প্রিন্ট ভিউ

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

( ২০১২ সনের ৩০ নং আইন )

আমদানি
২৮। (১) কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) আগমন শুল্ক বন্দর ব্যতীত অন্য কোন পথে;
 
 
(খ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইটিস (CITES) সার্টিফিকেট ব্যতীত; এবং
 
 
(গ) লাইসেন্স ব্যতীত কোন বন্যপ্রাণী বা উহার অংশ, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, অথবা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ বা উহার অংশ বা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্য বাংলাদেশে আমদানি করিতে পারিবেন না।
 
 
(২) প্রতিটি আমদানি করা বন্যপ্রাণী বা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ অথবা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্য আগমন শুল্ক বন্দরে আসার পর আমদানিকৃত রাষ্ট্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট প্রদর্শন করিতে হইবে।
 
 
রপ্তানি
২৯। কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) বহির্গমন শুল্ক বন্দর ব্যতীত অন্য কোন পথে;
 
 
(খ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সাইটিস (CITES) সার্টিফিকেট ব্যতীত; এবং
 
 
(গ) লাইসেন্স ব্যতীত-
 
 
কোন বন্যপ্রাণী বা উহার অংশ, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, অথবা তফসিল ৪ এ উল্লিখিত উদ্ভিদ বা উহার অংশ বা উহা হইতে উৎপন্ন দ্রব্য রপ্তানি বা পুনঃরপ্তানি করিতে পারিবেন না।
 
 
বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র
৩০। সরকার কোন আহত, জব্দকৃত, বাজেয়াপ্ত, পরিত্যক্ত অথবা দানকৃত বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা সেবা, খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্ত উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে এবং উদ্ধার কেন্দ্র হইতে বন্যপ্রাণী প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার জন্য নির্দেশিকা প্রণয়ন করিতে পারিবে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট গঠন
৩১। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন, প্রটোকল, চুক্তি ইত্যাদির সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবার জন্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দর, স্থল বন্দর বা সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের যে কোন স্থানে শুল্ক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সমন্বয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট গঠন করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী, সরকার বিধি দাবারা নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs