প্রিন্ট ভিউ

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ৩০ নং আইন )

বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা
৬। (১) এই আইনের অধীন লাইসেন্স বা ক্ষেত্রমত, পারমিট গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন বন্যপ্রাণী শিকার বা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত কোন উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন না।
 
 
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট বা সকল বন্যপ্রাণী কোন নির্দিষ্ট বন বা এলাকা বা সমগ্র দেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিকার নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
 
 
বিপন্ন, বিপদাপন্ন ও মহা-বিপদাপন্ন প্রজাতি নির্ধারণ
৭। বৈজ্ঞানিক উপাত্ত এবং আন্তর্জাতিক-ভাবে গ্রহণযোগ্য বিধান বা প্রথা অনুসরণপূর্বক, প্রধান ওয়ার্ডেন, বৈজ্ঞানিক কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, তফসিল ১, ২ ও ৩ এ উল্লিখিত কোন্ কোন্ প্রজাতির বা উপ-প্রজাতির বন্যপ্রাণী বা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ বিপন্ন, বিপদাপন্ন বা মহা-বিপদাপন্ন তাহা নির্ধারণ করিবেন।
 
 
বন্যপ্রাণী অপসারণ, ইত্যাদি
৮। (১) অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন কিছু উল্লেখ না থাকিলে, কোন বন্যপ্রাণী-
 
 
(ক) মানুষের জীবন ও সম্পদের (গৃহপালিত পশু ও ফসলের) প্রতি হুমকির কারণ হইলে; অথবা
 
 
(খ) দৈহিকভাবে পঙ্গু বা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হইলে; অথবা
 
 
(গ) কোন এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্যের প্রতি হুমকির কারণ হইলে-
 
 
প্রধান ওয়ার্ডেন বা অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন বা ওয়ার্ডেন কারণ উল্লেখ করিয়া উক্ত বন্যপ্রাণী অপসারণ, হত্যা বা ক্ষেত্রমত, পুনর্বাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং পনের দিনের মধ্যে বিষয়টি উপদেষ্টা বোর্ড ও বৈজ্ঞানিক কমিটিতে প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করিবেন।
 
 
(২) কোন বিমানঘাঁটি বা বিমান ক্ষেত্রে উড়োজাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, কোন বন্যপ্রাণীকে অপসারণের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না।
 
 
 
 
বন্যপ্রাণী অবমুক্তকরণ
৯। অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, ধৃত, উদ্ধারকৃত বা জব্দকৃত কোন বণ্য প্রণী খাঁচায় বা আবদ্ধ অবস্থায় রাখা উহার জীবনের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ হইলে উক্ত বন্য প্রাণীকে উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ অবমুক্ত করিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
পারমিট প্রদান

১০। কোন বন্য প্রাণীর দেহের অংশ, মাংস, ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি সংগ্রহ এবং তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ সংগ্রহ করা, দখলে রাখা, অথবা উহা হইতে উৎপাদিত দ্রব্য কোন বন অথবা দেশের যে কোন স্থান হইতে পরিবহনের জন্য নিম্নবর্ণিত কারণে প্রধান ওয়ার্ডেন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে পারমিট প্রদান করিতে পারিবেন, যথাঃ-

 
 

(ক) শিক্ষা;

 
 

(খ) বৈজ্ঞানিক পবেষণা;

 
 

(গ) বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা;

 
 

(ঘ) কোন উদ্ভিদ উদ্যান, সাফারী পার্ক, স্বীকৃত চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, হার্বেরিয়াম অথবা একইরূপ অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন;

 
 

(ঙ) জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরির জন্য উদ্ভিদ বা সাপের বিষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ; এবং

 
 

(চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বংশ বিস্তারের জন্য।

 
 

ব্যাখ্যা।-এই ধারায় ‘‘বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা’’ অর্থ-

 
 

(১) কোন বন্যপ্রাণীকে অন্য কোন সুবিধাজনক আবাসস্থলে স্থানান্তর করা;

 
 

(২) কোন বন্যপ্রাণী অথবা নির্দিষ্ট প্রজাতির উদ্ভিদের ব্যবস্থাপনার জন্য হত্যা না করিয়া বা বিষ প্রয়োগ না করিয়া অথবা ধ্বংস না করিয়া প্রজনন নিয়ন্ত্রন করা; এবং

 
 

(৩) বিজ্ঞানসম্মতভাবে কালিং (culling) করাঃ

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, কালিংকৃত প্রাণী মাটি চাপা দিয়া ধ্বংস করিতে হইবে।

 
 
বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ নিবন্ধিকরণ এবং নিবন্ধন সনদ ইস্যু
১১। (১) এই আইন কার্যকর হইবার একশত আশি দিনের মধ্যে প্রত্যেক ওয়ার্ডেন তাহার এলাকাধীন কোন ব্যক্তির নিকট সংগৃহীত ও সংরক্ষিত কোন বন্যপ্রাণী অথবা বন্যপ্রাণীদের অংশ, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, অথবা তফসিল-৪ এ উল্লিখিত কোন উদ্ভিদ বা উহার অংশ বা উহা হইতে উৎপাদিত দ্রব্য নিবন্ধন করাইবেন, যথাযথ নিবন্ধনকরণ চিহ্ন প্রদান করিবেন এবং উহার সংখ্যা ও অবস্থান উল্লেখপূর্বক বিস্তারিত বিবরণ প্রধান ওয়ার্ডেন এর নিকট প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রথাগতভাবে পূর্ব হইতেই কোন ব্যক্তির হেফাজতে কোন ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর স্মৃতি চিহ্ন থাকিলে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে নাঃ
 
 
তবে আরো শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তির নিকট রক্ষিত কোন ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর স্মৃতি চিহ্ন থাকিলে তিনি উহা প্রধান ওয়ার্ডেন বা ওয়ার্ডেন বা উপজেলা ফরেস্ট অফিসার এর নিকট ঘোষণা করিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিকরণ চিহ্ন প্রদানের পর উক্ত কর্মকর্তা বিধি ধারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত বন্যপ্রাণী, মাংস, ট্রফি, বা ক্ষেত্রমত, উদ্ভিদের আইনানুগ দখলের প্রমাণ স্বরূপ নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, লালন-পালনযোগ্য বন্যপ্রাণীর জন্য নিবন্ধন সনদ ইস্যুর পূর্বে নিশ্চিত হইতে হইবে যে, আবেদনকারী আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং উক্ত বন্যপ্রাণী লালন-পালনের জন্য ক্ষেত্রমত, প্রয়োজনীয় স্থান, জলাধার, পরিবেশ, ফিডিং স্পট ও পরিচর্যাকারী লোকবল, লালন-পালন সম্পর্কে জ্ঞান ও সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রহিয়াছে।
 
 
হস্তান্তর
১২। (১) নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন বন্যপ্রাণী, মাংস, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, বন্যপ্রাণীর অংশবিশেষ (ভারমিন ছাড়া) অথবা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ বা উহার অংশ বা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্য দান, বিক্রয় বা অন্য কোন প্রকারে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।
 
 
(২) প্রধান ওয়ার্ডেন বা ক্ষেত্রমত, ওয়ার্ডেন এর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিয়া নিবন্ধন সনদপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে বা তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে এমন কোন বন্যপ্রাণী বা উহার অংশ, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, অথবা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত কোন উদ্ভিদ বা উহার অংশ বা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কাহারো নিকট, স্থানান্তর, হস্তান্তর বা পরিবহণ করিতে পারিবেন।’’।
 
 
(৩) চিড়িয়াখানার আবদ্ধ প্রাণী বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs