প্রিন্ট ভিউ

1[ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩

( ২০১৩ সনের ৫৪ নং আইন )

নবম অধ্যায়

অপরাধ ও বিচার

নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘন
২৮। (১) কোন নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘিত হইবে, যদি অনুমোদিত ব্যবহারকারী না হওয়া সত্ত্বেও, কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) কোন পণ্যের নামে বা উপস্থাপনে উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক এইরূপভাবে ব্যবহার করেন, যাহাতে এমন ইঙ্গিত বা ধারণা প্রকাশ পায় যে, পণ্যটি উহার প্রকৃত উৎপত্তি স্থল হইতে ভিন্ন ভৌগোলিক এলাকায় উৎপন্ন হইয়াছে এবং উহার ফলে জনসাধারণ পণ্যটির ভৌগোলিক উৎসস্থল সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়; বা
 
 
(খ) কোন ভৌগোলিক নির্দেশক এইরূপভাবে ব্যবহার করেন যে, উহা অন্যায় প্রতিযোগীতার (unfair competition) সৃষ্টি করে এবং কোন নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক হিসাবে চালানো হয় (passing off); বা
 
 
(গ) পণ্যটিতে এইরূপ কোন ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, যাহা আক্ষরিক অর্থে পণ্যটির উৎপত্তির ভূখণ্ড, অঞ্চল বা এলাকা হিসাবে সঠিক, তবে জনসাধারণকে মিথ্যাভাবে এইরূপ ধারণা প্রদান করে যে, পণ্যটির উৎপত্তি সেই ভূখণ্ড, অঞ্চল, বা এলাকায়, যাহার সহিত নিবন্ধিত কোন ভৌগোলিক নির্দেশকটি সংশ্লিষ্ট; বা
 
 
(ঘ) কোন পণ্যের উৎপত্তি ভৌগোলিক নির্দেশক দ্বারা নির্দেশিত স্থানে না হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত পণ্যে উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, অথবা সঠিক উৎপত্তিস্থল উল্লেখ করিয়া পণ্যটিতে অন্য ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, অথবা প্রকৃত উৎপত্তিস্থলের নামের অনুবাদ করিয়া অপর ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করেন, অথবা ভৌগোলিক নির্দেশকের সহিত ‘‘মত’’, ‘‘ধরনের’’, ‘‘অনুকরণে’’ বা অনুরূপ ভাবপ্রকাশক শব্দ ব্যবহার করেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘অন্যায় প্রতিযোগীতা (unfair competition)’ বলিতে এমন প্রতিযোগীতামূলক কার্যকে বুঝাইবে যাহা শিল্প বা বাণিজ্য ক্ষেত্রে সৎ আচরণের পরিপন্থী, এবং নিম্নবর্ণিত কার্য অন্যায় প্রতিযোগীতামূলক কার্য বলিয়া গণ্য হইবে, যথা :-
 
 
(ক) এমন কোন প্রকৃতির কার্য যাহা কোন প্রতিযোগীর কোন প্রতিষ্ঠান, পণ্য, শিল্প বা বাণিজ্যিক কার্যাবলী সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করিতে পারে;
 
 
(খ) ব্যবসা পরিচালনাকালে এমন ধরনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা, যাহা কোন প্রতিযোগীর কোন প্রতিষ্ঠান, পণ্য, শিল্প বা বাণিজ্যিক কার্যাবলীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করিতে পারে; এবং
 
 
(গ) ব্যবসা পরিচালনাকালে কোন ভৌগোলিক নির্দেশকের ব্যবহার, যাহা কোন পণ্যের পরিমাণ, প্রকৃতি, প্রস্ত্তত প্রক্রিয়া, বৈশিষ্ট, সাযুজ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত করিতে পারে।
 
 
(৩) এই ধরায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধিত হইলে, তাহা যদি উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের অনুমোদিত ব্যবহারকারী ব্যতীত, অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক আইনগতভাবে অর্জিত হয়, তাহা হইলে এইরূপ ব্যবহারকারী কর্তৃক উক্ত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ বা প্যাকেটজাতকরণসহ পরবর্তী ব্যবসায়িক লেনদেন, বাজারজাতকরণের পর পণ্যের মান ক্ষতিগ্রস্ত হইবার ক্ষেত্র ব্যতীত, উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক এর লঙ্ঘন বলিয়া গণ্য হইবে না।
 
 
(৪) কোন আগ্রহী ব্যক্তি অথবা আগ্রহী উৎপাদক বা ভোক্তা গ্রুপ কোন ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘন প্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত জেলা আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন, যদি পণ্যের নামকরণ বা উপস্থাপনায় এইরূপ পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়, যাহাতে এইরূপ ইঙ্গিত বা ধারণা প্রকাশ পায় যে, বিবেচ্য পণ্যটি উহার প্রকৃত উৎপত্তিস্থল হইতে ভিন্ন কোন ভৌগোলিক এলাকায় উৎপন্ন হইয়াছে এবং উহা এমনভাবে করা হইয়াছে যে, পণ্যটির ভৌগোলিক উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হইতে পারে।
 
 
(৫) এই ধারার অধীন মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা জারীসহ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং উপযুক্ত মনে করিলে, অপর যে কোন দেওয়ানী প্রতিকার প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৬) কোন ব্যক্তি অনিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক লঙ্ঘন প্রতিরোধের জন্য অথবা উহা লঙ্ঘনজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য কোন মামলা দায়ের করিতে পারিবেন না।
 
 
(৭) এই আইনের কোন কিছুই, কোন পণ্যকে অন্যের পণ্য হিসাবে চালাইবার (passing off) কারণে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অথবা উহার প্রতিকার লাভের অধিকার ক্ষুণ্ণ করিবে না।
ভৌগোলিক নির্দেশক মিথ্যা প্রতিপন্ন বা মিথ্যাভাবে ব্যবহার ও দণ্ড
২৯। (১) কোন ব্যক্তি ভৌগোলিক নির্দেশক মিথ্যা প্রতিপন্ন বা মিথ্যাভাবে ব্যবহার করিলে, তাহার উক্তরূপ কার্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাইবে এবং আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর, তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক ভৌগোলিক নির্দেশক মিথ্যা প্রতিপন্ন বা মিথ্যাভাবে ব্যবহার করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত ব্যক্তি বা সংস্থা
 
 
(ক) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কোন পণ্যকে নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলিয়া দাবী করে; বা
 
 
(খ) প্রতারণামূলকভাবে নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের সাদৃশ্য পণ্য তৈরী করে; বা
 
 
(গ) কোন পণ্যের নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক সম্পর্কে এমন ঘোষণা প্রদান করে যে, উহা নিবন্ধিত নহে; বা
 
 
(ঘ) এইরূপ প্রচার করে যে, কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের নিবন্ধন উহা ব্যবহারের নিরঙ্কুশ অধিকার প্রদান করিয়াছে, অথচ বস্ত্ততপক্ষে উক্ত নিবন্ধন এইরূপ কোন অধিকার প্রদান করে নাই।
 
 
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশে কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের ক্ষেত্রে ‘‘নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক’’ শব্দগুলি অথবা, ব্যক্ত বা অব্যক্তভাবে, নিবন্ধন সম্পর্কিত অনুরূপ অন্য কোন অভিব্যক্তি, প্রতীক বা চিহ্নের ব্যবহার করা হইলে, উহা নিবন্ধন বহিতে বর্ণিত নিবন্ধনের উল্লেখ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না -
 
 
(ক) উক্ত শব্দ বা অন্য কোন অভিব্যক্তি, প্রতীক বা চিহ্ন অক্ষর হিসাবে চিত্রিত অপর শব্দাবলীর প্রত্যক্ষ সংযোগে ব্যবহৃত হয়, অন্তত ততটুকু বড় আকারে, যে আকারে উক্ত শব্দ, অভিব্যক্তি, প্রতীক বা চিহ্ন চিত্রিত হইয়াছে, এবং বাংলাদেশের বাহিরের কোন দেশের কোন ভৌগোলিক নির্দেশক হিসাবে নিবন্ধনের উল্লেখ, উক্ত দেশের প্রচলিত আইনে উক্ত নিবন্ধন কার্যকর রহিয়াছে মর্মে ধারণা প্রদান করে; অথবা
 
 
 
 
(খ) উক্ত অভিব্যক্তি, প্রতীক বা চিহ্ন উহাকে সহজাতভাবেই দফা (ক) এ বর্ণিত নিবন্ধনের রেফারেন্স হিসাবে প্রকাশ করে; অথবা
 
 
(গ) শব্দটি অন্য কোন দেশের আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যে ব্যবহৃত হয় এবং উহা কেবল উক্ত দেশে ব্যবহারের জন্য রপ্তানি হইবে, এইরূপ কোন পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
 
প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার ও দণ্ড
৩০। (১) কোন ব্যক্তি প্রতারণামূলকভাবে কোন পণ্যে বা পণ্যের মোড়কে সাদৃশ্যপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করিলে, তাহার উক্তরূপ কার্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাইবে এবং আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর, তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ, তবে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
 
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার বলিয়া গণ্য হইবে, যথা :-
 
 
(ক) কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের অনুমোদিত ব্যবহারকারীর প্রকৃত পণ্য ব্যতীত অন্য কোন পণ্য মোড়কবদ্ধ করিবার বা উহাতে ভরিবার বা উহা দ্বারা জড়াইবার উদ্দেশ্যে উক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের অনুরূপ বা প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশক সম্বলিত কোন মোড়ক ব্যবহার করা; বা
 
 
(খ) বিকৃত বা পরিবর্তন অথবা মুছিয়া ফেলিবার মাধ্যমে কোন প্রকৃত ভৌগোলিক নির্দেশক মিথ্যা প্রতিপন্ন করা; বা
 
 
(গ) কোন পণ্য যে দেশে বা স্থানে তৈরি বা উৎপন্ন হইয়াছে, তাহার প্রকৃত পরিচয় অথবা প্রস্ত্ততকারীর বা যাহার জন্য পণ্যগুলি তৈরি হইয়াছে তাহার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা আবশ্যক জানিয়াও কোন পণ্যে অনুরূপ দেশের, প্রস্ত্ততকারীর বা স্থানের মিথ্যা পরিচয়, নাম অথবা ঠিকানা ব্যবহার করা।
 
মিথ্যা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, গুদামজাতকরণ ও বিক্রয়ের দণ্ড
৩১। যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-
 
 
(ক) মিথ্যাভাবে কোন পণ্যে ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করে, অথবা উক্ত পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, গুদামজাত বা বাজারে বিক্রয় করে; বা
 
 
(খ) কোন ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য মিথ্যা প্রতিপন্ন করিবার উদ্দেশ্যে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করিবার কার্যে ব্যবহারের জন্য কোন ডাইস, ব্লক, মেশিন, প্লেট বা অন্য কোন যন্ত্রপাতি তৈরি বা বিক্রয় করে বা দখলে রাখে; বা
 
 
(গ) ভৌগোলিক নির্দেশকযুক্ত পণ্য বা পণ্যটির প্রস্ত্তত বা উৎপাদনকারী দেশ বা স্থানের নির্দেশক, প্রস্ত্ততকারী বা যাহার জন্য পণ্যটি প্রস্ত্তত করা হইয়াছে তাহার নাম এবং ঠিকানা অথবা কোন নির্দেশক ব্যতীত কোন পণ্য বা সামগ্রী বিক্রয় করেন অথবা বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করেন অথবা ভাড়া করেন বা বিক্রয়ের জন্য দখলে রাখেন;
 
 
তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উক্তরূপ কার্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাইবে এবং আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, উক্ত ব্যক্তি বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর, তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
 
নবায়ন না করিয়া বাজারজাতকরণের দণ্ড
৩২। নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পরও কোন অনুমোদিত ব্যবহারকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যদি নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যটির নবায়ন না করিয়া উক্ত পণ্যের উৎপাদন, গুদামজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, পরিবহন অথবা বিক্রয় করা হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উক্তরূপ কার্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাইবে এবং আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, উক্ত ব্যক্তি বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর, তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
নিবন্ধনের শর্তাবলী ভঙ্গ করিবার দণ্ড
৩৩। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যদি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের কোন শর্ত ভঙ্গ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা রম্নজু করা যাইবে এবং আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল হইবে এবং এইরূপ অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর, তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
নিবন্ধনবহির এন্ট্রি জালকরণের দণ্ড
৩৪। যদি কোন ব্যক্তি নিবন্ধন বহিতে কোন মিথ্যা এন্ট্রি করেন বা করান অথবা মিথ্যাভাবে এমন কোন লিখিত কাগজ তৈরি করেন বা করান, যাহা নিবন্ধনবহির কোন এন্ট্রির অনুলিপি বলিয়া মনে হয়, অথবা অনুরূপ এন্ট্রি বা লিখিত কাগজ মিথ্যা বলিয়া জানা সত্ত্বেও সাক্ষ্য গ্রহণকালে উহা পেশ বা দাখিল করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব দুই (২) বৎসর, তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
দ্বিতীয় বা পরবর্তী অপরাধের ক্ষেত্রে দণ্ড
৩৫। যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন একই অপরাধ দ্বিতীয় বা পরবর্তীতে সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর, তবে সর্বনিম্ন ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৪ (চার) লক্ষ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
পণ্য বাজেয়াপ্তকরণ
৩৬। (১) এই আইনের অধীন জব্দকৃত মালামাল দখলে রাখিবার বা ব্যবহার করিবার বৈধ্যতা প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, সংশ্লিষ্ট আদালত উক্ত মালামাল সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে।
 
 
(২) যেইক্ষেত্রে কোন সাজা প্রদানের আদেশের সহিত বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদান করা হয় এবং উক্ত সাজা প্রদানের আদেশটি আপীলযোগ্য হয়, সেইক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তকরণের আদেশও আপীলযোগ্য হইবে।
 
 
(৩) কোন পণ্যসামগ্রী বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করা হইলে এবং বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপীলযোগ্য মামলায় উক্ত বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদানকারী আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে যে আদালতে আপীল দায়ের করা যাইবে, সেই আদালতে বাজেয়াপ্তকরণ আদেশের বিরুদ্ধেও আপীল করা যাইবে।
 
 
(৪) সাজা প্রদানের আদেশের সহিত বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদান করা হইলে, সাজা প্রদানকারী আদালত, উহার স্বীয় বিবেচনায়, বাজেয়াপ্তকৃত কোন দ্রব্য বিনষ্ট করিবার বা অন্যভাবে নিষ্পত্তি করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৩৭। এই আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে, উক্তরূপ অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে এইরূপ প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
 
 
ব্যাখ্যা। - এই ধারায়-
 
 
(ক) ‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান’ বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি বা এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
 
 
(খ) ‘পরিচালক’ বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে।
 
অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ
৩৮। (১) কোন আদালত এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না, যদি না-
 
 
(ক) রেজিস্ট্রার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়; অথবা
 
 
(খ) অপরাধ সংঘটনের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত অপরাধের প্রতিকার প্রত্যাশী বা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উক্ত অপরাধের বিষয়ে রেজিস্ট্রার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে নোটিশ প্রদান করিয়া থাকেন।
 
 
(২) এই আইনের অধীন বিচারাধীন কোন মামলা বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) প্রযোজ্য হইবে।
 
 
(৩) উপ-পরিদর্শক বা সমপদমর্যাদার নিম্নের কোন পুলিশ কর্মকর্তা এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ তদন্ত করিতে পারিবেন না।
 
 
(৪) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে এবং সকল অপরাধ জামিনযোগ্য হইবে।
 
বাংলাদেশের বাহিরে সংঘটিত অপরাধে প্ররোচনার দণ্ড
৩৯। যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে অবস্থান করিয়া বাংলাদেশের বাহিরে সংঘটিত এইরূপ কোন কার্যে এইরূপ প্ররোচনা প্রদান করেন যে, উক্ত কার্য বাংলাদেশে সংঘটিত হইলে, এই আইনের অধীন একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইত, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের যে স্থানে পাওয়া যাইবে, সেই স্থানে উক্তরূপ প্ররোচনা প্রদানের অভিযোগে বিচার করা যাইবে এবং তিনি স্বয়ং উক্ত অপরাধ সংঘটন করিলে, যেইরূপ দণ্ডপ্রাপ্ত হইতেন, তাহাকে সেইরূপ দণ্ড প্রদান করা যাইবে।

  • 1
    এ আইনের সকল স্থানে “মহাপরিচালক” শব্দটি “রেজিস্ট্রার" শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ২২ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs