প্রিন্ট ভিউ

নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন )

নবম অধ্যায়

অপরাধ, দণ্ড, ইত্যাদি

এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিবার দণ্ড
৫৮। কোন ব্যক্তি তফসিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য উক্ত বিধানের বিপরীতে কলাম (৪) এ বর্ণিত দণ্ডে এবং একই বিধান পুনরায় লঙ্ঘন করিলে কলাম (৫) এ বর্ণিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
কোম্পানী কর্তৃক বিধান লঙ্ঘন বা অপরাধ সংঘটন
৫৯। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান লঙ্ঘনকারী বা অপরাধ সংঘটনকারী যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, অংশীদার, স্বত্ত্বাধিকার, চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার, সচিব বা প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্ট, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, বিধানটি লঙ্ঘন বা অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন বা অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া অকৃতকার্য হইয়াছেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানী আইনগত ব্যক্তিসত্ত্বা (Body Corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানীকে পৃথকভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারী মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।
 
 
ব্যাখ্যা।- এই ধারায়-
 
 
(ক) ‘কোম্পানী’ অর্থে যে কোন সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘পরিচালক’ অর্থে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
 
 
 
জামিনযোগ্যতা ও আমলযোগ্যতা
৬০। এই আইনের ধারা ২৩, ২৪,২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৭ এ বর্ণিত অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable) ও অজামিনযোগ্য (non-bailable) হইবে এবং উক্ত অপরাধ ব্যতীত এই আইনের অন্যান্য অপরাধ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) ও জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।
অন্য আইনে অপরাধ হইবার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি
৬১। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ যদি অন্য কোন আইনে বিশেষ অপরাধ হিসাবে উচ্চতর দণ্ডযোগ্য অপরাধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহাকে এই আইনের অধীন নিরাপদ খাদ্য বিরোধী বিশেষ অপরাধ হিসাবে গণ্য করিয়া বিচারের জন্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনত কোন বাধা থাকিবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে যে, উক্ত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালত বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে, যাহা প্রযোজ্য, উহার বিচার হওয়া সমীচীন হইবে, তাহা হইলে এতদুদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে, উহার অধিকতর কার্যকর বিচার নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, বিশেষ আদালত বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যাহা প্রযোজ্য, মামলা দায়েরের লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
 
 
 
অর্থদণ্ডের অর্থের অংশ অভিযোগকারীকে প্রদান
৬২। এই আইনের অধীন কোন মামলায় খাদ্য আদালত কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করিয়া কোন অর্থদণ্ড আরোপ করিলে উক্ত অর্থের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশ অর্থ প্রণোদনা হিসাবে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারী প্রাপ্ত হইবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হইলে, তিনি উক্ত প্রণোদনা প্রাপ্য হইবেন না।
 
 
 
 
প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্তকরণে সহায়তা, ইত্যাদি
৬৩। (১) এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনজনিত কোন কার্যের সহিত কোন বিক্রেতার জ্ঞাতসারে সংশ্লিষ্টতা না থাকার বিষয়টি যদি সন্দেহাতীত ভাবে বোধগম্য হয় এবং প্রয়োজনবোধে উক্ত বিক্রেতা আইনের বিধান লঙ্ঘনকারীকে সনাক্তকরণে সহযোগিতা করিতে যদি প্রস্ত্তত থাকেন, তাহা হইলে এই আইনের অধীন অপরাধের জন্য দায়ী করিয়া তাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া আইনের বিধান লঙ্ঘণকারীকে সনাক্তকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।
 
 
(২) কোন দোকান হইতে বিক্রিত কোন খাদ্যদ্রব্য দূষিত, ভেজাল, নকল বা ত্রুটিপূর্ণ হইবার ক্ষেত্রে যদি উক্ত খাদ্যদ্রব্য কোন বৈধ বা অনুমোদিত কারখানা, ফ্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বা প্রস্ত্তত হইয়া থাকে এবং যদি সন্দেহাতীতভাবে বোধগম্য হয় যে খাদ্যদ্রব্য প্রস্ত্তত বা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সহিত দোকানের মালিক বা পরিচালকের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই এবং প্রয়োজনবোধে যদি উক্ত ব্যক্তি আইনের বিধান লঙ্ঘনকারীকে সনাক্তকরণে সহযোগিতা করিতে প্রস্ত্তত থাকেন, তাহা হইলে দোকানের মালিক বা পরিচালককে দায়ী করিয়া কোন ফৌজদারী বা প্রশাসনিক কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া আইনের বিধান লঙ্ঘনকারীকে সনাক্তকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।
 
 
(৩) জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিয়া হকার বা ফেরিওয়ালা হিসাবে বিক্রয় করিলে এবং অনুরূপ বিক্রিত খাদ্যদ্রব্য যদি নকল, ভেজাল বা অন্য কোনরূপ ত্রুটিপূর্ণ হইয়া থাকে এবং উহার দ্বারা কোন খাদ্যভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হইয়া থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ কারণে যদি সন্দেহাতীতভাবে বোধগম্য হয় যে, তিনি অবৈধভাবে লাভবান হইবার উদ্দেশ্যে সজ্ঞানে বা যোগসাজশে অথবা জানিয়া শুনিয়া উহা খাদ্য ভোক্তার নিকট বিক্রয় করেন নাই এবং প্রয়োজবোধে যদি উক্ত হকার বা ফেরিওয়ালা বিধান লঙ্ঘনকারীকে সনাক্তকরণে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করিতে প্রস্ত্তত থাকেন, তাহা হইলে উক্ত হকার বা ফেরিওয়ালাকে দায়ী করিয়া কোন ফৌজদারী বা প্রশাসনিক কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া আইনের বিধান লঙ্ঘনকারীকে সনাক্তকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।
 
 
(৪) কাঁচা মৎস্য ও শাক-সবজির ন্যায় দ্রুত পচনশীল কোন খাদ্যদ্রব্য কোন হকার বা ফেরিওয়ালার নিকটি বা কোন দোকানে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণে পচিয়া যাওয়া অবস্থায় পাওয়া গেলে যদি ইহা সহজেই বোধগম্য হয় যে পচিয়া গিয়াছে জানিয়াও অবৈধভাবে লাভবান হইবার উদ্দেশ্যে সজ্ঞানে বা যোগসাজশে তিনি উহা খাদ্য ভোক্তার নিকট বিক্রয় বা বিক্রয়ের চেষ্টা করেন নাই তাহা হইলে উক্ত হকার, ফেরিওয়ালা বা দোকানদারকে দায়ী করিয়া কোন ফৌজদারী বা প্রশাসনিক কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পচনশীলতা প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে।
 
 
(৫) এই ধারার অধীন দায় হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হইলে তাৎক্ষণিকভাবে নকল বা ভেজালের উৎস উদঘাটনের বিষয়ে এবং প্রয়োজনবোধে বিচার কার্যের সাক্ষী হিসাবে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs