প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ১৪ নং আইন )

পানির অধিকার ও উহার ব্যবহার
৩। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রের সীমানাভুক্ত নিম্নবর্ণিত পানির সকল অধিকার জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের উপর অর্পিত থাকিবে, যথা:-
 
 
(ক) ভূপরিস্থ পানি;
 
 
(খ) ভূগর্ভস্থ পানি;
 
 
(গ) সামুদ্রিক পানি;
 
 
(ঘ) বৃষ্টির পানি;এবং
 
 
(ঙ) বায়ুমণ্ডলের পানি।
 
 
(২) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, সুপেয় পানি এবং পরিচ্ছন্নতা ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার্য পানির অধিকার সর্বাধিকার হিসাবে বিবেচিত হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির ভূপরিস্থ পানির সকল অধিকার উক্ত ভূমির মালিকের থাকিবে এবং তিনি এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহা ব্যবহার করিতে পারিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত পানির অপচয় ও অপব্যবহার রোধকল্পে এবং উহার সুরক্ষা ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে নির্বাহী কমিটি বৈষম্যহীনভাবে যেকোন ভূমির মালিকের প্রতি সুরক্ষা আদেশ ইস্যু করিতে পারিবে।
 
 
(৪) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ কোন আইন, বিধি, প্রবিধি, আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন কোন প্রথা বা রীতি, চুক্তি, লাইসেন্স বা পারমিটের অধীন পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই কোন ব্যক্তিকে বারিত করিবে না এবং এই আইন দ্বারা সীমিত, বারিত, নিয়ন্ত্রিত বা বাতিল করা না হইলে পানির উক্তরূপ ব্যবহার চলমান ও অব্যাহত থাকিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, পানির উক্তরূপ ব্যবহারের অধিকার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত হস্তান্তরযোগ্য হইবে না ।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পানি ব্যবহারের সুবিধার্থে প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিমালিকানাধীন বা রাষ্ট্রীয় ভূমিতে বর্তস্বত্ত্ব (easement) থাকিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, জলাধারের তীরবর্তী কোন ভূমি মালিকের উহার তলদেশ এবং ফোরশোরের উপর কোন প্রকার অধিকার থাকিবে না।
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs