৪০। বিক্রয়যোগ্য পণ্যের উপর অথবা কোন পণ্য বিক্রয়ের চুক্তির ক্ষেত্রে, ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করা হইলে, ব্যবহৃত ভৌগোলিক নির্দেশকটি প্রকৃত ভৌগোলিক নির্দেশক এবং অসত্যরূপে ব্যবহার করা হয় নাই মর্মে বিক্রেতা নিশ্চয়তা প্রদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না বিক্রেতা বা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক লিখিত ও স্বাক্ষরিত আকারে ভিন্নমত প্রকাশ করা হয় এবং তাহা পণ্যটি বিক্রয়কালে বা চুক্তি সম্পাদনকালে প্রদান করা হয় এবং ক্রেতা কর্তৃক গৃহীত হয়।

৪১। (১) এই আইনের অধীন প্রতিটি আইনগত কার্যধারায়, অনুরূপ কার্যধারার সহিত সম্পৃক্ত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের অনুমোদিত ব্যবহারকারীকে পক্ষভুক্ত করিতে হইবে।(২) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন পক্ষভুক্ত কোন অনুমোদিত ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে কোন খরচ প্রদানের আদেশ দেওয়া যাইবে না, যদি না তিনি উক্ত কার্যধারায় হাজিরা দেন এবং অংশগ্রহণ করেন।

৪২। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত তারিখ হইতে, যাহা তিন মাসের কম হইবে না, প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত পণ্যসমূহে,- (ক) যাহা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বাহিরে প্রস্ত্ততকৃত ও উৎপাদিত এবং বাংলাদেশে আমদানিকৃত, অথবা(খ) যাহা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যেই প্রস্ত্ততকৃত বা উৎপাদিত,উহার প্রস্ত্তত বা উৎপাদনকারী দেশ বা স্থানের ভৌগোলিক নির্দেশক ব্যবহার করিতে হইবে এবং প্রস্ত্ততকারী বা যাহার জন্য পণ্যটি প্রস্ত্তত করা হইয়াছে তাহার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে।

৪৩। ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য সংশ্লিষ্ট মামলায়, আদালত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য সম্পর্কিত প্রথা এবং অন্যান্য ব্যক্তি কর্তৃক বৈধভাবে ব্যবহৃত কোন প্রাসঙ্গিক ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য সম্পর্কিত প্রথাকে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিবে।

৪৪। এই আইনের অধীন আবেদন ও নিবন্ধনসহ অন্যান্য বিষয়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফি ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করিতে হইবে।

৪৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

৪৬। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে :তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।