প্রিন্ট ভিউ

প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ২৩ নং আইন )

তদন্ত পূর্ববর্তী কার্যক্রম
১৭। কোন চুক্তি, কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার বা জোটবদ্ধতা সংশ্লিষ্ট বাজারে প্রতিযোগিতার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকূল প্রভাব ফেলে বা প্রভাব ফেলিবার কারণ ঘটায় এবং ভোক্তার এবং বাজারে প্রতিযোগিদের স্বার্থ রক্ষার্থে উহা অবিলম্বে প্রতিরোধ করা কমিশনের নিকট প্রয়োজন বলিয়া বিবেচিত হইলে কমিশন সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সময় প্রদান করিয়া এই আইনের অধীন তদন্ত পরিচালনার পূর্বেই উহা প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ নিষ্পত্তি বা মীমাংসা করিতে পারিবে।
তদন্ত, ইত্যাদি
১৮। –(১) কমিশনের নিকট যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন প্রতিষ্ঠান এমন চুক্তি করিয়াছে বা কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার করিয়াছে যাহা সংশ্লিষ্ট বাজারের জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে কমিশন স্বপ্রণোদিতভাবে বা কাহারও নিকট হইতে কোন অভিযোগ প্রাপ্ত হইয়া উহার তদন্ত করিতে পারিবে।
 
 
(২) কমিশন উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্ত পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
 
 
 
 
অন্তবর্তীকালীন আদেশ জারীর ক্ষমতা
১৯। ১) কমিশন তদ্কর্তৃক তদন্ত পরিচালনাকালে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যক্তি ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (১) বা ধারা ১৬ এর উপ-ধারা (১) বা ধারা ২১ এর বিধান লংঘন করিয়াছে, যাহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ, এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত রাখা হইয়াছে বা অনুরূপ লংঘন করা হইতে পারে, সেইক্ষেত্রে কমিশন, কার্যক্রমের গুরুত্ব বিবেচনাক্রমে পক্ষগণকে শুনানীর পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করিয়া, আদেশ দ্বারা, তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বা পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারীর মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত কার্য করা হইতে, এক বা একাধিক পক্ষের, দৈনন্দিন কাজ-কর্মসহ, অপূরণীয় ক্ষতি না হয় এইরূপ শর্ত সাপেক্ষে, বিরত রাখিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) কোন অন্তবর্তীকালীন আদেশের সময়সীমা নিম্নবর্ণিত সময়ের অতিরিক্ত বর্ধিত করা যাইবে না-
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত লংঘনের অভিযোগ এর বিষয়ে শুনানী সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত; বা
 
 
(খ) আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) দিনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনের মতামতের প্রেক্ষিতে উক্ত সময়সীমা আরো অতিরিক্ত ৬০ (ষাট) দিন বর্ধিত করা যাইবে।
 
 
(৩) কমিশন কর্তৃক অন্তবর্তীকালীন আদেশ জারীর অনূর্ধ্ব ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে যে কোন পক্ষ আপীল করিতে পারিবে।
 
 
(৪) আপীল এবং আপীল কার্যক্রমের মেয়াদ যাহাই থাকুক না কেন, আপীল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ভিন্নরূপ নির্দেশনা না থাকিলে উক্ত অন্তবর্তীকালীন আদেশ পক্ষগণের উপর বলবৎ এবং কার্যকর থাকিবে।
 
 
তদন্ত পরবর্তী কার্যক্রম
২০। ধারা ১৮ এ উল্লিখিত পদ্ধতিতে তদন্তের পর কমিশনের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যক্তি প্রতিযোগিতা বিরোধী চুক্তি সম্পাদন বা কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার করিয়াছে তাহা হইলে কমিশন নিম্নবর্ণিত যে কোন এক বা একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) উক্তরূপ চুক্তির সহিত সংশ্লিষ্ট বা কর্তৃত্বময় ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কোন ব্যক্তিকে-
 
 
(অ) তাহার কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ পুনরায় উক্তরূপ চুক্তিতে আবদ্ধ না হইতে এবং উক্তরূপ কর্তৃত্বময় ক্ষমতার অপব্যবহার না করিতে নির্দেশ প্রদান করা; এবং
 
 
(আ) তাহার বিগত ৩ (তিন) অর্থ বৎসরের গড় টার্নওভারের ১০% এর বেশী নহে, কমিশনের বিবেচনায় উপযুক্ত যে কোন পরিমাণ প্রশাসনিক আর্থিক জরিমানা আরোপ করা;
 
 
(খ) ধারা ১৫ এ উল্লিখিত চুক্তির আওতায় কোন কার্টেল সংঘটিত হইলে উক্ত কার্টেল-এ অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে উক্তরূপ চুক্তির ফলে অর্জিত মুনাফার ৩ (তিন) গুণ অথবা বিগত ৩ (তিন) অর্থ বৎসরের গড় টার্নওভারের ১০%, যাহা বেশী হয়, এইরূপ প্রশাসনিক আর্থিক জরিমানা আরোপ করা;
 
 
(গ) দফা (ক) এবং (খ) তে উল্লিখিত পরিমাণ আর্থিক জরিমানা প্রদানে কোন ব্যক্তি ব্যর্থ হইলে প্রতিদিনের ব্যর্থতার জন্য অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড প্রদান করা;
 
 
(ঘ) কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহারের জন্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের বিভাজনসহ প্রতিযোগিতা সংরক্ষণের জন্য যথাযথ বিবেচিত যে কোন আদেশ প্রদান করা।
 
 
ব্যাখ্যা।– এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “টার্নওভার” অর্থ কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন নির্দিষ্ট সময়ে তাহার দ্বারা প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ বা সেবা প্রদান হইতে প্রাপ্য বা প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ।
 
 
জোটবদ্ধতা (Combination) নিষিদ্ধকরণ
২১। –(১) পণ্য বা সেবার বাজারে এমন জোটবদ্ধতা যাহা প্রতিযোগিতাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করিবার কারণ ঘটায় সেইরূপ জোটবদ্ধতা নিষিদ্ধ হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিযোগিতাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করিবে না বা করিবার কারণ ঘটাইবে না, এমন জোটবদ্ধতা আবেদনের ভিত্তিতে কমিশন তদন্তপূর্বক অনুমোদন করিতে পারিবে এবং জোটবদ্ধতার জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হইবে, তাহা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত জোটবদ্ধতার বিষয়ে কমিশন প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত আবেদন ও পদ্ধতিতে অনুসন্ধান বা তদন্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ তদন্ত বা অনুসন্ধান করিবার পর কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন জোটবদ্ধতা প্রতিযোগিতার উপর-
 
 
(ক) কোনরূপ বিরুপ প্রভাব ফেলিবে না বা প্রভাব ফেলিবার কারণ ঘটাইবে না, তাহা হইলে কমিশন আদেশ দ্বারা উক্তরূপ জোটবদ্ধতা অনুমোদন করিতে পারিবে; বা
 
 
(খ) বিরুপ প্রভাব ফেলিবে বা প্রভাব ফেলিবার কারণ ঘটাইবে, তাহা হইলে কমিশন উক্তরূপ জোটবদ্ধতা অনুমোদন করিবে না।
 
 
বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত কাজের তদন্ত কর্মকাণ্ডে প্রযোজ্যতা
২২। বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংঘটিত প্রতিযোগিতা বিরোধী কোন কর্মকান্ড যদি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বাজারের প্রতিযোগিতায় বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাহা হইলে উভয় দেশের জন্য প্রযোজ্য আইন, বিধি, ইত্যাদি অনুসারে কমিশন উক্ত কর্মকাণ্ডের তদন্ত করিতে পারিবে।
কমিশনের সম্মুখে উপস্থিত হওয়া
২৩। কোন ব্যক্তি নিজে বা তদ্‌কর্তৃক মনোনীত কোন প্রতিনিধি কমিশনের নিকট তাহার বক্তব্য বা অভিযোগ বা প্রতিবাদের বিষয় উত্থাপন করিতে পারিবেন।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs