সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান বা স্থগিত রাখা
১০। (১) সহায়তার অনুরোধটি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত না হইলে, উহা অগ্রাহ্য করা যাইবে এবং অগ্রাহ্য করিবার কারণ বিবৃত করিয়া উহা অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে অবহিত করিতে হইবে।
(২) যদি নির্দিষ্ট কোন শর্ত পূরণের মাধ্যমে অনুরোধ কার্যকর করা যায়, তবে অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে উক্ত শর্ত পূরণের জন্য অনুরোধ করা যাইবে এবং শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকরকরণ স্থগিত রাখা যাইবে।
(৩) যদি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন নির্দিষ্ট অনুরোধ কার্যকর করিলে উহা বাংলাদেশে বিবেচনাধীন কোন অনুসন্ধান, তদন্ত, প্রসিকিউশন বা ফৌজদারী কার্যধারায় বিরুপ প্রভাব ফেলিতে পারে, সেইক্ষেত্রে সহায়তার অনুরোধ স্থগিত রাখিতে বা শর্তযুক্ত করিতে পারিবে এবং উহা অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে জানাইতে হইবে।
(৪) সহায়তার অনুরোধটি প্রত্যাখান করা যাইবে, যদি সহায়তার বিষয়বস্তু এমন প্রকৃতির হয় যে, উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে বিচার কার্য সম্পন্ন হইয়াছে ।
(৫) সহায়তার অনুরোধ কার্যকরকরণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা, গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ ও জনশৃঙ্খলা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা অন্য কোন স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকিলে অনুরোধটি প্রত্যাখান করা যাইবে।
(৬) সহায়তার অনুরোধ কার্যকরকরণের বিষয়বস্তু বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী হইলে উহা প্রত্যাখান করা যাইবে।
(৭) জব্দ, ফ্রিজিং বা আটক, বাজেয়াপ্ত ইত্যাদি কার্যকরকরণের ক্ষেত্রে উহা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে জব্দ, ফ্রিজিং বা আটক বা বাজেয়াপ্তযোগ্য না হইলে অনুরোধটি প্রত্যাখান করা যাইবে।
(৮) সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যাইবে, যদি এইরুপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, সহায়তার অনুরোধটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতীয়তা বা রাজনৈতিক বিবেচনায় করা হইয়াছে অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করিবার অভিপ্রায়ে করা হইয়াছে।
(৯) কোন সামরিক অপরাধের ক্ষেত্রে সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যাইবে।