প্রিন্ট ভিউ

প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ২৩ নং আইন )

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন প্রতিষ্ঠা
৫। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা করিবে।
 
 
(২) কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার পক্ষে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
(৩) কমিশনের একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, যাহা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আকৃতির এবং বিবরণ সম্বলিত হইবে; উহা চেয়ারপার্সনের হেফাজতে থাকিবে এবং কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হইবে।
 
 
কমিশনের কার্যালয়
৬। কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং কমিশন, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
কমিশন গঠন
৭। (১) কমিশন এক (১) জন চেয়ারপার্সন এবং অনধিক চার (৪) জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।
 
 
(২) চেয়ারপার্সন ও সদস্যগণ, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৩) অর্থনীতি, বাজার সম্পর্কিত বিষয় বা জন প্রশাসন বা অনুরূপ যে কোন বিষয় বা আইন পেশায় কিংবা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে অথবা সরকারের বিবেচনায় কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কোন বিষয়ে ১৫ (পনের) বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি কমিশনের চেয়ারপার্সন বা সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, একই বিষয়ে অভিজ্ঞ একাধিক ব্যক্তিকে সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা যাইবে না।
 
 
(৪) চেয়ারপার্সন এবং সদস্যগণ কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য হইবেন এবং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কমিশন সরকারের নিকট দায়ী থাকিবে।
 
 
(৫) চেয়ারপার্সন কমিশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন।
 
 
(৬) চেয়ারপার্সন এবং সদস্যগণ তাহাদের কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন এবং অনুরূপ একটিমাত্র মেয়াদের জন্য পুনঃ নিয়োগের যোগ্য হইবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তির বয়স ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বৎসর পূর্ণ হইলে তিনি চেয়ারপার্সন বা সদস্য পদে নিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না বা চেয়ারপার্সন বা সদস্য পদে বহাল থাকিবেন না।
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন তাহাদের চাকুরীর নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে চেয়ারপার্সন বা কোন সদস্য যে কোন সময় সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে অন্যূন ৩ (তিন) মাসের অগ্রীম নোটিশ প্রদান করিয়া স্ব স্ব পদ ত্যাগ করিতে পারিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক পদত্যাগ গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারপার্সন বা, ক্ষেত্রমত, সদস্য স্ব স্ব কার্য চালাইয়া যাইবেন।
 
 
 
 
(৮) চেয়ারপার্সনের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারপার্সন তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, নবনিযুক্ত চেয়ারপার্সন তাহার পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারপার্সন পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতম সদস্য চেয়ারপার্সন পদের দায়িত্ব পালন করিবেন।
 
 
 
 
(৯) চেয়ারপার্সন বা কোন সদস্য মৃত্যুবরণ বা উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুসারে স্বীয় পদ ত্যাগ করিলে বা অপসারিত হইলে, সরকার উক্ত পদ শূন্য হইবার, ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে শূন্য পদে নিয়োগদান করিবেন।
 
 
কমিশনের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৮।(১) কমিশনের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তারকারী অনুশীলনসমূহকে নির্মূল করা, প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা ও বজায় রাখা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করা;
 
 
(খ) কোন অভিযোগের ভিত্তিতে অথবা স্ব-প্রণোদিতভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিযোগিতা বিরোধী সকল চুক্তি, কর্তৃত্বময় অবস্থান এবং অনুশীলনের তদন্ত করা;
 
 
(গ) ধারা ১৮ এর প্রাসংগিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া এই আইনে উল্লিখিত অন্যান্য অপরাধের তদন্ত পরিচালনা এবং উহার ভিত্তিতে মামলা দায়ের ও পরিচালনা করা;
 
 
(ঘ) জোটবদ্ধতা এবং জোটবদ্ধতা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, জোটবদ্ধতার জন্য তদন্ত সম্পাদনসহ জোটবদ্ধতার শর্তাদি এবং জোটবদ্ধতা অনুমোদন বা নামঞ্জুর সংক্রান্ত বিষয়াদি নির্ধারণ করা;
 
 
(ঙ) প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত বিধিমালা, নীতিমালা, দিক নির্দেশনামূলক পরিপত্র বা প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নে সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা;
 
 
(চ) প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উপযুক্ত মানদণ্ড নির্ধারণ করা;
 
 
(ছ) সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত সার্বিক বিষয়ে প্রচার এবং প্রকাশনার মাধ্যমে ও অন্যান্য উপায়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা;
 
 
 
 
(জ) প্রতিযোগিতা বিরোধী কোন চুক্তি বা কর্মকাণ্ড বিষয়ে গবেষণা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ এবং অনুরূপ অন্যবিধ ব্যবস্থার মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশ ও প্রচার করা এবং উহাদের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা;
 
 
(ঝ) সরকার কর্তৃক প্রেরিত প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যে কোন বিষয় প্রতিপালন, অনুসরণ বা বিবেচনা করা;
 
 
(ঞ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্য কোন আইনের অধীন গৃহীত ব্যবস্থাদি পর্যালোচনা করা;
 
 
(ট) এই ধারার অধীন দায়িত্ব পালনের জন্য বা ইহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিদেশী কোন সংস্থার সহিত কোন চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর ও সম্পাদন করা;
 
 
(ঠ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ফিস, চার্জ বা অন্য কোন খরচ ধার্য করা; এবং
 
 
(ড) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য যে কোন কার্য করা।
 
 
(২) কমিশন স্ব-প্রণোদিত হইয়া অথবা কোন অভিযোগের ভিত্তিতে এই আইনের অধীন উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) নিম্নবর্ণিত বিষয়ে Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর অধীন একটি দেওয়ানী আদালত যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে কমিশন বা, ক্ষেত্রমত, চেয়ারপার্সন বা কোন সদস্যও এই ধারার অধীন সেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) কোন ব্যক্তিকে কমিশনে হাজির করিবার জন্য নোটিশ জারী করা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করা;
 
 
(খ) কোন দলিল উদঘাটন ও উপস্থাপন করা;
 
 
(গ) তথ্য যাচাই ও পরিদর্শন করা;
 
 
(ঘ) কোন অফিস হইতে প্রয়োজনীয় কাগজাদি বা উহার অনুলিপি তলব করা;
 
 
(ঙ) সাক্ষীর জিজ্ঞাসাবাদ এবং দলিল পরীক্ষা করিবার জন্য নোটিশ জারী করা;
 
 
(চ) এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
 
 
(৪) কমিশন যে কোন ব্যক্তিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য তাহার হেফাজতে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা এইরূপ কোন বই, হিসাব বা অন্যান্য দলিল, যাহা বাণিজ্যিক লেনদেনের সহিত সংশ্লিষ্ট এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরীক্ষা করা আবশ্যক, উক্তরূপ বিষয়াদি কমিশন বা তদ্‌কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত ব্যক্তি তাহার হেফাজতে রক্ষিত উক্ত তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
(৫) কমিশন কোন তদন্ত বা কার্যধারা পরিচালনার ক্ষেত্রে উহাকে সহায়তা প্রদানের জন্য অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, হিসাববিজ্ঞান অথবা অন্য কোন ক্ষেত্র হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে এবং উক্তরূপ সহায়তা প্রদানের জন্য কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।
 
 
(৬) কমিশনের সম্মুখে সকল কার্যধারা Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর section 196 এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এবং section 193 এবং 228 এর অধীন বিচারিক কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে, এবং Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর chapter 35 এবং section 195 এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশন একটি দেওয়ানী আদালত (Civil Court) বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৭) চেয়ারপার্সন বা কমিশন হইতে বৈধ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তাকে উপ-ধারা (৩) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগে কোন ব্যক্তি বাধা প্রদান করিলে বা উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত কোন নির্দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তি অমান্য করিলে উহা এই আইনের অধীন একটি দণ্ডনীয় অপরাধ হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৩(তিন) বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
 
চেয়ারপার্সন ও সদস্যের অপসারণ
৯। (১) সরকার চেয়ারপার্সন বা কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক কারণে অপসারণ করিতে পারিবেন, যদি তিনি-
 
 
(ক) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন;
 
 
(খ) পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্বীয় দায়িত্ব বহির্ভূত অন্য কোন পদে নিয়োজিত হন;
 
 
(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হন;
 
 
(ঘ) নৈতিক স্থলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন;
 
 
(ঙ) শারীরিক বা মানসিকভাবে তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; বা
 
 
(চ) সরকারের বিবেচনায় তাহার পদমর্যাদার এইরূপ অপব্যবহার করিয়া থাকেন, যাহাতে তাহার উক্ত পদে বহাল থাকা জনস্বার্থের পরিপন্থী।
 
 
 
 
(২) চেয়ারপার্সন বা কোন সদস্যকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ না দিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
 
 
 
চেয়ারপার্সন ও সদস্যগণের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও সুবিধাদি
১০। চেয়ারপার্সন ও সদস্যগণের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক, ভাতা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
কমিশনের সভা
১১। (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কমিশন উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) প্রতি ৪ (চার) মাসে কমিশনের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারপার্সন কর্তৃক নির্ধারিত হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন, বিশেষ প্রয়োজনে, যে কোন সময় উহার জরুরী সভা আহবান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) চেয়ারপার্সন কমিশনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ কর্তৃক নির্বাচিত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৪) চেয়ারপার্সন এবং অন্যূন ২(দুই) জন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিশনের সভার কোরাম গঠিত হইবে।
 
 
(৫) কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে চেয়ারপার্সন এবং প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।
 
 
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কমিশনের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
 
(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সভার সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে এবং উক্ত সভার পরবর্তী ২০(বিশ) দিনের মধ্যে উহার একটি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
কমিশনের সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ইত্যাদি
১২। (১) কমিশনের একজন সচিব থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
 
 
(২) এই আইনের অধীন কমিশন উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, কমিশনের অনুরোধক্রমে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদের কার্যভার ত্যাগ করার পর কতিপয় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ
১৩। চেয়ারপার্সন এবং কোন সদস্য তাহার কার্যভার ত্যাগ করার ১(এক) বৎসর সময়ের মধ্যে এমন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না বা এমন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন বা ব্যবস্থাপনার সহিত সম্পৃক্ত হইতে পারিবেন না, যাহা এই আইনের অধীন কমিশনের সম্মুখে কোন কার্যধারার পক্ষ ছিল বা আওতায় আসিতে পারে।
কমিশন এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মধ্যে মতামত বিনিময়
১৪। (১) কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কার্যক্রম বা উক্ত সংস্থা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এই আইনের কোন বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক হইতে পারে মর্মে কোন ব্যক্তি আপত্তি উত্থাপন করিলে বা উক্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা স্বীয় উদ্যোগে উক্ত কার্যক্রমের উপর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উক্ত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা স্থগিত রাখিয়া উত্থাপিত আপত্তিটি কমিশন বরাবরে প্রেরণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) কমিশন উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিষয় কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইতে প্রাপ্তির পর অনূর্ধ্ব ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে উহার মতামত উক্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থার নিকট প্রেরণ করিবে এবং উক্ত সংস্থা মতামতটি বিবেচনাক্রমে উহার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বা চলমান কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।
 
 
(৩) কমিশনে কোন কার্যক্রম চলাকালে কমিশন কর্তৃক গৃহীত বা প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত এই আইনের কোন বিধানের পরিপন্থী বা পরিপন্থী হইতে পারে এবং যাহার বাস্তবায়ন কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার উপর ন্যস্ত মর্মে কোন ব্যক্তি আপত্তি উত্থাপন করিলে বা কমিশন স্বীয় উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উক্ত কার্যক্রমের উপর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উক্ত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা স্থগিত রাখিয়া উক্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মতামতের জন্য প্রেরণ করিতে পারিবে।
 
 
(৪) কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত বিষয় কমিশন হইতে প্রাপ্তির পর অনূর্ধ্ব ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে উহার মতামত কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে এবং কমিশন মতামতটি বিবেচনাক্রমে উহার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বা চলমান কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (২) বা ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (৪) এর অধীন কমিশন বা ক্ষেত্রমত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা কর্তৃক প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করিবার লক্ষ্যে, প্রয়োজনে, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও কমিশন সম্মতির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিয়া বিষয়টি যথাযথ আইন অনুসরণক্রমে নিষ্পত্তি করিবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs