প্রিন্ট ভিউ

নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ
৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট সকলকে, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা বিষয়ক নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক্-নির্দেশনা প্রদানের নিমিত্ত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ নামে একটি পরিষদ থাকিবে।
 
 
(২) পরিষদ নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
(খ) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, যিনি উহার সহ-সভাপতিও হইবেন;
 
 
(গ) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত একজন সংসদ সদস্য;
 
 
(ঘ) সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়;
 
 
(ঙ) সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়;
 
 
(চ) সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়;
 
 
(ছ) সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়;
 
 
(জ) সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়;
 
 
(ঝ) সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়;
 
 
(ঞ) সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়;
 
 
(ট) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়;
 
 
(ঠ) সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়;
 
 
(ড) সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়;
 
 
(ঢ) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ;
 
 
(ণ) সচিব, অর্থ বিভাগ;
 
 
(ত) সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ;
 
 
(থ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ;
 
 
(দ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশন;
 
 
(ধ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ;
 
 
(ন) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;
 
 
(প) মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তর;
 
 
(ফ) মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর;
 
 
(ব) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন;
 
 
(ভ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড;
 
 
(ম) পরিচালক, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
 
 
(য) চেয়ারম্যান, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
 
 
(র) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ;
 
 
(ল) সরকার কর্তৃক মনোনীত, একজন সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান; এবং
 
 
(শ) সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর দফা (গ) ও (ল) এ বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্যান্য দফায় বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ পদাধিকারবলে পরিষদের সংশ্লিষ্ট পদে অন্তর্ভুক্ত হইবেন।
 
 
(৪) পরিষদ, প্রয়োজনবোধে, সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তিকে পরিষদের সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে।
 
 
ব্যাখ্যা ।-এই ধারায় ‘‘সচিব’’ অর্থে সিনিয়র সচিবও অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
 
পরিষদের সভা
৪। (১) বৎসরে কমপক্ষে ২ (দুই) বার পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(২) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৩) সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৪) সভাপতি পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সভাপতির অনুপস্থিতিতে পরিষদের সহ-সভাপতি অথবা উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভাপতি কর্তৃক মনোনীত উহার অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন।
 
 
(৫) পরিষদের মোট সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।
 
 
(৬) শুধু পরিষদের কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উহার কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
 
 
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
৫। (১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইন বলবৎ হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে।
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থা্য়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ, স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
 
 
কর্তৃপক্ষের কার্যালয়
৬। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায় এবং কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
কর্তৃপক্ষের গঠন
৭। (১) একজন চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে।
 
 
(২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহারা কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন।
 
 
(৩) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন।
 
 
(৪) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের বেতন, ভাতা, মর্যাদা এবং চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
 
 
(৫) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বা অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিবেন।
 
 
(৬) কেবল কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কর্তৃপক্ষের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের মেয়াদ
৮। চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নিয়োগ লাভের তারিখ হইতে ৪ (চার) বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা
৯। (১) খাদ্য বিষয়ে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং বিস্তৃত বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন।
 
 
(২) নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কমপক্ষে ২০ (বিশ) বৎসরের পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং বিস্তৃত বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ, প্রত্যেক বিষয় হইতে একজন করিয়া, সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন; যথা :-
 
 
(ক) জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি;
 
 
(খ) খাদ্য শিল্প বা খাদ্য উৎপাদন;
 
 
(গ) খাদ্যভোগ ও ভোক্তা-অধিকার; এবং
 
 
(ঘ) খাদ্য বিষয়ক আইন ও নীতি।
 
 
(৩) এই ধারার অন্যান্য বিধানে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না, যদি-
 
 
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হন;
 
 
(খ) নিয়োগ প্রদানের তারিখে, তাহার বয়স ৬০ (ষাট) বৎসরের অধিক হয়;
 
 
(গ) তিনি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপী হন;
 
 
(ঘ) তিনি কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দেউলিয়াত্বের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন;
 
 
(ঙ) তিনি কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধের দায়ে ২ (দুই) বৎসর বা ততোধিক মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর সময়কাল অতিক্রান্ত না হয়; এবং
 
 
(চ) তিনি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, কোন খাদ্য ব্যবসার সহিত যুক্ত থাকেন।
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনকালে, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ একইসংগে অন্য কোন দপ্তর, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের কোন পদে অধিষ্ঠিত থাকিতে বা দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না অথবা কোন লাভজনক কর্মে নিয়োজিত হইতে পারিবেন না।
পদত্যাগ, অপসারণ বা দায়িত্বপালনে অসমর্থতা
১০। (১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য কমপক্ষে ৩ (তিন) মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করিয়া, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে, স্বীয় পদ হইতে পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং সরকার কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত হইবার তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট পদটি শূন্য হইবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে, যদি তিনি-
 
 
(ক) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন;
 
 
(খ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্থ হন;
 
 
 
(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হন;
 
 
(ঘ) চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে কর্মসম্পাদনে শারীরিক বা মানসিকভাবে অসমর্থ হন;
 
 
(ঙ) পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্বীয় দায়িত্ব বহির্ভূত অন্য কোন পদে নিয়োজিত হন;
 
 
(চ) চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা বিশ্বাসভঙ্গ করেন কিংবা বেআইনীভাবে আর্থিক বা অন্য কোন সুবিধা গ্রহণ করেন; অথবা
 
 
(ছ) ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত কোন পদে অধিষ্ঠিত হন বা দায়িত্ব পালন করেন অথবা কোন লাভজনক কর্মে নিয়োজিত হন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান না করিয়া, চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে না।
চেয়ারম্যান পদে সাময়িক শূন্যতা পূরণ
১১। চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান শূন্য পদে যোগদান না করা পর্যন্ত অথবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠতম সদস্য সাময়িকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
কর্তৃপক্ষের সভা
১২। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) সভার অলোচ্যসূচি, তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে এবং চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে কর্তৃপক্ষের সচিব এইরূপ সভা আহবান করিবেন।
 
 
(৩) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) চেয়ারম্যান এবং কমপক্ষে দুইজন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
 
 
(৫) চেয়ারম্যান এবং উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা, ক্ষেত্রমত, সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৬) চেয়ারম্যান, সদস্যগণের সহিত আলোচনাক্রমে, প্রয়োজনে, সভার আলোচ্যসূচির সহিত সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ যে কোন ব্যক্তিকে সভায় আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবেন, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে না।
 
 
কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলী
১৩। (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন করা।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবে, যথা :-
 
 
(ক) নিরাপদতার নিরিখে, উদ্ভিজ্জ, প্রাণীজ ও অন্যান্য প্রধান উৎস হইতে প্রাপ্ত খাদ্যসমূহের বিজ্ঞানসম্মত সংজ্ঞায়ন এবং উহাদের গুণগত মান সুনির্দিষ্টকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান এবং উহাদের কার্যাবলী বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ;
 
 
(খ) বিদ্যমান আইনের অধীন অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত খাদ্যের গুণগত মান (standard) বা নির্দেশনা (guideline) নিরাপদতার সর্বোচ্চ মানে হালনাগাদ বা উন্নীতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান;
 
 
(গ) বিদ্যমান কোন আইনের অধীন কোন খাদ্যের গুণগত মান বা নির্দেশনা নির্ধারণ করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট খাদ্যের গুণগত মানদণ্ড বা নির্দেশনা নির্ধারণ;
 
 
(ঘ) বিদ্যমান আইনের অধীন অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্যে দূষক বা দূষণকারী জীবাণু (microbial contaminants), সার, কীটনাশক বা বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ, পশুরোগ বা মৎস্যরোগ বিষয়ক ঔষধের অবশিষ্টাংশ, ভারী-ধাতু (heavy metal), প্রক্রিয়াকরণ সহায়ক (processing aid), খাদ্য সংযোজন বা সংরক্ষণ দ্রব্য (food additive or preservative), মাইকোটক্সিন, এন্টিবায়োটিক, ঔষধ সংক্রান্ত সক্রিয় বস্ত্ত এবং বৃদ্ধি প্রবর্ধক (growth promoter), ব্যবহারের সহনীয় মাত্রা নিরাপদতার সর্বোচ্চ মানে হালনাগাদ বা উন্নীতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ;
 
 
(ঙ) বিদ্যমান কোন আইনের অধীন খাদ্যদ্রব্যে দূষক বা দূষণকারী জীবাণু, সার, কীটনাশক বা বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ, পশুরোগ বা মৎস্যরোগ বিষয়ক ঔষধের অবশিষ্টাংশ, ভারী-ধাতু, প্রক্রিয়াকরণ সহায়ক, খাদ্য সংযোজন বা সংরক্ষণ দ্রব্য, মাইকোটক্সিন, এন্টিবায়োটিক, ঔষধ সংক্রান্ত সক্রিয় বস্ত্ত এবং বৃদ্ধি প্রবর্ধক ব্যবহারের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা না হইলে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে উহাদের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ;
 
 
(চ) খাদ্যে তেজস্ক্রিয়তার সহনীয় মাত্রা সুনির্দিষ্টকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ;
 
 
(ছ) খাদ্য ব্যবসার ক্ষেত্রে, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সনদের জন্য, সনদ প্রদানকারী সংস্থাসমূহের জন্য অনুসরনীয় এ্যাক্রেডিটেনশনের নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান;
 
 
(জ) খাদ্য পরীক্ষাগারের এ্যাক্রেডিটেনশনের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ;
 
 
(ঝ) খাদ্যের ভেজাল ও মান নিরূপণে পরিচালিত পরীক্ষাগার পরিবীক্ষণ এবং পরিবীক্ষণকালে পরিলক্ষিত ক্রটি-বিচ্যুতির বিষয়ে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান;
 
 
(ঞ) বিদ্যমান কোন আইনের অধীন আমদানিতব্য খাদ্যদ্রব্যের মানদন্ড ও পরীক্ষণ পদ্ধতি নির্ধারণ করা না হইলে উক্ত খাদ্যদ্রব্যের মানদন্ড ও পরীক্ষণ পদ্ধতি নির্ধারণ এবং তদ্‌ভিত্তিতে উক্ত খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ;
 
 
(ট) খাদ্য মোড়কীকরণ এবং মোড়কাবদ্ধ খাদ্যের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বিশেষ পথ্য গুণ ও শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কিত দাবী প্রকাশের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং উহা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান;
 
 
(ঠ) সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ, বিশ্লেষণ, অবহিতকরণ ও ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নির্ধারণ এবং ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও নিয়মিত সতর্কীকরণ পদ্ধতি চালুকরণ; এবং
 
 
 
(ড) খাদ্যের নমুনা গ্রহণ ও বিশ্লেষণ এবং তৎসম্পর্কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহিত তথ্য বিনিময়;
 
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ, উহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদনে, নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে, যথা:-
 
 
(ক) খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিমালা বা বিধিমালা প্রণয়ন এবং বিদ্যমান নীতিমালা বা বিধিমালা সংশোধন বা হালনাগাদকরণে সরকারকে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান;
 
 
(খ) নিম্নবর্ণিত বিষয় সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি তথ্য অনুসন্ধান, সংগ্রহ এবং তুলনা বিশ্লেষণ, যথা:-
 
 
(অ) খাদ্য গ্রহণজনিত কারণে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ;
 
 
(আ) জৈবিক ঝুঁকির প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপকতা চিহ্নিতকরণ;
 
 
(ই) খাদ্যদ্রব্যে দূষিত বস্ত্তর মিশ্রণের প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপকতা চিহ্নিতকরণ;
 
 
(ঈ) খাদ্যদ্রব্যে দূষণকারী বস্ত্তর অবশিষ্টাংশের প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপকতা চিহ্নিতকরণ;
 
 
(গ) সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ, পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিদ্যমান পদ্ধতি হালনাগাদ বা উন্নীতকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ;
 
 
(ঘ) খাদ্যদ্রব্যের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত ঝুঁকি বিষয়ক বার্তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, সংস্থা ও কর্মকর্তাগণের নিকট প্রেরণ এবং উহা জনসাধারণকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঙ) নিরাপদ খাদ্যের সংকট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান;
 
 
(চ) মাঠ পর্যায় পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার মধ্যে তথ্য বিনিময়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান এবং এতদবিষয়ে বিদ্যমান অভিজ্ঞতা ও উত্তম অনুশীলন বিনিময়ের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা;
 
 
(ছ) আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণে সরকারকে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান;
 
 
(জ) এই আইন বাস্তবায়নের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং খাদ্য দ্রব্যের ব্যবসা পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের জন্য নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঝ) খাদ্যদ্রব্য এবং স্যানিটারি ও ফাইটো-স্যানিটারির বিদ্যমান স্ট্যান্ডার্ডকে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান;
 
 
(ঞ) খাদ্যের গুণগত মানের বিষয়ে সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের গৃহীত কার্যক্রম সমন্বয় সাধন;
 
 
 
(ট) খাদ্য পরীক্ষা, গবেষণা ও মানদন্ড নির্ধারণ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাসমূহের মধ্যে ফলপ্রসু যোগাযোগ স্থাপন;
 
 
(ঠ) আন্তর্জাতিক খাদ্য ও দেশীয় খাদ্যের গুণগত মানের মধ্যে সমতা আনয়নের কৌশল নির্ধারণ;
 
 
(ড) নিরাপদ খাদ্যের গুণগত মান সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি; এবং
 
 
(ঢ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্দেশিত অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন।
 
 
(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ প্রবিধান প্রণয়ন করিবে।
 
 
ব্যাখ্যা ।- এই ধারায়-
 
 
(ক) ‘‘নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’’ (Food Safety Management System)” অর্থ নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মতভাবে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্রস্ত্ততকরণ ও বিপণনে উৎকৃষ্ট পদ্ধতির (Good Agricultural Practices, Good Aquacultural Practices, Good Manufacturing Practices, Good Hygienic Practices) অনুশীলনসহ গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা, বিপত্তি বিশ্লেষণ (Hazard Analysis), সংকট-কালীন জরুরী খাদ্য নিরাপত্তা সাড়া (Food Safety Emergency Response), অবশিষ্টাংশ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (Residual Control System) ও খাদ্যের অনিরাপদতার উৎস নিরীক্ষা পদ্ধতি (Food Safety Auditing System) এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অনুশীলন, যাহা এতদসংক্রান্ত বিদ্যমান আইনে নির্ধারিত মানদণ্ড ও বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে খাদ্য ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুমোদিত নির্দেশনায় (approved guidance or directives) বিদ্যমান; এবং
 
 
(খ) ‘‘বিপত্তি (Hazard)” অর্থ মানব-স্বাস্থ্যের প্রতিকূল কোন কারণের উদ্ভব করিতে পারে এইরূপ কোন জৈবিক, রাসায়নিক বা ভৌত, ইত্যাদি কারণে সৃষ্ট অথবা প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত পদার্থের উপস্থিতি বা সৃষ্ট অবস্থা।
কর্তৃপক্ষের সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সাংগঠনিক কাঠামো, ইত্যাদি
১৪। (১) কর্তৃপক্ষের একজন সচিব থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন।
 
 
(২) সচিব নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করিবেন, যথা:-
 
 
(ক) চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের সভার অলোচ্যসূচি, তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ;
 
 
(খ) কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভার কার্যবিবরণী প্রস্ত্তত;
 
 
(গ) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট নথি সংরক্ষণ; এবং
 
 
(ঘ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের স্বার্থে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত উহার সাংগঠনিক কাঠামোতে ৫ (পাঁচ) জন পরিচালকের নেতৃত্বে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ)টি বিভাগ থাকিবে, যথা:-
 
 
(ক) খাদ্যের বিশুদ্ধতা পরিবীক্ষণ ও বিচারিক কার্যক্রম;
 
 
(খ) খাদ্য পরীক্ষাগার নেটওয়ার্ক সমন্বয় কার্যক্রম;
 
 
(গ) নিরাপদ খাদ্যমান প্রমিতকরণ সমন্বয় কার্যক্রম;
 
 
(ঘ) খাদ্যভোক্তা সচেতনতা, ঝুঁকি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম; এবং
 
 
(ঙ) কর্তৃপক্ষের সংস্থাপন, আর্থিক ও জন-সম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম।
 
 
(৫) কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপর চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকিবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs