প্রিন্ট ভিউ

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ৩০ নং আইন )

অভয়ারণ্য ঘোষণা
১৩। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় বননীতি ও বন মহাপরিকল্পনার আলোকে এবং প্রকৃতি, ভূমিগঠনগত বৈশিষ্ট্য, জীববৈচিত্র্য বা পরিবেশগত গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া কোন সরকারি বন, বনের অংশ, সরকারি ভূমি, জলাভূমি বা যে কোন নির্দিষ্ট এলাকাকে বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণের নিমিত্ত সুনির্দিষ্টভাবে সীমানা নির্ধারণপূর্বক, অভয়ারণ্য ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত অভয়ারণ্যকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, পাখি অভয়ারণ্য, হাতি অভয়ারণ্য বা জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য, বা ক্ষেত্রমত, মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া হিসাবে নির্ধারণ করা যাইবে।
 
 
(৩) কোন জলাভূমিকে অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হইলে উক্ত এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী, যেমন-জেলে, নৌকাচালক ইত্যাদি পেশাগত, প্রথাগত বা জীবন জীবিকার অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখিতে হইবে।
 
 
অভয়ারণ্য সম্পর্কে বাধা নিষেধ
১৪। (১) কোন ব্যক্তি অভয়ারণ্যে-
 
 
(ক) চাষাবাদ করিতে পারিবেন না;
 
 
(খ) কোন শিল্প কারখানা স্থাপন বা পরিচালনা করিতে পারিবেন না;
 
 
(গ) কোন উদ্ভিদ আহরণ, ধ্বংস বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন না;
 
 
(ঘ) কোন প্রকার অগ্নিসংযোগ করিতে পারিবেন না;
 
 
(ঙ) প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না;
 
 
(চ) কোন বন্যপ্রাণীকে বিরক্ত করিতে বা ভয় দেখাইতে পারিবেনা কিংবা বন্যপ্রাণীর আবাস্থল বিনষ্ট হইতে পারে এইরূপ কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য, গোলাবারুদ, বা অন্য কোন অস্ত্র বা দ্রব্য ব্যবহার করিতে পারিবেন না;
 
 
(ছ) বিদেশী (ঊীড়ঃরপ) প্রজাতির প্রাণী বা উদ্ভিদ প্রবেশ করাইতে পারিবেন না;
 
 
(জ) কোন গৃহপালিত পশু প্রবেশ করাইতে বা কোন গৃহপালিত পশুকে নিরুদৃষ্ট রাখিতে পারিবেন না;
 
 
(ঝ) বন্যপ্রাণীর জন্য ক্ষতিকর পদার্থ গাদি (ডাম্পিং) করিতে পারিবেন না;
 
 
(ঞ) কোন খনিজ পদার্থ আহরণের জন্য অনুসন্ধান কিংবা গর্ত করিতে পারিবেন না;
 
 
(ট) উদ্ভিদের প্রাকৃতিক বংশ বিস্তারের উদ্দেশ্যে সিলভিকালচারেল অপারেশন ব্যতীত অন্য কোন কারণে কোন উদ্ভিদ বা উহার অংশ কাটিতে পারিবেন না;
 
 
(ঠ) জলপ্রবাহের গতি পরিবর্তন, বন্ধ বা দূষিত করিতে পারিবেন না; অথবা
 
 
(ড) কোন এলিয়েন (Alien) ও আগ্রাসী (Invasive) প্রজাতির উদ্ভিদ প্রবেশ করাইতে পারিবেন না।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী এই আইন প্রবর্তনের পর অভয়ারণ্যের সীমানার ২ (দুই) কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিল্প কারখানা বা ইট ভাটা স্থাপন বা পরিচালনা করিতে পারিবেন না।
 
 
অভয়ারণ্যে প্রবেশ, ইত্যাদি
১৫। (১) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেহ অভয়ারণ্যে প্রবেশ অথবা অবস্থান করিতে পারিবেন না, যথাঃ
 
 
(ক) এই আইন বা বিধির অধীন দায়িত্ব পালনরত কোন কর্মকর্তা;
 
 
(খ) প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি;
 
 
(গ) বন অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত সংরক্ষণ কাজের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি;
 
 
(ঘ) অভয়ারণ্যের মধ্যে নির্মিত মহাসড়ক, সড়ক বা জলপথে চলাচলরত কোন ব্যক্তি; এবং
 
 
(ঙ) অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনা বা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আবশ্যক ব্যক্তি, যিনি প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণপূর্বক ও ক্ষেত্রমত, প্রবেশ ফি আদায় সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) বন্যপ্রাণীর উপর প্রাসঙ্গিক ও সহায়ক বিষয়ের উপর অধ্যয়ন বা অনুসন্ধান;
 
 
(খ) ছবি তোলা;
 
 
(গ) গবেষণা; ও
 
 
(ঘ) ইকোট্যুরিজম।
 
 
অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনা

১৬। (১) প্রতিটি অভয়ারণ্যের জন্য সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে।

 
 

(২) প্রধান ওয়ার্ডেন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন এবং এতদ্উদ্দেশ্যে সীমিত আকারে অভয়ারণ্যের ভিতর-

 
 

(ক) কোন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য কোন পর্যটন দোকান, কটেজ বা হোটেল নির্মাণ ব্যতীত রাস্তা, সেতু, ভবন, বেষ্টনী বা প্রতিবন্ধক প্রবেশ তোরণ নির্মাণ ও সীমানা চিহ্নিতকরণ অথবা এই ধরণের অন্যান্য কাজ যাহা অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আবশ্যক তাহা করিতে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন;

 
 

(খ) বন্যপ্রাণী বা উহার আবাসস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;

 
 

(গ) বন্যপ্রাণী রক্ষার স্বার্থে আবাসস্থল উন্নয়ন, প্রজনন ক্ষেত্র রক্ষা, প্রজননের সময় উপদ্রব মুক্তরাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সীমিত আকারে বন্যপ্রাণী খাদ্য উপযোগী বাগান সৃজন করিতে পারিবেন;

 
 

(ঘ) সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, মাছ ধরা কার্যক্রম বা জলযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে কচ্ছপ, কুমির, ডলফিন, তিমি, শুশুক ইত্যাদি মিঠা ও নোনা পানির জলজ প্রাণী রক্ষা করিবার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবেন; অথবা

 
 

(ঙ) অভয়ারণ্য এলাকার সীমানা হইতে ২ (দুই) কিলোমিটারের মধ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ড চিহ্নিত করিয়া উহা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।

 
 
জাতীয় উদ্যান ঘোষণা
১৭। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন সরকারি বন, বনের অংশ বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সরকারি ভূমিকে, বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলের উন্নয়ন অথবা পরিবেশ উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে সীমানা নির্ধারণপূর্বক, জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জাতীয় উদ্যান ঘোষণার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুসরণ বা ক্ষেত্রমত, বিবেচনা করিতে হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) বন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার জাতীয় নীতিমালা বা মহা-পরিকল্পনা;
 
 
(খ) ভূমির গঠনগত বৈশিষ্ট্য; গুরুত্ব ;
 
 
(গ) ইকোলজি;
 
 
(ঘ) পরিবেশ।
 
 
(৩) ধারা ১৪, ১৫ ও ১৬ এ উল্লিখিত বিধানাবলী জাতীয় উদ্যানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
 
 
কমিউনিটি কনজারভেশন এলাকা ঘোষণা
১৮। (১) ল্যান্ডস্কেপ জোনের অন্তর্ভুক্ত নহে এইরূপ কোন জমি বা জলাভূমির মালিক কোন ব্যক্তি বা কমিউনিটি কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ এর প্রথাগত অথবা কৃষ্টিগত মূল্যবোধ বা ব্যবহার সংরক্ষণ এবং উক্ত জমি বা জলাভূমির টেকসই উন্নয়ন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত কমিউনিটি কনজারভেশন এলাকা হিসাবে ঘোষণার লক্ষ্যে সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন করা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, আবেদনে উল্লিখিত জমি বা জলাভূমিকে কমিউনিটি কনজারভেশন এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন ঘোষিত এলাকায় সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করিতে পারিবে এবং সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন ঘোষিত এলাকার কোন ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সরকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
সাফারী পার্ক, ইকোপার্ক, উদ্ভিদ উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ঘোষণা
১৯। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বন্যপ্রাণীর স্বীয় আবাসস্থলে (in-situ) বা আবাসস্থলের বাহিরে অন্যত্র (ex-situ) সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে অথবা গবেষণা, জনসাধারণের চিত্তবিনোদন বা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে যে কোন সরকারি বনভূমিকে, সাফারী পার্ক, ইকোপার্ক, উদ্ভিদ উদ্যান বা ক্ষেত্রমত, বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(২) ধারা ১৪, ১৫ ও ১৬ এ উল্লিখিত বিধানাবলী সাফারী পার্ক, ইকোপার্ক, উদ্ভিদ উদ্যান বা বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সাফারী পার্কে চিত্তবিনোদনের জন্য বিদেশী প্রজাতির প্রাণী প্রদর্শন করা যাইবে।
 
 
ল্যান্ডস্কেপ জোন বা করিডোর, বাফার জোন ও কোর জোন ঘোষণা

২০। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্থানীয় জনসাধারণের মতামত গ্রহণপূর্বক ঘোষিত যে কোন এলাকা, রক্ষিত বা সংরক্ষিত বন এলাকার সীমানার বাহিরে কিন্তু উহার সংলগ্ন যে কোন সরকারি বা বেসরকারি এলাকাকে বন্যপ্রাণী চলাচলের উপযোগী বা বিশেষ উন্নয়ন সাধনের প্রয়োজনে বা উক্ত এলাকার যে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো বা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ল্যান্ডস্কেপ জোন বা করিডোর হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।

 
 

(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রক্ষিত এলাকা বা কোর জোন এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনজদ্রব্য আহরণের উপর চাপ হ্রাস ও রক্ষিত বন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য কোর জোন ব্যতীত রক্ষিত বনের অভ্যন্তরে বা প্রান্ত সীমানায় অবস্থিত অবক্ষয়িত বন এলাকাকে বাফার জোন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।

 
 

(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের জন্য জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ বা বনজদ্রব্য আহরণ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রক্ষিত এলাকার কেন্দ্রস্থলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বন বা দীর্ঘ মেয়াদী বনকে, কোর জোন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।

 
 
সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি

২১। (১) সরকার অভয়ারণ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বন অধিদপ্তর, বনাঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সকল পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার জন্য সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করিতে পারিবে।

 
 

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করিতে এবং উক্ত কমিটির কার্যপরিধিও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে।

 
 
বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা
২২। (১) সরকার স্বীয় উদ্যোগে কিংবা কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন সরকারি ভূমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি বা বৃক্ষরাজি অথবা সংরক্ষিত বন, খাস জমি, জলাভূমি, নদী, সমুদ্র, খাল, দীঘি বা বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পুকুরকে উক্ত এলাকার প্রথাগত বা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং অনুশাসন সংরক্ষণ সাপেক্ষে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
 
 
(২) ধারা ১৪, ১৫ ও ১৬ এ উল্লিখিত বিধানাবলী বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
 
 
জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ এবং কুঞ্জবন ঘোষণা
২৩। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সরকারি বন, কোন সংস্থার অধীন ভূমি, খাস জমি বা কমিউনিটির মালিকানাধীন ভূমিতে অবস্থিত বৃক্ষ বা কুঞ্জবন যাহা সাংস্কৃতিক, প্রথাগত, ধর্মীয় বা স্মৃতিস্মারক হিসাবে চিহ্নিত ও ব্যবহৃত এবং যাহা বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসাবে উক্ত এলাকায় পরিচিত তাহা উক্ত ভূমির মালিক, সংস্থা বা ব্যক্তির আবেদনক্রমে, জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, বা ক্ষেত্রমত, কুঞ্জবন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে ঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কমিউনিটি বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাহাদের প্রথাগত বা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং অনুশাসন সংরক্ষণ করিতে হইবে।
 
 
(২) ধারা ১৪, ১৫ ও ১৬ এ উল্লিখিত বিধানাবলী, যতদূর সম্ভব, জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ বা কুঞ্জবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs