকৃত এবং স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।
(৫) যেই ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে এই মর্মে তথ্য উদ্ঘাটিত হইবে যে, আবেদনকারী কর্তৃক জালিয়াতি বা অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে উপ-ধারা (১) এর অধীন মতৈক্যটি (Agreement) গৃহীত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্তরূপে উপনীত মতৈক্যের বিষয়টি শুরু হইতে বাতিল(Void ab initio) বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) যেই ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কোন মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভবপর হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে সহায়তাকারী উক্তরূপ ব্যর্থ বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদনকারী, সংশ্লিষ্ট কমিশনার, বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা আদালতকে যথাশীঘ্র সম্ভব অবহিত করিবেন।
(৭) যেই ক্ষেত্রে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিরোধ-নিষ্পত্তি করা হইয়াছে এবং তাহা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অবহিত করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে সরকার পক্ষ কোন পাওনা আদায় অথবা ফেরত প্রদানের বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করিতে হইবে।
৪১ঝ। মতৈক্যের ভিত্তিতে বিরোধ-নিষ্পত্তির ফলাফল।-(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন বিরোধ মতৈক্যের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হইলে উক্তরূপ গৃহীত সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের মধ্যে বাধ্যতামূলক হইবে।
(২) বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির মাধ্যমে আবেদনকারী ব্যক্তি বা মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পাদিত মতৈক্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন আদালতে কোনরূপ আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
(৩) এই আইনের অধীন মতৈক্যের ভিত্তিতে নিষ্পত্তিকৃত প্রতিটি আদেশ, আদেশে বর্ণিত প্রতিটি বিষয় চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ গৃহীত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসমূহ ব্যতীত বিরোধের যে অংশ উক্ত সিদ্ধান্তের অন্তভুর্ক্ত থাকিবে না, তাহা এই আইনের আওতায় অথবা বলবৎযোগ্য অন্য যে কোন আইনের আওতায় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।
(৪) আবেদনকারী ব্যক্তি যদি মতৈক্যের ভিত্তিতে উপনীত কোন পাওনা, জরিমানা বা সুদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন এবং প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে তাহা পরিশোধ না করেন, তাহা হইলে এই আইনের ধারা ৫৬ অনুযায়ী উক্ত পাওনা আদায় করা যাইবে।
৪১ঞ। বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তির মাধ্যমে সিদ্ধান্তেত্ম উপনীত না হওয়ার ক্ষেত্রে আপীলের বিধান।-(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যেই সকল বিরোধের ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিকল্প বিরোধ-নিষ্পত্তি সম্ভবপর হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে আবেদনকারী স্ব স্ব আপীল আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে যথানিয়মে আপীল করিতে
পারিবেন।
(২) কোন আবেদনাধীন বিরোধের বিষয়ে ধারা ৪১ছ এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সম্প্ন্ন না হইয়া থাকিলে অথবা সমঝোতা ব্যর্থ হইলে, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া স্বয়ংকৃয়ভাবে বাতিল হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে মূল মামলাটি সংশ্লিষ্ট আপীল কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোন যথাযথ আদালতে, উক্তরূপ বাতিলের তারিখ হইতে সচল হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে এবং এই ক্ষেত্রে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির আবেদনপত্র দাখিলের তারিখ হইতে সহায়তাকারী কর্তৃক বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় ব্যয়িত সময়সহ তৎসম্পর্কিত ফলাফল সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিতকরণের সময়কাল, আপীল দাখিলের সময় গণনার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
৪১ট। অধিকার সংরক্ষণ।-বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকৃত কোন ব্যক্তি বা বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নিয়োজিত সহায়তাকারীকে কোন আদালতে উপস্থিত হইয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিখিত আদেশ বা নোটিশ ইস্যু করা যাইবে না এবং কোনভাবে বা অন্য কোন আইনের ক্ষমতাবলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় উপস্থাপিত কোন দলিলাদি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করার জন্য বাধ্য করা বা সম্পৃক্ত করা যাইবে না।’’।