জরুরী প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা
৪১। (১) কোন প্রাপ্ত তথ্য বা অনুসন্ধানের ফলাফলের ভিত্তিতে যদি কর্তৃপক্ষের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন এলাকার বিকিরণ মাত্রা উক্ত এলাকার জনসাধারণ, জীব-জন্তু, সম্পদ বা পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুঁকির সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত এলাকার জনসাধারণ ও পরিবেশের উপর সম্ভাব্য ঝুঁকি লাঘবের জন্য উপযুক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করিবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অবহিত করিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ, জরুরী প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিকট হইতে সহায়তা লাভ করিতে পারিবে।
(৩) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজন মনে করিলে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং গণমাধ্যমে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে নির্দেশনা জারি করিতে পারিবেঃ
(ক) বিকিরণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অবস্থান;
(খ) উক্ত এলাকা হইতে ব্যক্তি, জীব-জন্তু বা সম্পদ অপসারণ; অথবা
(গ) উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা দূষণপ্রাপ্ত জীব-জন্তু ও সম্পদের ধ্বংসসাধন।
(৪) সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার উপ-ধারা (৩) এর অধীন জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং কোন ব্যক্তি উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে অথবা অবহেলা করিলে, প্রয়োজনবোধে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত বলপ্রয়োগ করিতে পারিবেন।
(৫) কর্তৃপক্ষ অন্যরূপ নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার এর অনুমতি ব্যতীত উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না এবং যদি কোন ব্যক্তি উক্তরূপ অনুমতি ব্যতীত, উক্ত স্থানে প্রবেশ করে বা প্রবেশের চেষ্টা করে, তাহা হইলে প্রয়োজনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার এর নিয়ন্ত্রণাধীনে বল প্রয়োগ করিয়া তাহাকে উক্ত স্থান হইতে অপসারণ করা যাইবে এবং প্রয়োজনে দোষী ব্যক্তিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সোপর্দ করা বা তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৬) এই ধারার অধীন গৃহীত ব্যবস্থার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার অথবা সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিকট হইতে ক্ষতিপূরণ দাবি করিবার অধিকারী হইবেন না।