প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ৩ নং আইন )

মানব পাচার
৩। (১) ‘‘মানব পাচার’’ অর্থ কোন ব্যক্তিকে—
 
 
(ক) ভয়ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ করিয়া; বা
 
 
(খ) প্রতারণা করিয়া বা উক্ত ব্যক্তির আর্থ-সামাজিক বা পরিবেশগত বা অন্য কোন অসহায়ত্বকে (vulnerability) কাজে লাগাইয়া; বা
 
 
(গ) অর্থ বা অন্য কোন সুবিধা (kind) লেনদেন-পূর্বক উক্ত ব্যক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ রহিয়াছে এমন ব্যক্তির সম্মতি গ্রহণ করিয়া;
 
 
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে যৌন শোষণ বা নিপীড়ন বা শ্রম শোষণ বা অন্য কোনো শোষণ বা নিপীড়নের (exploitation) উদ্দেশ্যে বিক্রয় বা ক্রয়, সংগ্রহ বা গ্রহণ, নির্বাসন বা স্থানান্তর, চালান বা আটক করা বা লুকাইয়া রাখা বা আশ্রয় দেওয়া (harbour)।
 
 
(২) যেইক্ষেত্রে কোন শিশু পাচারের শিকার হয়, সেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) হইতে (গ) তে বর্ণিত মানব পাচার অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমসমূহ (means)অনুসৃত হইয়াছে কিনা তাহা বিবেচিত হইবেনা।
 
 
ব্যাখ্যা।— এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে প্রতারণার মাধ্যমে, অসৎ উদ্দেশ্যে এবং বাধ্যতামূলক শ্রম বা ‘সার্ভিচিউড’ (servitude) বা ধারা-২ এর উপ-ধারা (১৫) এ বর্ণিত কোনো শোষণ বা নিপীড়নমূলক পরিস্থিতির শিকার হইতে পারে মর্মে জানা থাকা সত্বেও অন্য কোন ব্যক্তিকে কাজ বা চাকুরীর উদ্দেশ্যে গমন, অভিবাসন বা বহির্গমন করিতে প্রলুব্ধ বা সহায়তা করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কর্ম উপ-ধারা (১) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘মানব পাচার’’ এর অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs