রহিতকরণ ও হেফাজত
২০। (১) বাংলাদেশ রেশম বোর্ড অধ্যাদেশ, ১৯৭৭ (১৯৭৭ সালের ৬২ নং অধ্যাদেশ) এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন ২০০৩ (২০০৩ সনের ২৫ নং আইন) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) কোম্পানী আইন-১৯৯৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশনকে বোর্ডে একীভূত করিবার লক্ষ্যে উক্ত ফাউন্ডেশনের সংঘ স্মারকের ৮১ নং আর্টিক্যাল অনুযায়ী বিলুপ্ত বা গুটানোর (Winding up) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩) বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট এবং বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন, অতঃপর বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠান বলিয়া উল্লিখিত, এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব সুবিধাদি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং ঐ সকল সম্পত্তিতে বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অধিকার ও স্বার্থ এবং ইহার সহিত সংশ্লিষ্ট সকল হিসাবের বহি, রেজিষ্টার, রেকর্ডস এবং অন্যান্য দলিলাদি বোর্ডে স্থানান্তরিত ও ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকারের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা বোর্ডের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসাবে গণ্য হইবে।
(৫) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরী, কোন চুক্তি, দলিল বা চাকুরীর শর্তাবলীতে যাহা কিছু থাকুক না কেন, বোর্ডে ন্যস্ত হইবে এবং তাহারা পূর্বে প্রযোজ্য চাকুরীর শর্তে, যদি না ঐ সময়ের চাকুরীর শর্তাবলীর কোন পরিবর্তন করা হইয়া থাকে, যাহা তাহাদের অসুবিধা সৃষ্টি করিতে পারে, বোর্ডের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বা উহাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা আইনী ব্যবস্থা বোর্ডের পক্ষে বা বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা আইনী ব্যবস্থা বলিয়া গণ্য হইবে।