প্রিন্ট ভিউ

প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ২৩ নং আইন )

প্রতিযোগিতা তহবিল
৩১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রতিযোগিতা তহবিল নামে কমিশনের একটি তহবিল গঠিত হইবে।
 
 
(২) প্রতিযোগিতা তহবিল, অতঃপর এই ধারায় তহবিল বলিয়া উল্লিখিত, এর পরিচালনা ও প্রশাসন, এই ধারা এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে, কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে।
 
 
(৩) তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বাৎসরিক অনুদান;
 
 
(খ) এই আইনের অধীন জমাকৃত ফিস, চার্জ, ইত্যাদি;
 
 
(গ) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের সুদ; এবং
 
 
(ঘ) প্রচলিত বিধি-বিধানের পরিপন্থী নহে এমন অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(৪) তহবিল হইতে চেয়ারপার্সন, কমিশনের সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও চাকুরীর শর্তাবলী অনুসারে প্রদেয় অর্থ প্রদান করা হইবে এবং কমিশনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।
 
 
(৫) কমিশনের অর্থ কেবল উহার দায় ও দায়িত্ব প্রতিপালনের খরচ পরিশোধের জন্য ব্যয় করা হইবে এবং দৈনন্দিন কার্য পরিচালনার অর্থ কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্ত ব্যাংক হইতে অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
ব্যাখ্যা।–এই ধারায় “তফসিলি ব্যাংক” বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O 127 of 1972) এর article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।
 
 
(৬) তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ বাংলাদেশ সরকারের সংযুক্ত তহবিলে জমা করা হইবে।
 
 
অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমিশনের স্বাধীনতা
৩২। সরকার প্রতি অর্থ-বৎসরে কমিশনের ব্যয়ের জন্য উহার অনুকূলে নির্দিষ্টকৃত অর্থ বরাদ্দ করিবে; এবং অনুমোদিত ও নির্ধারিত খাতে উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ হইতে ব্যয় করিবার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা কমিশনের জন্য আবশ্যক হইবে না।
 
 
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
৩৩। কমিশন প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে এবং উক্ত অর্থ বৎসর শুরু হইবার পূর্বেই সরকার উক্ত বাজেট বিবরণীর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় বাজেট অনুমোদন করিবে।
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
৩৪। (১) কমিশন যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর কমিশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কমিশনের নিকট পেশ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কমিশনের সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কমিশনের কোন সদস্য বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs