প্রিন্ট ভিউ
১৬। (১) প্রতিটি অভয়ারণ্যের জন্য সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করিবে।
(২) প্রধান ওয়ার্ডেন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন এবং এতদ্উদ্দেশ্যে সীমিত আকারে অভয়ারণ্যের ভিতর-
(ক) কোন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য কোন পর্যটন দোকান, কটেজ বা হোটেল নির্মাণ ব্যতীত রাস্তা, সেতু, ভবন, বেষ্টনী বা প্রতিবন্ধক প্রবেশ তোরণ নির্মাণ ও সীমানা চিহ্নিতকরণ অথবা এই ধরণের অন্যান্য কাজ যাহা অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আবশ্যক তাহা করিতে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন;
(খ) বন্যপ্রাণী বা উহার আবাসস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
(গ) বন্যপ্রাণী রক্ষার স্বার্থে আবাসস্থল উন্নয়ন, প্রজনন ক্ষেত্র রক্ষা, প্রজননের সময় উপদ্রব মুক্তরাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সীমিত আকারে বন্যপ্রাণী খাদ্য উপযোগী বাগান সৃজন করিতে পারিবেন;
(ঘ) সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সহিত পরামর্শক্রমে, মাছ ধরা কার্যক্রম বা জলযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে কচ্ছপ, কুমির, ডলফিন, তিমি, শুশুক ইত্যাদি মিঠা ও নোনা পানির জলজ প্রাণী রক্ষা করিবার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবেন; অথবা
(ঙ) অভয়ারণ্য এলাকার সীমানা হইতে ২ (দুই) কিলোমিটারের মধ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ড চিহ্নিত করিয়া উহা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।
২০। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্থানীয় জনসাধারণের মতামত গ্রহণপূর্বক ঘোষিত যে কোন এলাকা, রক্ষিত বা সংরক্ষিত বন এলাকার সীমানার বাহিরে কিন্তু উহার সংলগ্ন যে কোন সরকারি বা বেসরকারি এলাকাকে বন্যপ্রাণী চলাচলের উপযোগী বা বিশেষ উন্নয়ন সাধনের প্রয়োজনে বা উক্ত এলাকার যে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো বা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ল্যান্ডস্কেপ জোন বা করিডোর হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রক্ষিত এলাকা বা কোর জোন এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনজদ্রব্য আহরণের উপর চাপ হ্রাস ও রক্ষিত বন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য কোর জোন ব্যতীত রক্ষিত বনের অভ্যন্তরে বা প্রান্ত সীমানায় অবস্থিত অবক্ষয়িত বন এলাকাকে বাফার জোন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের জন্য জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ বা বনজদ্রব্য আহরণ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রক্ষিত এলাকার কেন্দ্রস্থলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বন বা দীর্ঘ মেয়াদী বনকে, কোর জোন হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
২১। (১) সরকার অভয়ারণ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বন অধিদপ্তর, বনাঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সকল পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার জন্য সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করিতে এবং উক্ত কমিটির কার্যপরিধিও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে।