প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ৩ নং আইন )

মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে যৌথ বা পারস্পরিক আইনি সহায়তা এবং সহযোগিতা
৪১। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহের তদন্ত, বিচার এবং বিচারিক কার্যক্রমে যৌথ বা পারস্পরিক আইনি সহায়তার ক্ষেত্র তৈরীর নিমিত্ত সরকার যে সকল দেশে এই আইনের অধীন মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিবর্গ, সাক্ষী, অপরাধলব্ধ অর্থ, অপরাধের উপকরণ, সাক্ষ্য-প্রমাণ বা বিবাদী বা অপরাধে সহায়তাকারী ব্যক্তি উপস্থিত থাকে বা থাকিবার সম্ভাবনা থাকে সেই সকল দেশের সহিত সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর করিবেঃ
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে, এই উপ-ধারার অধীন সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়া পর্যন্ত এইরূপ যৌথ বা পারস্পরিক আইনি সহায়তা আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে এই আইনের কোন কিছুই সরকারকে নিবৃত্ত করিবে না।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন স্বাক্ষরিত কোন সমঝোতা স্মারক বা চুক্তির মাধ্যমে সরকার, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে যৌথ বা পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিধান করিতে পারিবেঃ
 
 
 
 
(ক) মানব পাচার অপরাধের তদন্ত, তল্লাশী বা আটক কার্যক্রম পরিচালনা এবং মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির আইনগত সহযোগিতা সম্পর্কিত বিষয়;
 
 
 
 
(খ) শপথের মাধ্যমে সাক্ষীর পরীক্ষা এবং সাক্ষীর বক্তব্য, সরকারি প্রতিবেদন এবং আদালতে দাখিলকৃত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি বিনিময়;
 
 
 
 
(গ) মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের এবং মানব পাচার অপরাধ সংঘটনকারী বা সংঘটনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পারস্পরিক বিনিময়;
 
 
 
 
(ঘ) অপরাধলব্ধ অর্থ বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ বা জরিমানা বা ক্রোক সংক্রান্ত আদালতের আদেশ কার্যকরকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনগত, কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতা;
 
 
 
 
(ঙ) মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের টেকসই পুনর্বাসন এবং উক্ত ব্যক্তিদের স্বদেশে সামাজিকভাবে একাঙ্গীভূতকরণ।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs