প্রিন্ট ভিউ

শিশু আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ২৪ নং আইন )

পঞ্চম অধ্যায়

শিশু-আদালত এবং উহার কার্যপ্রণালী

শিশু-আদালত
1[ ১৬। (১) আইনের সহিত সংঘাত জড়িত শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোনো অপরাধের বিচার করিবার জন্য, প্রত্যেক জেলা সদরে শিশু-আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকিবে।
 
(২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৮ নং আইন) এর অধীন গঠিত প্রত্যেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্বীয় অধিক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শিশু আদালত হিসাবে গণ্য হইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো জেলায় উক্তরূপ কোনো ট্রাইব্যুনাল না থাকিলে উক্ত জেলার জেলা ও দায়রা জজ স্বীয় অধিক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শিশু-আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।
 
(৩) ধারা ১৫ক এর অধীন কোনো মামলা প্রেরিত না হইলে, শিশু-আদালত শিশু কর্তৃক সংঘটিত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না।]
শিশু-আদালতের অধিবেশন ও ক্ষমতা
১৭। 2[ ***]
 
3[ (৩) শিশু-আদালত বিধি দ্বারা নির্ধারিত স্থান, দিন এবং পদ্ধতিতে উহার অধিবেশন অনুষ্ঠান করিবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শিশু-আদালতের বিচারক তাহার স্বীয় বিবেচনায় বিচারের দিন, ক্ষণ, স্থান নির্ধারণক্রমে, উহার অধিবেশন আরম্ভ এবং সমাপ্ত করিবেন।]
 
(৪) সাধারণতঃ যে সকল দালান বা কামরায় এবং যে সকল দিবস ও সময়ে প্রচলিত আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় উহা ব্যতীত, যতদূর সম্ভব, অন্য কোন দালান বা কামরায়, প্রচলিত আদালতের ন্যায় কাঠগড়া ও লালসালু ঘেরা আদালতকক্ষের পরিবর্তে একটি সাধারণ কক্ষে এবং অন্য কোন দিবস ও সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যতীত শুধুমাত্র শিশুর ক্ষেত্রে শিশু-আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
শিশু-আদালতের ক্ষমতা
4[ ১৮। দায়রা আদালত যেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারে শিশু-আদালতও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করিতে পারিবে।]
শিশু-আদালতের পরিবেশ ও সুবিধাসমূহ
১৯। (১) আদালতকক্ষের ধরন, সাজসজ্জা ও আসন বিন্যাস বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(২) শিশু-আদালতের আসন বিন্যাস এমনভাবে করিতে হইবে যেন সকল শিশু বিচার প্রক্রিয়ায় তাহার মাতা-পিতা বা তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ বা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা বর্ধিত পরিবারের সদস্য এবং প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইনজীবীর, যতদূর সম্ভব, সন্নিকটে বসিতে পারে।
 
 
(৩) উপ-বিধি (১) এর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া আদালতকক্ষে শিশুর জন্য উপযুক্ত আসনসহ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য, প্রয়োজনে, বিশেষ ধরনের আসন প্রদানের বিষয়টি শিশু-আদালত নিশ্চিত করিবে।
 
 
(৪) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত কর্তৃক শিশুর বিচার চলাকালীন, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোন কর্মচারী আদালতকক্ষে তাহাদের পেশাগত বা দাপ্তরিক ইউনিফরম পরিধান করিতে পারিবেন না।
 
 
শিশুর বয়স নির্ধারণে প্রাসঙ্গিক তারিখ
২০। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, আদালতের রায় বা আদেশে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, অপরাধ সংঘটনের তারিখই হইবে শিশুর বয়স নির্ধারণের জন্য প্রাসঙ্গিক তারিখ।
5[***] বয়স অনুমান ও নির্ধারণ
২১। (১) অভিযুক্ত হউক বা না হউক, এমন কোন শিশুকে কোন অপরাধের দায়ে বা কোন শিশুকে অন্য কোন কারণে শিশু-আদালতে সাক্ষ্য দানের উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে, আনয়ন করা হইলে এবং শিশু-আদালতের নিকট তাহাকে শিশু বলিয়া প্রতীয়মান না হইলে উক্ত শিশুর বয়স যাচাই এর জন্য শিশু-আদালত প্রয়োজনীয় তদন্ত ও শুনানি গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্ত ও শুনানিকালে যেইরূপ সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাইবে তাহার ভিত্তিতে শিশুর বয়স সম্পর্কে শিশু-আদালত উহার মতামত লিপিবদ্ধ করিবে এবং শিশুর বয়স ঘোষণা করিবে।
 
 
(৩) বয়স নির্ধারণের উদ্দেশ্যে-
 
 
(ক) শিশু-আদালত যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে যেকোন প্রাসঙ্গিক দলিল, রেজিস্টার, তথ্য বা বিবৃতি যাচিতে পারিবে;
 
 
(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত দলিল, রেজিস্টার, তথ্য বা বিবৃতি উপস্থাপন করিবার জন্য আদালত যেকোন ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর সাক্ষীর সমন জারি করিতে পারিবে।
 
 
(৪) এই ধারার অধীন শিশু-আদালত কর্তৃক উদ্ঘাটিত এবং কোন শিশুর ঘোষিত বয়স এই আইনের উদ্দেশ্যে উক্ত শিশুর প্রকৃত বয়স বলিয়া গণ্য হইবে এবং পরবর্তীকালে উক্ত বয়স ভ্রমাত্মক প্রমাণিত হইলেও উহার কারণে শিশু-আদালত প্রদত্ত কোন আদেশ বা রায় অকার্যকর বা অবৈধ হইবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে ইতঃপূর্বে শিশু-আদালত কর্তৃক শিশু নয় মর্মে ঘোষণা করা হইলেও কোন সন্দেহাতীত দালিলিক প্রমাণ দ্বারা তাহাকে শিশু হিসাবে প্রমাণ করা সম্ভব হইলে উক্ত আদালত, যথাযথ যুক্তি উপস্থাপনপূর্বক, সংশ্লিষ্ট শিশুর বয়স সম্পর্কে প্রদত্ত উহার পূর্বের মতামত পরিবর্তন করিতে পারিবে।
 
 
বিচার প্রক্রিয়ায় শিশুর অংশগ্রহণ
২২। (১) বিচার প্রক্রিয়ার সকল স্তরে ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট শিশুর অধিকার হিসাবে বিবেচিত হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় না হইলে শিশু-আদালত, কোন মামলা বা বিচারিক কার্যধারার যেকোন পর্যায়ে, শিশুর সম্মতি সাপেক্ষে, তাহাকে ব্যক্তিগত হাজিরা প্রদান হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট মামলা বা কার্যধারা অব্যাহত রাখিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ক্ষেত্রে শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে শিশুর তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা শিশুর আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য এবং প্রবেশন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর উপস্থিতি নিশ্চিত করিতে হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী শিশুর অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য পরিচালনা করা হইলে শিশু-আদালত উক্তরূপ অনুপস্থিতির কারণ নথিতে লিপিবদ্ধ করিবে এবং বিচার কার্য পরিচালনার সময় শিশুর পক্ষে যিনি আদালতে উপস্থিত থাকিবেন, তাহার মাধ্যমে আদালতের গৃহীত পদক্ষেপ ও কার্যক্রম এবং শিশুর পক্ষে বা বিপক্ষে করণীয় ব্যবস্থাদি সম্পর্কে শিশুকে অবহিত করিবে।
 
 
(৪) শিশুর পক্ষে নিযুক্তীয় আইনজীবী এবং প্রবেশন কর্মকর্তা আদালতের সিদ্ধান্ত ও আদেশসহ বিচার প্রক্রিয়ার ধরন ও পরিণাম বুঝিবার জন্য সংশ্লিষ্ট শিশুকে, ভাষাসহ, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
 
 
(৫) মামলা দায়ের বা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি সঠিকভাবে অনুসরণে শিশুবিষয়ক বা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বা প্রবেশন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে কোন অসাবধানতা, গাফিলতি বা ব্যর্থতা শিশু-আদালতের নিকট গোচরীভূত হইলে উক্ত আদালত তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রবেশন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং শিশুবিষয়ক বা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষেত্রে, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এর নিকট, যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, প্রেরণ করিবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদ্‌কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট শিশু-আদালতকে অবহিত করিতে বাধ্য থাকিবে।
 
 
শিশু-আদালতের অধিবেশনে উপস্থিতির অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি
২৩।এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি শিশু-আদালতের অধিবেশনে উপস্থিত থাকিতে পারিবেন না, যথা :-
 
 
(ক) সংশ্লিষ্ট শিশু;
 
 
(খ) শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে শিশুর তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য;
 
 
(গ) শিশু-আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারী;
 
 
(ঘ) শিশু-আদালতে উত্থাপিত মামলা অথবা কার্যধারার পক্ষগণ, শিশুবিষয়ক বা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা, মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং প্রবেশন কর্মকর্তাসহ মামলা অথবা কার্যধারার সহিত সরাসরি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি; এবং
 
 
(ঙ) হাজির থাকিবার বা হইবার জন্য শিশু-আদালত কর্তৃক বিশেষভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
 
 
অভিযুক্ত শিশুর মাতা-পিতা বা অভিভাবকের শিশু-আদালতে উপস্থিতি
২৪। এই আইনের অধীন শিশু-আদালতে হাজিরকৃত শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য বর্তমান থাকিলে এবং তিনি বা তাহারা যুক্তিসঙ্গত দূরত্বে বসবাস করিলে শিশু-আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ যুক্তিসঙ্গত দূরত্বের বাহিরে বসবাস করিলে,আদালত যুক্তিসঙ্গত সময় নির্ধারণ করিয়া তাহাদিগকে আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ প্রদান করিবে।
 
 
শিশু ব্যতীত অন্য সকল ব্যক্তিকে শিশু-আদালত হইতে প্রত্যাহার
 
২৫। (১) শিশু-আদালত প্রয়োজন মনে করিলে, কোন মামলা শুনানিকালে, শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থে সংশ্লিষ্ট শিশু ব্যতীত ধারা ২৩ এ উল্লিখিত যেকোন ব্যক্তিকে উক্ত আদালত হইতে বহিরাগমণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উক্ত আদালত পরিত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
 
(২) 6[ শিশু আদালত]শালীনতা বা নৈতিকতা বিরোধী কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা শুনানিকালে কোন শিশুকে সাক্ষী হিসাবে তলব করা হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলা বা কার্যধারার সহিত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং শিশু-আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রবেশন কর্মকর্তা ব্যতীত শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থে যাহাদিগকে প্রত্যাহার করা যুক্তিযুক্ত ও সমীচীন হইবে, শিশু-আদালত তাহাদিগকে প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উক্ত আদালত পরিত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
7[***] শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা
২৬। (১) 8[***] শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার বিষয়টি সর্বশেষ পন্থা হিসাবে বিবেচনা করিতে হইবে, যাহার মেয়াদ হইবে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের জন্য।
 
 
(২) সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরাপদ হেফাজতে রক্ষিত শিশুকে বিকল্পপন্থায় পরিচালনার জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।
 
 
(৩) শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা একান্ত প্রয়োজন হইলে শিশু-আদালত, সংশ্লিষ্ট শিশুকে উক্ত আদালত হইতে যুক্তিসঙ্গত দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন কোন শিশুকে প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকারী অধিক বয়স্ক শিশুদের হইতে প্রেরিত শিশুকে পৃথক করিয়া রাখিতে হইবে।
 
 
ভাষা, দোভাষী ও অন্যান্য বিশেষ সহায়তামূলক পদক্ষেপ
২৭। (১) আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম শিশুর জন্য সরল ও বোধগম্য ভাষায় পরিচালনা করিতে হইবে।
 
 
(২) শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমসমূহ শিশুর বোধগম্য ভাষায় ব্যাখ্যা করিবার জন্য সহায়তার প্রয়োজন হইলে আদালত বিনা খরচে শিশুকে একজন ব্যাখ্যাকারী প্রদান করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিবে।
 
 
 
 
শিশু-আদালতের কার্যক্রমের গোপনীয়তা
২৮। (১) শিশু-আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোন শিশুর ছবি বা এমন কোন বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটে প্রকাশ বা প্রচার করা যাইবে না যাহা সংশ্লিষ্ট শিশুকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশুর ছবি, বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রকাশ করা শিশুর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হইবে না মর্মে শিশু-আদালতের নিকট প্রতীয়মান হইলে উক্ত আদালত সংশিস্নষ্ট শিশুর ছবি, বর্ণনা, সংবাদ বা রিপোর্ট প্রকাশের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
শিশু-আদালত কর্তৃক আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর জামিনে মুক্তি প্রদান
 
২৯। (১) এই আইনসহ ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালতে হাজিরকৃত কোন শিশুর মামলা বিকল্প পন্থায় পরিচালনা করা না হইলে, শিশু-আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে, অপরাধটি জামিনযোগ্য বা অজামিনযোগ্য যাহাই হউক না কেন, জামানতসহ বা জামানত ছাড়াই জামিনে মুক্তি প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) শিশুর নিজের মুচলেকায় অথবা শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য, প্রবেশন কর্মকর্তা অথবা কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার, শিশু-আদালত যাহাকে উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, তত্ত্বাবধানে জামানত প্রদান সাপেক্ষে অথবা জামানত ছাড়া শিশুকে জামিন প্রদান করা যাইবে।
 
9[ (৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর অধীন জামিন মঞ্জুর করা না হইলে, শিশু আদালত উক্তরূপ নামঞ্জুরের কারণ লিপিবদ্ধ করিবে এবং সংশ্লিষ্ট শিশুকে কোনো প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণের জন্য আদেশ প্রদান করিবে।]
শিশু-আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়
৩০। এই আইনের অধীন কোন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু-আদালত নিম্নবর্ণিত বিষয় বিবেচনা করিবে, যথা :-
 
 
 
 
(ক) শিশুর বয়স ও লিঙ্গ;
 
 
(খ) শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা;
 
 
(গ) শিশুর শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শিশু কোন্ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত;
 
 
(ঘ) শিশুর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক অবস্থা;
 
 
(ঙ) শিশুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা;
 
 
(চ) শিশুর ও তাহার পরিবারের জীবন-যাপন পদ্ধতি;
 
 
(ছ) অপরাধ সংঘটনের কারণ, দলবদ্ধতার তথ্য, সার্বিক পরিস্থিতি ও পটভূমি;
 
 
(জ) শিশুর অভিমত;
 
 
(ঝ) সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন; এবং
 
 
(ঞ) শিশুর সংশোধন ও সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আনুষঙ্গিক যে সকল বিষয় বিবেচনার্থে গ্রহণ করা আবশ্যক ও প্রয়োজন।
 
 
সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন
৩১। (১) 10[ আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে] শিশু-আদালতে হাজির করিবার অনধিক ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে প্রবেশন কর্মকর্তা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, শিশু-আদালতে একটি সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করিবেন এবং উহার অনুলিপি নিকটস্থ বোর্ড-এ ও অধিদপ্তরে দাখিল করিবেন।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক শিশুর পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থিক, মনস্তাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, পটভূমি এবং কোন্ অবস্থায় ও এলাকায় সে বসবাস করে এবং কোন্ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, ইত্যাদির বর্ণনা অন্তর্ভুক্ত থাকিবে।
 
(৩) প্রবেশন কর্মকর্তার সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ শিশু সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিবেদন গোপনীয় বলিয়া গণ্য হইবে।
বিচার সমাপ্তির সময়সীমা
 
৩২। (১) ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত উক্ত আদালতে শিশুর প্রথম উপস্থিত হইবার তারিখ হইতে ৩৬০ (তিনশত ষাট) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।
 
(২) কোন যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তব কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে শিশু-আদালত, উক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, সংশ্লিষ্ট বিচারকার্য সম্পন্নের সময়সীমা আরও ৬০ (ষাট) দিন বর্ধিত করিতে পারিবে।
 
(৩) শিশু-আদালতে বিচার আরম্ভ হইবার পর হইতে, বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত 11[ যতদূর সম্ভব,] একাদিক্রমে উহার কার্যক্রম প্রত্যেক কার্যদিবসে বিনা বিরতিতে চলিতে থাকিবে।
 
(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে বিচার কার্য সম্পন্ন করা না হইলে সংশ্লিষ্ট শিশু, হত্যা, ধর্ষণ, দস্যুতা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা বা অন্য কোন জঘন্য, ঘৃণ্য বা গুরুতর অপরাধের দায়ে দায়েরকৃত মামলা ব্যতীত, শিশু-আদালতের বিবেচনায় তাহার বিরুদ্ধে আনীত লঘু মাত্রার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি পাইবে এবং একই অপরাধের জন্য তাহার বিরু্দ্ধে অন্য কোন বিচার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা যাইবে না:
 
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট মামলায় কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অভিযুক্ত থাকিলে তাহার মামলা অব্যাহত থাকিবে।
শিশুর ওপর নির্দিষ্ট ধরনের দণ্ড আরোপে বাধা-নিষেধ
৩৩। (১) অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শিশুকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা কারাদণ্ড প্রদান করা যাইবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশুকে যখন এইরূপ কোন মারাত্নক ধরনের অপরাধ সংঘটন করিতে দেখা যায় যে, তজ্জন্য এই আইনের অধীন প্রদানযোগ্য কোন আটকাদেশ আদালতের মতে পর্যাপ্ত নহে, অথবা আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে শিশুটি এত বেশি অবাধ্য অথবা ভ্রষ্ট চরিত্র যে তাহাকে কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা চলে না এবং অন্যান্য যে সকল আইনানুগ পন্থায় মামলাটির সুরাহা হইতে পারে উহাদের কোন একটিও তাহার জন্য উপযুক্ত নহে, তাহা হইলে শিশু-আদালত শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করিয়া কারাগারে প্রেরণের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে :
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, এইরূপে প্রদেয় কারাদণ্ডেরর মেয়াদ তাহার অপরাধের জন্য প্রদেয় দণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের অধিক হইবে না :
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কারাদণ্ডে থাকাকালীন যেকোন সময়ে শিশু-আদালত উপযুক্ত মনে করিলে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, এইরূপ কারাদণ্ডে আটক রাখিবার পরিবর্তে অভিযুক্ত শিশুকে, তাহার বয়স ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে আটক রাখিতে হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের অধীন কোন শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করা হইলে, তাহাকে কারাগারে অবস্থানরত অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্ক আসামীর সহিত মেলামেশা করিতে দেওয়া যাইবে না।
 
 
শিশু-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আটকাদেশ, ইত্যাদি
৩৪। (১) কোন শিশু মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হইলে শিশু-আদালত তাহাকে অনুর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে আটকাদেশ প্রদান করিয়া শিশুউন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশু মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় নয় এমন কোন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হইলে শিশু-আদালত তাহাকে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে আটকাদেশ প্রদান করিয়া শিশু উন্নয়ন কেণ্দ্রে আটক রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) শিশু-আদালতের আদেশে অথবা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশুর আচরণ, চারিত্রিক ও ব্যক্তিত্বের ইতিবাচক ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিলে এবং হত্যা, ধর্ষণ, দস্যুতা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা বা অন্য কোন জঘন্য, ঘৃণ্য বা গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত না হইলে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বা প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইবার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট শিশুকে মুক্তি প্রদানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইবার অন্যূন ৩ (তিন) মাস পূর্বে, সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা বা মাদক ব্যবসা বা অন্য কোন গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইলে এবং মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকিলে অথবা উল্লিখিত অপরাধের মামলায় আদালতের আদেশ অনুযায়ী আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইলে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বা প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, শিশু-আদালতের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে কেন্দ্রীয় বা জেলা কারাগারে প্রেরণ করিবে।
 
 
(৪) কারাগার কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রেরিত ব্যক্তিকে, কারাগারে অবস্থানরত অন্য কোন আইনের অধীনে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন আসামীদের হইতে পৃথক করিয়া ভিন্ন ওয়ার্ডে রাখিবার ব্যবস্থা করিবে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাহার আটকাদেশের মেয়াদ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আটকাদেশের অবশিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অবস্থান করিবেন।
 
 
(৫) কোন শিশুর বিচার প্রক্রিয়া ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইবার পর সমাপ্ত হইলে এবং বিচার সমাপ্তির পর তাহাকে আটকাদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত শিশুকে শিশু-আদালত সরাসরি কেন্দ্রীয় বা জেলা কারাগারে প্রেরণ করিবে।
 
 
 
 
(৬) এই ধারায় ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, কোন শিশুকে উপ-ধারা (১) এর অধীন শিশুউন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখিবার পরিবর্তে যথাযথ সতর্কীকরণের পর খালাস প্রদানের অথবা সদাচারণের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৭) কোন শিশুকে, উপ-ধারা (৬) এর অধীন, প্রবেশনে মুক্তির ক্ষেত্রে শিশু-আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অথবা তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য অথবা অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশুকে তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যের অনুকূলে সোপর্দ করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উক্ত শিশুর, অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কাল, সদাচরণের জন্য দায়ী থাকিবেন মর্মে জামিনসহ বা বিনা জামিনে অথবা আদালত যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেইরূপ মুচলেকা প্রদান করিতে হইবে।
 
 
(৮) প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট হইতে রিপোর্ট প্রাপ্তি অথবা অন্য কোনভাবে যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, প্রবেশনে মুক্ত শিশু তাহার প্রবেশনকালে সদাচরণ করে নাই, তাহা হইলে আদালত, যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ তদন্ত করিবার পর, সংশ্লিষ্ট শিশুকে প্রবেশনের অসমাপ্ত সময়ের জন্য প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে আটক রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
নির্দিষ্ট বিরতিতে পর্যালোচনা ও মুক্তি প্রদান
৩৫। (১) শিশু-আদালতের প্রত্যেক আদেশে ইহা নির্দিষ্ট বিরতিতে পর্যালোচনা করিবার বিধান অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যাহার মাধ্যমে শিশু-আদালত ইহার প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা করিতে পারিবে এবং শিশুকে শর্ত সাপেক্ষে বা বিনা শর্তে মুক্তি প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(২) সরকার যেকোন সময়, ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে প্রাপ্ত সুপারিশ বিবেচনা করিয়া, আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশুকে শিশুউন্নয়ন কেন্দ্র বা প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠান হইতে বিনা শর্তে বা তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য বিষয়টি জাতীয় শিশুকল্যাণ বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।
 
 
আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে পরিভাষা ব্যবহার
৩৬। (১) দণ্ডবিধিতে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে, এই আইনে যেইরূপ পরিভাষা ব্যবহার করা হইয়াছে সেইরূপ পরিভাষা ব্যতীত কোন শিশু সম্পর্কে দণ্ডবিধিতে ব্যবহৃত ‘অপরাধী’, ‘দণ্ডিত’ বা ‘দণ্ডাদেশ’ শব্দসমূহ ব্যবহার করা যাইবে না।
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে শিশুদের ক্ষেত্রে ‘অপরাধী’, ‘দণ্ডিত’ বা ‘দণ্ডাদেশ’ শব্দসমূহের পরিবর্তে শিশু-আদালত যথাক্রমে ‘দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি’ বা ‘দোষী সাব্যস্তকরণ’ বা ‘দোষী সাব্যস্তকরণ আদেশ’ বা উক্ত আদালতের বিবেচনায় উক্ত শব্দসমূহের পরিপূরক অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিবে।
 
 
বিরোধ মীমাংসা
৩৭। (১) শিশু-আদালতের বিবেচনায় কোন শিশু লঘু প্রকৃতির অপরাধ সংঘটন করিলে, উক্ত আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অপরাধের শিকার ও অপরাধ সংঘটনকারীর মধ্যে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে ধারা ৪৯ এর বিধান, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, প্রযোজ্য হইবে।
 
 
(২) প্রবেশন কর্মকর্তা, শিশু-আদালত কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ও পদ্ধতিতে, সমাজের উপযুক্ত ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অপরাধের শিকার ও অপরাধ সংঘটনকারীর মধ্যে বিরোধ মীমাংসার নিমিত্ত কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করিবেন এবং তদানুসারে বিরোধ মীমাংসা করিবেন এবং উহা, যথাশীঘ্র সম্ভব, শিশু-আদালতকে অবহিত করিবেন।
 
 
(৩) শিশু-আদালত উপ-ধারা (২) অনুসারে তথ্য প্রাপ্তির পর বিষয়টির ওপর প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিবে এবং উহার ওপর করণীয়, যদি থাকে, সম্পর্কে নির্দেশনা জারি করিয়া অধিদপ্তরকে অবহিত করিবে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন নির্দেশনা জারি করা হইলে, অধিদপ্তর উক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ উহার অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতকে অবহিত করিবে।
 
 
ক্ষতিপূরণ প্রদান
 
৩৮। (১) অপরাধের শিকার শিশুর বিরুদ্ধে 12[ আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত কোনো শিশু] দোষী সাব্যস্ত হইলে, উক্ত শিশু বা তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য, প্রবেশন কর্মকর্তা, আইনজীবী বা পাবলিক প্রসিকিউটরের অনুরোধক্রমে অথবা শিশু-আদালত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া শিশুকে পূর্বাবস্থায় ফিরাইয়া দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য 13[ দোষী সাব্যস্তকৃত শিশুর পিতা-মাতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের] প্রতি আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কোন আদেশ প্রদান করিলে শিশু-আদালত উক্ত আদেশে তদ্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এককালীন বা কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদালতের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য এবং শিশুর কল্যাণে উহার ব্যবহার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক্-নির্দেশনা প্রদান করিবে।
মাতা-পিতার ওপর ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করিবার আদেশ
৩৯। (১) অপরাধের শিকার শিশুর বিরুদ্ধে কোন শিশু দোষী সাব্যস্ত হইলে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর প্রতি শিশু-আদালত কর্তৃক আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য আদেশ প্রদান করা হইলে শিশু-আদালত দোষী সাব্যস্ত শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যকে, উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ আদালতের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য উক্ত আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিবে, যদি,ক্ষেত্রমত, শিশুটির-
 
 
(ক) মাতা-পিতা, তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা বর্ধিত পরিবারের সদস্যকে খুঁজিয়া পাওয়া যায়;
 
 
(খ) মাতা-পিতা, তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা বর্ধিত পরিবারের সদস্য ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধে আর্থিকভাবে সচ্ছল হন; এবং
 
 
(গ) মাতা-পিতা, তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা বর্ধিত পরিবারের সদস্য শিশুর প্রতি যথাযথ যত্ন-পরিচর্যায় অবহেলা করিয়া তাহাকে অপরাধ সংঘটনে প্রভাবিত করিয়া থাকেন।
 
 
(২) এই ধারার অধীন আদেশ প্রদানের নিমিত্ত, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রবেশন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য আদালত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৩) শিশুর মাতা-পিতা, আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক শিশুর তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ বা বর্ধিত পরিবারের সদস্য কর্তৃক ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানে অপারগতার কারণে শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করা যাইবে না।
 
 
বিচারের ফলাফল ও মুক্তি সম্পর্কে তথ্য
৪০। (১) বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত হইবার ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে শিশু-আদালত বিচারের ফলাফল সম্পর্কে শিশু, শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য, শিশুর আইনজীবী ও প্রবেশন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে।
 
 
(২) কোন শিশু মুক্তিপ্রাপ্ত হইলে শিশু-আদালত তাহার মুক্তি প্রদানের তথ্য, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অধিদপ্তর, প্রবেশন কর্মকর্তা বা আইনজীবীর মাধ্যমে অথবা সরাসরি উক্ত শিশু ও তাহার মাতা-পিতাকে এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যকে অবহিত করিবে।
 
 
(৩) কোন মামলায়, উপ-ধারা (২) এর অধীন, কোন শিশু মুক্তিপ্রাপ্ত হইলে এবং উক্ত মামলায় আইনের সংস্পর্শে আসা কোন শিশু জড়িত থাকিলে, শিশু-আদালত সংশ্লিষ্ট মুক্তি প্রদানের তথ্যটি, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অধিদপ্তর, প্রবেশন কর্মকর্তা বা আইনজীবীর মাধ্যমে অথবা সরাসরি আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও তাহার মাতা-পিতাকে এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যকে অবহিত করিবে।
 
 
আপিল ও পুনর্বিবেচনা
৪১। (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন শিশু-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত 14[ আদেশ বা রায়ের বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ বা রায়] প্রদানের তারিখ হইতে অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাইবে।
 
15[ (২) শিশু-আদালতের কোনো আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে পুনর্বিবেচনা (Revision) করা যাইবে।]
 
(৩) এই ধারার অধীন আপিল বা, ক্ষেত্রমত, পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করা হইলে উক্ত আবেদনটি দায়েরের তারিখ হইতে অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলীর প্রযোজ্যতা
৪২। (১) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধিতে সুস্পষ্ট ও ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, 16[ অভিযোগ দায়ের,] মামলার বিচার এবং কার্যধারা গ্রহণের ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য ও অনুসরণ করিতে হইবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কৃত সকল অপরাধ আমলযোগ্য হইবে এবং এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধিতে সুস্পষ্ট বিধান থাকিলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উক্ত বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।
দোষী সাব্যস্ত হইবার কারণে অযোগ্যতার অপসারণ, ইত্যাদি
৪৩। কোন শিশু এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন কোন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইলেও-
 
 
(ক) তাহার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধির ধারা ৭৫ বা ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৫৬৫ প্রযোজ্য হইবে না;
 
 
(খ) তিনি সরকারি বা বেসরকারি কোন অফিসে চাকরি পাইবার অথবা কোন আইনের অধীন কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।
 
 

  • 1
    ধারা ১৬ শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ৬(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 3
    উপ-ধারা (৩) শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    ধারা ১৮ শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    ‘‘শিশু-আদালত কর্তৃক’’ শব্দগুলি শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 6
    ‘‘শিশু আদালত’’ শব্দগুলি ‘‘শালীনতা বা নৈতিকতা’’ শব্দগুলির পূর্বে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 7
    ‘‘বিচারকালীন’’ শব্দটি শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১০(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 8
    ‘‘বিচারকালীন’’ শব্দটি শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১০(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 9
    উপ-ধারা (৩) শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 10
    ‘‘আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে’’ শব্দগুলি ‘‘শিশুকে’’ শব্দের পরিবর্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 11
    ‘‘যতদূর সম্ভব,’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে,’’ শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, বন্ধনী ও কমার পরিবর্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 12
    ‘‘আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত কোনো শিশু’’ শব্দগুলি ‘‘কোন আসামী’’ শব্দগুলির পরিবর্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    ‘‘দোষী সাব্যস্তকৃত শিশুর পিতা-মাতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের’’ শব্দগুলি ‘‘আসামীর’’ শব্দের পরিবর্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 14
    ‘‘আদেশ বা রায়ের বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ বা রায়’’ শব্দগুলি ‘‘আদেশের বিরুদ্ধে আদেশ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১৫ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 15
    উপ-ধারা (২) শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১৫ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 16
    ‘‘অভিযোগ দায়ের, শব্দগুলি ও কমা ‘‘এই আইনের অধীন’’ শব্দগুলির পরিবর্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৪ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs