প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ৩ নং আইন )

সম্পত্তি আটক (seizure) , অবরুদ্ধকরণ (freeze)ও বাজেয়াপ্তকরণ (confiscation) এবং অতিরাষ্ট্রিক নিষেধাজ্ঞা
২৭। (১) বিচারকার্যের যে কোন পর্যায়ে, স্বীয় উদ্যোগে বা কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অর্জিত অস্থাবর বা স্থাবর সম্পত্তি আটক, অবরুদ্ধ বা বাজেয়াপ্ত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(২) কোন বাড়ি, জমি বা যানবাহন এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে বা সংঘটনের প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইতেছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকিলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত বাড়ি, জমি বা যানবাহন আটক রাখিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
 
 
(৩) এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত দোষী ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত অপরাধ সংঘটনের ফলে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তি মানব পাচার প্রতিরোধ তহবিলে জমা হইবে।
 
 
 
 
(৪) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল বিদেশে অবস্থিত অপরাধলব্ধ অর্জিত সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তির অর্জিত অন্য কোন সম্পত্তি অবরুদ্ধ (freeze) এবং ক্রোক (attach) করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ লংঘিত হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে এবং অন্যূন ২০(বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীন অবরুদ্ধ বা ক্রোকযোগ্য সম্পত্তি নির্দিষ্টকরণে সরকার এবং বিদেশস্থ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস ট্রাইব্যুনালকে যথাযথ সহযোগিতা করিবে এবং উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আদেশ জারি হইলে সরকার যেদেশে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অবস্থিত সেই দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে ট্রাইব্যুনালের উক্ত আদেশের ব্যাপারে অবগত করিবে।
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs