প্রিন্ট

05/12/2024
ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১

ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১

( ২০১১ সনের ১৫ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা, বোর্ড, ইত্যাদি

সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং সরকারি বা বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা
৩। ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে এই আইনে নির্দিষ্টকৃত সময় পর্যন্ত আশ্রয়দান, নিয়ন্ত্রণ, পুনর্বাসন, সামাজিকীকরণ, ইত্যাদির লক্ষ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-
 
 
(ক) ঢাকা বা অন্য কোন জেলায় সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এক বা একাধিক সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে; এবং
 
 
(খ) উহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
ভবঘুরে উপদেষ্টা বোর্ড
৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে "ভবঘুরে উপদেষ্টা বোর্ড" নামে একটি বোর্ড গঠিত হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
(খ) মহা-পুলিশ পরিদর্শক বা তদ্‌কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
 
 
(গ) এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহা-পরিচালক;
 
 
(ঘ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক;
 
 
(ঙ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(চ) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা; এবং
 
 
(ছ) সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যিনি ইহার সদস্য সচিবও হইবেন।
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বোর্ডের সদস্য সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
 
 
(৩) বোর্ডের কোন মনোনীত সদস্য, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় তদ্‌কর্তৃক তাহার প্রদত্ত কোন মনোনয়ন বাতিল করিয়া উপযুক্ত নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৫) শুধু কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
বোর্ডের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ডের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরুপ, যথাঃ-
 
 
(ক) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা সম্পর্কে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
(খ) ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের সংখ্যা নিরুপণ, তাহাদের জীবন যাত্রার পদ্ধতি সম্বন্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা এবং তাহাদের পুনর্বাসন ও কল্যাণার্থে পরিকল্পনা, স্কিম বা প্রকল্প গ্রহণে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
(গ) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এতদ্‌বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
(ঘ) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন, তদারকি, পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং এবং পর্যালোচনাকরণ;
 
 
(ঙ) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান; এবং
 
 
(চ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ।
 
বোর্ডের সভা
৬। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্য-পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) বোর্ডের সভা, উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইতে হইবে।
 
 
(৪) বোর্ডের সভাপতি উহার সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, তদ্‌কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য বা এইরুপ কোন নির্দেশ না থাকিলে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের দ্বারা নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
 
 
(৫) অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে বোর্ডের সভার কোরাম গঠিত হইবে।
 
 
(৬) সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণের সম্মতিতে বোর্ডের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।
 
 
(৭) ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
ব্যবস্থাপনা কমিটি
৭। সরকার প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য উহার কার্যক্রম পরিদর্শন, তদারকী এবং পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং উহার কার্যাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রসমূহের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সরকার কর্তৃক মনোনীত এক তৃতীয়াংশ সদস্য অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs