প্রতিযোগিতা বিরোধী চুক্তি
১৫। (১) কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ, গুদামজাতকরণ বা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এমন কোন চুক্তিতে বা ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশে (Collusion) , প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, আবদ্ধ হইতে পারিবে না যাহা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে বা বিস্তারের কারণ ঘটায় কিংবা বাজারে মনোপলি (Monopoly) অথবা ওলিগপলি (Oligopoly) অবস্থার সৃষ্টি করে ।
(২) কোন চুক্তি, অভিন্ন বা সাদৃশ্য পণ্য লেনদেন বা সেবার সংস্থানের সহিত সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি সংঘের অনুশীলন বা সিদ্ধান্ত পণ্যের বা সেবার বাজারে প্রতিযোগিতার পরিপন্থী বা বিরূপ বলিয়া বিবেচিত হইবে যদি উহা কোন পন্য বা সেবার-
(ক) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে-
(অ) ক্রয় বা বিক্রয় মূল্য অস্বাভাবিকভাবে নির্ধারণ করে; বা
(আ) দরপত্রসহ সকল ক্ষেত্রে জালিয়াতিপূর্বক প্রতারণামূলক দর নির্ধারণ করে;
(খ) উৎপাদন, সরবরাহ, বাজার, কারিগরি উন্নয়ন, বিনিয়োগ বা সেবার সংস্থানকে সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করে; অথবা
(গ) শ্রেণীর ভিত্তিতে, উৎপাদনের উৎস বা সেবার সংস্থানকে ভৌগোলিক বাজার ভিত্তিতে বা বাজারে ভোক্তার সংখ্যার ভিত্তিতে বা একইরূপে অন্য কোনভাবে বিভক্ত করে।
ব্যাখ্যা- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘দরপত্র জালিয়াতি’ অর্থ এমন কোন চুক্তি যাহা দর প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাকে হ্রাস করে বা দর প্রক্রিয়াকে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করে চুক্তিভুক্ত পক্ষসমূহের বা, ক্ষেত্রমত, সুবিধাভোগীর মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরী করে।
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নলিখিত ব্যবস্থা বা চুক্তিসমূহও প্রতিযোগিতা বিরোধী চুক্তি হিসাবে গণ্য হইবে, যদি উহারা প্রতিযোগিতায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে, যথাঃ-
(ক) “শর্তযুক্ত ব্যবস্থা” অর্থাৎ কোন বিক্রেতার নিকট হইতে পণ্য ক্রয়ের শর্ত হিসাবে তদ্কর্তৃক বা তদ্দ্বারা নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হইতে ক্রেতা কর্তৃক অন্য কোন পণ্য ক্রয় বা সুবিধাদি গ্রহণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা বা সম্মত বিষয়াদি;
(খ) “একচ্ছত্র সরবরাহ চুক্তি” অর্থাৎ বিক্রেতা ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে পণ্য অর্জন বা অন্য কোন উপায়ে পণ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে যে কোন উপায়ে ক্রেতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ সংক্রান্ত কোন চুক্তি;
(গ) “একচ্ছত্র পরিবেশন চুক্তি” অর্থাৎ কোন পণ্য সরবরাহ বা উৎপন্ন দ্রব্যের পরিমাণকে সীমিত, সীমাবদ্ধ বা স্থগিত করে বা কোন এলাকা বা বাজারকে কোন পণ্য বিক্রয় বা হস্তান্তরের জন্য নির্দিষ্ট করে এমন কোন চুক্তি;
(ঘ) “লেনদেনে অস্বীকার” অর্থাৎ যাহার নিকট পণ্য বিক্রয় করা হইয়াছে বা যাহার নিকট হইতে পণ্য ক্রয় করা হইয়াছে তাহাকে বা তাহার কোন শ্রেণীকে, যে কোন উপায়ে তাহার ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে, সীমাবদ্ধ করে এমন যে কোন চুক্তি;
(ঙ) “পুনঃবিক্রয় মূল্য সংরক্ষণ” অর্থাৎ এমন কোন চুক্তি যাহাতে এমন শর্ত থাকে যে, ক্রেতা কর্তৃক কোন পণ্য পুনঃবিক্রয়কালে যে মূল্য ধার্য করা হইবে উহাই বিক্রেতা কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য হইবে, যদি না ইহা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে যে উক্তরূপ মূল্য অপেক্ষা কম মূল্য নির্ধারণ করা যাইতে পারে।
(৪) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই-
(ক) অধিকার লংঘন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির অধিকার অথবা মেধাস্বত্ব (Intellectual property) সংক্রান্ত কোন আইনের অধীন কোন ব্যক্তির কোন অধিকার সংরক্ষণের জন্য, প্রয়োজনবোধে, যুক্তিসংগত শর্তারোপের; এবং
(খ) একচ্ছত্রভাবে পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, পরিবেশন অথবা নিয়ন্ত্রণ বা সেবার সংস্থান সংক্রান্ত কোন চুক্তিতে যেই পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করিবার বিধান রহিয়াছে সেই পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করিবার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করিবে না।