আইনের প্রাধান্য এবং ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮, ইত্যাদির প্রযোজ্যতা
৪। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রচলিত অন্য কোন আইনে ভিকটিম এবং সাক্ষীর সুরক্ষা বিষয়ক শ্রেয় মানদণ্ডের বিধান থাকিলে সেই সকল বিধানসমূহ এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবে।
(২) এই আইনের অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, অপরাধসমূহের বিচার এবং বিচার সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে এই আইনে কোন বিধান না থাকিলে, ক্ষেত্রমত, ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫ নং আইন) এবং সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ১ নং আইন) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
(৩) এই আইনের অধীন অপরাধ ও দণ্ডের দায়-দায়িত্বের বিষয়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০, (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর তৃতীয় অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
(৪) এই আইনের সংঘটিত অপরাধসমূহ এক্সট্রাডিশন আইন, ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের ৫৮ নং আইন) এর ধারা ২(১)(ক) তে সংজ্ঞায়িত ”extradition” অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।
(৫) এই আইন অভিবাসন (emigration) ও বহিরাগমন (immigration) বিষয়ক অন্যান্য প্রচলিত আইনের পরিপূরক হইবে এবং তাহাদের ব্যত্যয়ে ব্যবহৃত হইবেনা।