৩৫। এই আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন কোম্পানী কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে উক্তরূপ অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এইরূপ মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
ব্যাখ্যা।–এই ধারায়-
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(খ) “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে।
তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ
৩৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন কর্তৃক বা কমিশনের পক্ষে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রাপ্ত হইলে উহা, এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন কারণে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লিখিত পূর্বসম্মতি ব্যতিরেকে প্রকাশ করা যাইবে না।
(২) কমিশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় অথবা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
নির্দেশনা প্রদানে সরকারের ক্ষমতা
৩৭। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, এই আইনের অধীন কমিশনের ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে কমিশন আইনের বাস্তবায়ন, কারিগরি এবং প্রশাসনিক বিষয়াদি ব্যতীত নীতিগত প্রশ্নে সরকারের নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনে বাধ্য থাকিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন সরকার কর্তৃক নির্দেশনা প্রদানের পূর্বে, যতদূর বাস্তবসম্মত হয়, কমিশনকে ইহার অভিমত প্রকাশের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।
(২) সরকারের সিদ্ধান্ত, নীতিগত প্রশ্নের হউক বা না হউক, চূড়ান্ত হইবে।
ক্ষমতা অর্পণ
৩৮। (১) চেয়ারপার্সনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য সদস্যগণ তাহাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন এবং এইরূপ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সনের নিকট সদস্যদের জবাবদিহিতা থাকিবে।
(২) কমিশন উহার যে কোন ক্ষমতা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, উহার যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে।
বার্ষিক প্রতিবেদন
৩৯। (১) প্রতি অর্থ-বৎসর সমাপ্তির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে কমিশন তৎকর্তৃক পূর্ববর্তী অর্থ-বৎসরে সম্পাদিত উহার কার্যাবলী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবে।
(২) এই ধারার অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর রাষ্ট্রপতি উহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন।
জনসেবক
৪০। কমিশনের চেয়ারপার্সন, সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী দণ্ডবিধির section 21 এর public servant (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
৪১। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য কমিশন, কোন সদস্য বা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বা সরকার বা কমিশনের কর্তৃত্বাধীন কোন প্রকাশনা, রিপোর্ট বা কার্যধারার বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের বা রুজু করা যাইবে না।
এই আইনের বিধানাবলীর অতিরিক্ততা
৪২। এই আইনের বিধানাবলী অন্যান্য আইনের কোন বিধানের ব্যত্যয় না হইয়া উহার অতিরিক্ত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের নির্দিষ্টকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং পূরণের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী আপাততঃ বলবৎ অন্যান্য আইনের বিধানাবলীর উপর প্রাধান্য পাইবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৪৫। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।